www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

April 19, 2024 12:35 am
দেশের সবচেয়ে পুরনো বটগাছ (Banyan Tree)

দেশের মায় গ্রাম গঞ্জের ইতিউতি দেখা মেলে বট গাছের। কোনটি শতাধিক বছরের, কোনটি ৫ বছরের পুরনো। কিন্তু জানেন কি দেশের সবচেয়ে পুরনো বট গাছ কোথায় আছে। হ্যা। কলকাতাতেই। হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেনে আছে শাল, শিমূল, সেগুন, বট, অশ্বত্থ, মেহগনি, লবঙ্গ, জায়ফল-সহ আরও নানা রকমের গাছ রয়েছে। তবে এই গার্ডেনের প্রধান আকর্ষণ ২৫০ বছরেরও বেশি পুরোনো বিশাল মহাবটবৃক্ষ (Banyan Tree)। যা ইতিহাস বহন করে চলেছে।

খবরে আমরাঃ দেশের মায় গ্রাম গঞ্জের ইতিউতি দেখা মেলে বট গাছের (Banyan Tree)। কোনটি শতাধিক বছরের, কোনটি দুশো বছরের পুরনো। কিন্তু জানেন কি দেশের সবচেয়ে পুরনো বট গাছ কোথায় আছে। হ্যা। কলকাতাতেই। হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেনে আছে শাল, শিমূল, সেগুন, বট, অশ্বত্থ, মেহগনি, লবঙ্গ, জায়ফল-সহ আরও নানা রকমের গাছ রয়েছে। তবে এই গার্ডেনের প্রধান আকর্ষণ ২৫০ বছরেরও বেশি পুরোনো বিশাল মহাবটবৃক্ষ। যা ইতিহাস বহন করে চলেছে।

অনেকেই বলেন, একটি খেজুর গাছের মাথায় এই বট গাছটির বীজ পড়ে। এর পর সেউ খেজুর গাছের উপরেই জন্ম নেয় এই বটগাছটি। এর পর সেখান থেকে বেড়ে উঠতে শুরু করে এর পর সেটি বিশাল আকারের হয়ে যায়। বটগাছের শাখাপ্রশাখা আর জুড়ির ফাঁসে মারা যায় খেজুর গাছটি। এখন সেই বটগাঠ প্রায় ৫ একর জায়গা জুড়ে সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে। শত শত ঝুরি নিয়ে এখনও সে যথেষ্ট প্রাণবন্ত।

ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেন

রানি ভিক্টোরিয়ার শাসনকালে এই উদ্যানটির নাম রাখা হয়েছিল রয়্যাল ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেন ( Indian Botanical Garden)। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৬৩ সালে এই উদ্যানের নাম রাখা হয় ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেন। ২০০৯ সালে আবার গার্ডেনের নাম পাল্টে যায়। কিংবদন্তি বৈজ্ঞানিক জগদীশচন্দ্র বসুর জন্ম সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষ্যে এর নাম রাখা হয় আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বোটানিক্যাল গার্ডেন। তবে এখন এই উদ্যানটি ভারত সরকারের বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অধীনে রয়েছে।

কিড সাহেবের বাগান

১৭৮৭ সালে বাগানের সূচনা ৩১০ একর জমি নিয়ে। পরে ৪০ একর জমি যা কিড সাহেবের (KId Saheber Bagan) সম্পত্তি ছিল পরে তা দিয়ে দেওয়া হয় বিশপ’স কলেজকে। সে কলেজ আর নেই। সেই জমিতে এখন বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি। আঠারো শতকে বিশ্বের কোনও বাগান এমন বিশাল পরিধি নিয়ে জন্ম নেয়নি। এমনকি ১৮৪০ সালের আগে বিলেতের বিখ্যাত কিউ গার্ডেনস ছিল মাত্র এগারো একর জমি নিয়ে। কলকাতার বোটানিক্যাল গার্ডেন বিশ্বের বৃহত্তম গার্ডেনের শিরোপা পরে ছিল বহু বছর ধরে। এর আগে ১৭৮০ সালে উইলিয়াম রক্সবার্গ— যিনি রবার্ট কিডের পর বাগানের কর্তা হন— তৎকালীন মাদ্রাজের কাছে একটা বোটানিক্যাল গার্ডেন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অবশ্য বাগানের পরের ইতিহাস স্বতন্ত্র। অতি গৌরবময়। তার সাক্ষী বর্তমানে বোটানিক্যাল গার্ডেনের ১৪০০ প্রজাতির প্রায় ১৭,০০০ গাছ, বিরল প্রজাতির গাছগাছড়া, ম্যাগনোলিয়া, রোডোডেনড্রন এবং অ্যালপাইনের মতো বিচিত্র সম্ভার।

দ্য গ্রেট বেনিয়ান ট্রি

এই বটবৃক্ষের বয়স কত? অন্তত ২৫০ বছর বয়স হয়েছে এই গাছটির। কতটা প্রশস্ত এই বটগাছ? ( The great Banyan Tree) বটগাছের প্রধান কাণ্ড ছিল ১৫.৫ মিটার (বা ৫০ ফুট চওড়া)। কিন্তু আজ গাছটির পরিধি ৪৮৬ মিটার এবং ৩.৫ একর জুড়ে বিস্তৃত। কতটা লম্বা এই গাছ? ২৪.৫ মিটার, প্রায় মুম্বাইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার মতো লম্বা।

​কেমন করে পৌঁছবেন এই জায়গায়?

আপনি যদি এই বাগানে একবার ঘুরে এসে দেখতে চান তাহলে এখানে যেতেই হবে। এটি শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে। বোটানিক্যাল গার্ডেন হাওড়ার শিবপুরে অবস্থিত। সুতরাং, আপনাকে ট্রাফিকের উপর নির্ভর করে কেন্দ্রীয় এলাকা থেকে প্রায় ২৩-৩০ মিনিট ভ্রমণ করতে হবে।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *