সিএসকে: ১৩১-৫ (ধোনি ৫০, উথাপ্পা ২৮, উমেশ ২-২০)
কেকেআর: ১৩৩-৪ (রাহানে ৪৪, বিলিংস ২৫)
কেকেআর ৬ উইকেটে জয়ী।
খবরে আমরাঃ আইপিএলের নতুন মরশুমের শুরুতেই জয় কেকেআরের। রবীন্দ্র জাদেজার চেন্নাই সুপার কিংসকে অনায়াসে হারিয়েই নাইট সংসারে শুরু হল শ্রেয়স যুগ। ধোনি পরবর্তী যুগের প্রথম ম্যাচে কেকেআরকে খুব একটা চাপেই ফেলতে পারল না চেন্নাই। ৯ বল বাকি থাকতে নাইটরা জিতল ৬ উইকেটে।
কেকেআরের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই মহেন্দ্র সিং ধোনি ধরা দিলেন স্বমেজাজে। মাত্র ৩৮ বলে হাঁকিয়ে নিলেন মরশুমের প্রথম অর্ধশতরান। কঠিন পরিস্থিতি থেকে সিএসকেকে পৌঁছে দিলেন সম্মানজনক জায়গায়। সিএসকের ইনিংস শেষ হল ৫ উইকেটে ১৩১ রানে। ৪০ বছর বয়সি ভদ্রলোক যখন ব্যাট হাতে মাঠে নামলেন তখন চেন্নাই সুপার কিংসের (Chennai Super Kings) রীতিমতো শোচনীয় অবস্থা। ১০ ওভারে মাত্র ৬১ রানে পড়ে গিয়েছে ৫টি উইকেট। শুরুতেই সিএসকে শিবিরে আঘাত হেনেছে উমেশ যাদবের মারণ পেস। কেকেআর (KKR) পেসার পাওয়ার-প্লে চলাকালীনই তুলে নিয়েছেন দুটি ইউকেট। একটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী এবং আন্দ্রে রাসেল (Andre Russle)। সেই চাপের মুহূর্তে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি ধোনিরও। ১৭ নম্বর ওভার থেকে খেলার মোড় ঘোরান বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিনিশার। সঙ্গে ছিলেন জাদেজা। শেষ ৩ ওভারে ৫০ রান তোলে চেন্নাই। সিএসকের ইনিংস শেষ হয় ৫ উইকেটে ১৩১ রানে। আর ধোনি শেষ করেন ৩৮ বলে ৫০ রানে। ৭টি চার এবং একটি গগণচুম্বি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। জাদেজা ২৮ বলে ২৬ রান করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে কেকেআর। প্রথম ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৪৩ রান তুলে ফেলেন অজিঙ্কে রাহানে এবং ভেঙ্কটেশ আইয়ার। আইয়ারের ইউকেটের পতনের পর ১৭ বলে ২১ রানের ক্যামিও খেলেন নীতীশ রানা। তাঁর উইকেটের পর অবশ্য কিছুটা কমে যায় রান রেট। রাহানে ভাল খেললেও অন্যদিকে খানিকটা চাপ তৈরির চেষ্টা করে জাদেজার চেন্নাই। ৩৪ বলে ৪৪ রান করে রাহানে আউট হওয়ার পর সেই চাপ আরও বাড়ে। তবে, শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার (২০) এবং স্যাম বিলিংস (২৫) সহজেই কেকেআরকে জয় এনে দেন।
শুধু জয় নয়, এদিনের ম্যাচে একাধিক সমালোচনারও জবাব দিয়েছে নাইটরা। কেকেআরের পেস বোলিং নিয়ে টুর্নামেন্টের শুরুতে বহু প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু এদিন উমেশ যাদব যেভাবে বল করলেন তাতে নাইট ভক্তরা অনেকটা নিশ্চিন্ত হবেন। ব্যাট হাতে রাহানের পারফরম্যান্সও ভরসা জোগাবে কেকেআরকে। নিজের কেরিয়ার পুনরুদ্ধার করার এই সুযোগ কাজে লাগালেন তিনি। তবে, সবশেষে খানিকটা চিন্তা ডেথ বোলিং নিয়ে থেকেই যাবে।