www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

October 15, 2024 7:10 pm
Last station in india

এই স্টেশনের নাম সিঙ্গাবাদ। এটি বড় কোনও স্টেশন নয়, তবে অনেক পুরানো। জানা যায় এই স্টেশনটি ব্রিটিশ আমলের। ব্রিটিশরা যেভাবে ছেড়ে দিয়েছিল আজও সেরকমই আছে। এখনও এখানে কিছুই পরিবর্তন হয়নি, বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন ভারতের শেষ রেলওয়ে স্টেশন, যা পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হয়।

ভারতীয় রেল। ব্রিটিশ আমলে এই রেলপথেরই পত্তন হয়েছিল প্রথম। ইংরেজ সাহেবরা (British Period) রাজস্ত বাঁচাতে আর কর আদায়ের জন্য রেলপথ বিছিয়ে ছিলেন। সেই রেলপথকেই ক্রমাগত আধুনিক রূপ দিযে আজকের রেল। বারতীয় রেল। সেই রেলপথ নিয়ে রয়েছে অনেক ইতিহাস। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস একদা সেখানে গিয়েছিলেন। ভারতে প্রায় ৭০৮৩টি রেলওয়ে স্টেশন (Railway Station) রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি স্টেশন এমন যে তাদের নিজস্ব গল্প রয়েছে। আপনি তো জানেন ভারতের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে ছোট রেলওয়ে স্টেশন সম্পর্কে। কিন্তু আপনি কি জানেন ভারতের শেষ রেলস্টেশন কোনটি?

এই স্টেশনের নাম সিঙ্গাবাদ। এটি বড় কোনও স্টেশন নয়, তবে অনেক পুরানো। জানা যায় এই স্টেশনটি ব্রিটিশ আমলের। ব্রিটিশরা যেভাবে ছেড়ে দিয়েছিল আজও সেরকমই আছে। এখনও এখানে কিছুই পরিবর্তন হয়নি, বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন ভারতের শেষ রেলওয়ে স্টেশন, যা পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই স্টেশনটি পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার (Malda District) হবিবপুর এলাকায়। জানলে অবাক হবেন যে সিঙ্গাবাদ থেকে কয়েক কিমি দূরে মানুষ পায়ে হেঁটে বাংলাদেশে যায়। এর পর ভারতে আর কোনও রেলস্টেশন নেই।

স্বাধীনতার পর থেকে এই স্টেশনটি জনশূন্য

দীর্ঘদিন ধরে এ স্টেশনের কাজ বন্ধ ছিল। স্বাধীনতার পর ভারত ও পাকিস্তানের বিভক্তির পর স্টেশনটি জনশূন্য হয়ে পড়ে। এরপর ১৯৭৮ সালে এই রুটে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এসব গাড়ি ভারত থেকে বাংলাদেশে যাতায়াত করত। ২০১১ সালের নভেম্বরে, পুরানো চুক্তিটি সংশোধন করা হয়েছিল এবং নেপালকে এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। নেপালগামী ট্রেনও এখান থেকে যেতে শুরু করেছে। নেপালের খাদ্য রপ্তানি হয় বাংলাদেশ থেকে সেই সব পণ্যবাহী ট্রেনের চালান রোহনপুর-সিঙ্গাবাদ ট্রানজিট পয়েন্ট থেকে আসে। বাংলাদেশের প্রথম স্টেশন রোহনপুর।

​গান্ধী ও সুভাষচন্দ্র বসুও এই পথ দিয়ে গিয়েছেন

এই স্টেশনটি কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে ট্রেন সংযোগের জন্য ব্যবহৃত হত। যেহেতু এই স্টেশনটি প্রাক-স্বাধীনতার সময়কার, তাই মহাত্মা গান্ধী এবং সুভাষচন্দ্র বসুও ঢাকায় যাওয়ার সময় এই পথটি বেশ কয়েকবার ব্যবহার করেছিলেন। একটা সময় ছিল যখন দার্জিলিং মেইলের মতো ট্রেনও এখান দিয়ে যাতায়াত করত, কিন্তু এখন শুধু পণ্যবাহী ট্রেনই এখান দিয়ে যায়।

​সবকিছুই ব্রিটিশ আমলের

এই স্টেশনটি দেখে আপনার কিছুটা অদ্ভুত মনে হতে পারে। কারণ এটা অনেক পুরনো। এই স্টেশনের সবকিছুই ব্রিটিশ আমলের। কার্ডবোর্ডের টিকিট এখনও এখানে রাখা আছে, যা এখন আর কোথাও দেখা যাবে না। এখানে স্টেশনে রাখা টেলিফোনটিও বাবা আদমের সময়কার। একইভাবে, সিগনালের জন্য শুধুমাত্র হ্যান্ড গিয়ার ব্যবহার করা হয়। খুব কম কর্মচারী এখানে রয়েছে।

​বাংলাদেশগামী ট্রেন এখানে সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করে

এই স্টেশনে কোনও যাত্রীবাহী ট্রেন থামে না। তাই টিকিট কাউন্টার বন্ধ। কিন্তু এখানে শুধু সেই পণ্যবাহী ট্রেনগুলো থামে, যাদের রোহনপুর হয়ে বাংলাদেশে যেতে হয়। এই ট্রেনগুলি এখানে থামে এবং সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করে।

​দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন চলে বটে তবে থামে না

এখন এখান দিয়ে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন চলে। মৈত্রী এক্সপ্রেস ও মৈত্রী এক্সপ্রেস-১। ২০০৮ সালে কলকাতা থেকে ঢাকায় মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু হয় যা ৩৭৫ কিমি যাতায়াত করত। একই সময়ে, দ্বিতীয় ট্রেনটি কলকাতা থেকে বাংলাদেশের একটি শহর খুলনা পর্যন্ত যায়। মানুষ এখনও আশা করেন যে কোনও সময়ে তাঁরা এখান থেকে ট্রেনে চড়ার সুযোগ পাবেন।

 

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *