চলছে মহাকুম্ভ। নাগা সন্ন্যাসী ছাড়া মহাকুম্ভ স্নান হয় না। যুগ যুগ ধরে এই রীতি চলে আসছে যে, প্রথমে নাগা সন্ন্যাসীরা স্নান করবে তারপরে বাকি সবাই। কিন্তু মজার বিষয় হলো এই নাগা সন্ন্যাসীরা কিন্তু সাধারণত স্নান করেন না। কিন্তু কেন? স্নান না করার পিছনে কিন্তু একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। নাগা সাধুরা বিশ্বাস করেন যে শুধুমাত্র ছাই-ভস্ম এবং ধ্যান-যোগ প্রয়োগের মাধ্যমে শুদ্ধি অর্জিত হয়। তাই সারা শরীরে শুধু ভস্ম বা ধুনি লাগান। নাগা সাধুরা তাঁদের সাধনায় শরীরের বাহ্যিক বিশুদ্ধতার চেয়ে অভ্যন্তরীণ বিশুদ্ধতার দিকে বেশি মনোযোগ দেন। অনেক নাগা সাধুই, পূর্ব জীবন ত্যাগ করার সময় বস্ত্র ত্যাগ করেন। সম্পূর্ণ উলঙ্গ থাকেন। গুহায় থেকে কঠোর তপস্যা করেন। নাগা সাধুদের অনেক বিশেষ আচারের মধ্যে একটি হল কামেন্দ্রিয় ভঙ্গ।
জানা যায়, এই প্রক্রিয়া চলার সময় নাগের আকারে আখড়ার পতাকার নীচে ২৪ ঘন্টা কিছু না খেয়ে, না পান করে দাঁড়িয়ে থাকেন তাঁরা। এই সময় তাঁদের কাঁধে একটি লাঠি এবং হাতে একটি মাটির পাত্রও থাকে। আখড়ার রক্ষীরা সেই সাধুর উপরে নজর রাখেন। এর পর আখড়ার সাধু বৈদিক মন্ত্রসহ ধাক্কা দিয়ে তাঁর লিঙ্গ নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এই কাজটিও হয় আখড়ার পতাকা তলাতেই হয়। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরেই নাগা সাধু হয়ে ওঠেন তিনি। যদি একজন ব্যক্তি সফলভাবে ব্রহ্মচর্য জীবন পালন করতে পারে তবেই সে সাধু হওয়ার পরবর্তী পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হন। ব্রহ্মচারী থেকে মহাপুরুষে রূপান্তরিত হন। পাঁচ জন গুরু প্রস্তুত করা হয়। এই পাঁচ গুরু হলেন পঞ্চ দেব বা পঞ্চ পরমেশ্বর -শিব, বিষ্ণু, শক্তি, সূর্য এবং গণেশ। যুগ যুগ ধরে নাগা সন্ন্যাসীরা এই রীতি মেনে আসছেন।