বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে কালসর্প যোগ হল জন্মকুণ্ডলীর এমন একটি অবস্থা,যেখানে জ্যোতিষবিদ্যার সাত গ্রহ – বুধ, শুক্র, মঙ্গল, রবি, চন্দ্র, বৃহস্পতি এবং শনি এবং রাহু ও কেতু সকলে ছায়ায় ঢাকা পড়ে যায়। এই সাত গ্রহই যদি এক এক সরলরেখায় অবস্থান করে,এবং যদি তাদের ওপর রাহু ও কেতুর ছায়া পড়ে,তবে তা পূর্ণ কালসর্প দোষ রূপে বিবেচিত হয়ে থাকে।
হিন্দু ধর্মে ফাল্গুন মাসের শিবরাত্রি (Sivratri) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। (Astrology) শাস্ত্র অনুসারে, এই দিনে ভগবান শিব এবং মা পার্বতীর বিয়ে হয়েছিল, তাই এই দিনটিকে মহাশিবরাত্রি (Mahasivratri) বলা হয়। মহাশিবরাত্রির দিনে আচার-অনুষ্ঠান সহকারে পুজো করলে সমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মহাশিবরাত্রির দিনে এই ব্যবস্থাগুলি করলে কালসর্প দোষ থেকেও মুক্তি পাবেন।
এই বছর, মহাশিবরাত্রি পালিত হবে শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। এছাড়াও এই দিনে শনি (Saturn) প্রদোষ এবং সর্বার্থ সিদ্ধি যোগের একটি ভাল সমন্বয় রয়েছে।
যদি আমরা কালসর্প (Kalsarpa dosh) দোষের কথা বলি, তাহলে এটি যখন কারও জন্মকুণ্ডলীতে থাকে তখন তাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কাল সর্প দোষের অনেক প্রকার আছে। যেমন অনন্ত কালসর্প দোষ, কুলিক কালসর্প দোষ, বাসুকি কালসর্প দোষ, শঙ্খপাল কালসর্প দোষ, পদ্ম কালসর্প দোষ, মহাপদ্ম কালসর্প দোষ, তক্ষক কালসর্প দোষ, কর্কটক কালসর্প দোষ, শঙ্খচূড় কালসর্প দোষ, ঘটক কালসর্প দোষ।
কালসর্প দোষ এড়াতে মহাশিবরাত্রির দিন ভগবান শিবের পুজো করা উচিত (Spiritual)। মহাশিবরাত্রিতে উজ্জয়নে মহাকালেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ বা নাসিকের ত্রম্বকেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গের পুজো এবং রুদ্রাভিষেক করলে কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়া মহাশিবরাত্রির দিন ভগবান শিবকে একজোড়া রূপার সাপ নিবেদন করা এবং দিনে দুবার মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করাও এই দোষ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।