কিছুদিন আগেই খিদিরপুর থেকে উদ্ধার হয় বাড়ির পোষ্য কুকুর ছানা। দেবর্ষি রায় ফাউন্ডেশনের হেফাজতে থাকা খোয়া শাবকও ফেরত পেয়েছে কর্তা। এবার সোস্যল মিডিয়া ও পুলিশের সাহায্যে বর্ধমান থেকে উদ্ধার হল টিয়াপাখি।
বাড়ির আদরের ছোট ছেলে সে। সকলের চোখের মণি। বারান্দায় খেলতে খেলতে সেই ‘ছেলে’ আচমকা উধাও হয়ে যাওয়ার পর থেকে দু’চোখের পাতা এক করতে পারেননি বেলুড়ের (Belur) রাজকৃষ্ণ কুমার স্ট্রিটের বাসিন্দা তপনকুমার সরকার। অবশেষে তদন্তে নেমে সোশ্যাল মিডিয়ার মারফত জানতে পেরে তাকে বর্ধমান (Burdwan) থেকে উদ্ধার করল বালি থানার পুলিশ (Howrah Police Commissionarate)।
এই ছেলে অবশ্য মানবসন্তান নয়, একটি ধূসর রঙের আফ্রিকান টিয়াপাখি (African Parrot)। নাম তার রিও। পাখিটি উড়তে পারে না। গত ৭ আগস্ট দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল তপন সরকারের বাড়ির পোষ্য ১ বছর ৪ মাস বয়সের রিও। আশপাশের বাড়ি ও গোটা পাড়ায় তন্নতন্ন করে খুঁজেও না পেয়ে পরদিন ৮ আগস্ট বালি থানায় (Bally PS) নিখোঁজ ডায়েরি করেন তপনবাবু।
এরপরই তাকে খুঁজে বার করতে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে নেমে সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে পুলিশ জানতে পারে রিও-কে তুলে নিয়ে গিয়েছিল তিন যুবক। তারপর তাকে বর্ধমানের (Bardhaman) মহম্মদ মোস্তাফা নামে এক যুবকের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। অবশেষে অভিযুক্তদের ২ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে বর্ধমান থেকে পুলিশ রিও-কে উদ্ধার করে।
প্রায় ২ সপ্তাহ পর থানায় রিও-র বাবা, মা কে ডেকে তাঁদের হাতে ছেলেকে তুলে দেয় পুলিশ। রিও-কে না পেয়ে কার্যত নাওয়া-খাওয়া ভুলে গিয়েছিলেন রিও-র বাবা, মা ও দিদি। এদিন বাড়ির ছোট ছেলেকে পেয়ে খুশি তাঁরা।
তপনবাবুর স্ত্রী স্বপ্না সরকার বলেন, ‘‘আমাদের একটি মেয়ে আছে। রিও পাখি হলেও ও আমার ছোট ছেলে। আমার মেয়ে ওকে ভাইফোঁটা দেয়।’’ তাঁর কথায়, ‘‘উড়তে পারে না বলে গত ৭ আগস্ট অন্যান্য দিনের মতোই দুপুরে ওর বাবার হাতে চেপে পাড়া বেড়াতে গিয়েছিল রিও। তারপর বাড়িতে আসার পর থেকেই তার আর দেখা মেলেনি।’’