কত সামান্য কারণে এখন খুন হচ্ছে মানুষ। মানুষ পারছে না নিজের রাগকে কন্ট্রোল করতে। এটা এক ধরনের অসুখ। আর এই অসুখ দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। এবারের ঘটনা পাকিস্তানে। তর্ক-বিতর্কের জেরে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে এক যুবককে বের করে দিয়েছিলেন অ্যাডমিন। এই সামান্য ঘটনার জেরে গ্রুপ অ্যাডমিনকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের পেশোয়ারে। আশফাক খান নামে অভিযুক্ত ওই যুবকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু এই সামান্য বিষয় ‘খুন’ পর্যন্ত পৌঁছাবে, তা ভাবতে অসুবিধা হচ্ছে নাগরিক মহলের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন মুস্তাক আহমেদের সঙ্গে কোনও বিষয় নিয়ে বিবাদ হয়েছিল আশফাকের। যার জেরে আশফাককে গ্রুপ থেকে বের করে দেন মুস্তাক। এই ঘটনার পর নিজেদের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে নিতে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন দুজন। সেই মতো গত বৃহস্পতিবার মোস্তাকের সঙ্গে দেখা করতে আসে আশফাক। তবে মোস্তাককে খুনের পরিকল্পনা করেই সঙ্গে করে বন্দুক নিয়ে আসে অভিযুক্ত। কেউ কিছু বুঝে ওঠার মোস্তাককে লক্ষ্য করে সে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মোস্তাকের। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের দাবি, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে তাড়ানোর জেরেই এই খুন। মোস্তাকের দাদা হুমায়ূন খান বলেন, এই হামলার সময় তিনি নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর কথায়, ‘এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে সে বিষয়ে আমাদের কোনও ধারণাই ছিল না। হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপে যে ওদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে আমরা সেটাও জানতাম না। পরে জানতে পারি গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়ার জন্য আমার ভাইকে খুন করেছে আশফাক।’ এমন সামান্য ঘটনায় কেউ খুন করতে পারে, বিশ্বাস করতে পারছেন না মোস্তাকের পরিবার।