www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

April 27, 2024 1:24 am
jesusu christ

ক্রুশবিদ্ধ মানুষটিকে ইয়হোন্না বেন হাগকোল বলে চিহ্নিত করা হয় এবং ধারণা করা হয় রোমের বিরুদ্ধে ইহুদি বিদ্রোহের সময় প্রায় ৭০ খ্রিস্টাব্দে তার মৃত্যু হয়।হেডাস মেডিকেল স্কুল এর এক গবেষণায় ধারণা করা হয় যে লোকটি ২০ বছর বয়সে মারা যায়। আরেকটি প্রাসঙ্গিক প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান হচ্ছে , যা খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীর হিসেবে ধারণা করা হয়। জেরুজালেম কবরস্থানে আবিষ্কৃত একটি অজ্ঞাত গোড়ালির হাড় এবং সঙ্গে একটি কাঁটা, যা এখন ইস্রায়েল প্রাচীন সম্পদ কর্তৃপক্ষ দ্বারা সংরক্ষিত ও ইজরাইলের জাদুঘরে এখনো প্রদর্শিত হয়। তাই মহামানব যীশুর মৃত্যুকে মানবতার চরম অবমাননা বলেই চিহ্নিত করা হয়।

খ্রিস্ট মতে খ্রিস্টীয় ১ম বছর ২৫ ডিসেম্বর মহাপ্রভু যীশুর জন্ম হয়। কিন্তু যীশুর মৃত্যু অমানবতার এক মর্মান্তিক নিদর্শন। যীশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর বিবরণ অজস্র গ্রন্থে লেখা থাকলেও ইসলাম ধর্মের একটা অংশ তা স্বীকার করেন নি। তাঁদের মতে যীশুকে হত্যা বা ক্রুশবিদ্ধ করা হয়।যদিও ইতিহাস তা স্বীকার করে না।

বিশ্বের ইতিহাস বলে, তাঁকে তৎকালীন রাজা পিলাতের আইনসভা কর্তৃক অন্যায়ভাবে ধরে এনে অপমান করা হয় এবং পরে রাজা পিলাতের কাছে পাঠানো হলে সে প্রথমে চাবুক মারার আদেশ দেন এবং পরবর্তীতে ক্রুশে দেবার আদেশ দেয় এবং অবশেষে রোমানরা তাঁকে ক্রুশে দেয়।ক্রুশবিদ্ধ করার আগে যীশু খ্রিস্টের শরীর থেকে তার কাপড় খুলে নিয়ে তাকে চাবুকের আঘাত করা হয় এবং পিত্ত মেশানো আঙ্গুর রস খেতে দেওয়া হয়। যীশুকে দু’জন দন্ডপ্রাপ্ত দস্যুর মাঝে তাঁকে ক্রুশে দেওয়া হয় এবং তার ক্রুশের উপর বিদ্রুপ করে লিখে দেওয়া হয় ” INRI” অর্থাৎ “এই ব্যক্তি যীশু, ইহূদীদের রাজা “। (Jesus Christ)

জোহনের লেখা সুসমাচারে উল্লেখ আছে যে, যীশুকে ক্রুশে দেবার পর একজন সৈন্য তার দেহে বর্শা দিয়ে খুঁচিয়ে নিশ্চিত হন যে তিনি মারা গেছেন কিনা। বাইবেল অনুসারে যীশু খ্রিস্ট ক্রুশেবিদ্ধ থাকা অবস্থায় সাতটি বাণী দেন এবং তার জীবদ্দশায় তিনি অনেক অলৌকিক কাজ করেন।যীশুর এই কষ্টভোগ এবং পরিত্রানের জন্য ক্রুশবিদ্ধ হওয়া খ্রিস্টান ধর্মতত্ত্ব অনু্যায়ী মানুষের পরিত্রান ও পাপ থেকে মুক্তির মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত।

এক শ্রেণীর গবেষক (মূলত ইসলাম ধর্মের গবেষকরা) যীশুর ক্রুশ বিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে অতিরঞ্জিত বললেও অধিকাংশ গবেষক এই ক্রুশ বিদ্ধের ঘটনাকে ঐতিহাসিক সত্য বলেই মনে করেন।সাম্প্রতিক একটি তথ্যে তার সমর্থ মেলে। ১৯৬৮ সালে জেরুজালেমের উত্তরপূর্বাঞ্চলে প্রথম শতাব্দীতে ক্রুশবিদ্ধ হওয়া এক ব্যক্তির দেহের পুরাতাত্ত্বিক আবিষ্কারে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রাচীন রোমান যুগে ক্রুশবিদ্ধকরনের ঘটনা ঘটেছিল এবং তার ধরন বাইবেলের সুসমাচারে বর্ণনা করা যীশুর ক্রুশবিদ্ধকরনের সাথে প্রায় সম্পূর্ণ মিলে যায়।

ক্রুশবিদ্ধ মানুষটিকে ইয়হোন্না বেন হাগকোল বলে চিহ্নিত করা হয় এবং ধারণা করা হয় রোমের বিরুদ্ধে ইহুদি বিদ্রোহের সময় প্রায় ৭০ খ্রিস্টাব্দে তার মৃত্যু হয়।হেডাস মেডিকেল স্কুল এর এক গবেষণায় ধারণা করা হয় যে লোকটি ২০ বছর বয়সে মারা যায়। আরেকটি প্রাসঙ্গিক প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান হচ্ছে , যা খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীর হিসেবে ধারণা করা হয়। জেরুজালেম কবরস্থানে আবিষ্কৃত একটি অজ্ঞাত গোড়ালির হাড় এবং সঙ্গে একটি কাঁটা, যা এখন ইস্রায়েল প্রাচীন সম্পদ কর্তৃপক্ষ দ্বারা সংরক্ষিত ও ইজরাইলের জাদুঘরে এখনো প্রদর্শিত হয়।
তাই মহামানব যীশুর মৃত্যুকে মানবতার চরম অবমাননা বলেই চিহ্নিত করা হয়। (Spiritual)

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *