ভারত মানেই মন্দিরের দেশ। এখানে আছে অজস্র দেব-দেবী, আবার আছে বহু মঠ-মন্দির। আজকের প্রতিবেদনে আমরা তেমনই আশ্চর্যের ৫টি মন্দিরের কথা জানাবো – যে মন্দিরগুলো মানুষকে চিরকাল বিস্মিত করে।
১) চাইনিজ কালী মন্দির (কলকাতা): চায়না টাউনের নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই। বেশিরভাগ এলাকাবাসীই বংশ পরম্পরায় চিনা। তাঁরাই এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা। মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী কালী।যাঁকে চিনা ভক্তরা ভোগ দেন নুডলস আর চপসে। এখানেই শেষ নয়। কালীপুজোর দিন প্রায় সবাই ছুটি নিয়ে উত্সবে যোগ দেন।
২) ব্রহ্মা মন্দির (পুষ্কর): পৃথিবীর একমাত্র ব্রহ্মা মন্দির রাজস্থানের পুষ্করে। মন্দিরে চার মুখওয়ালা ব্রহ্মা দেবের মূর্তি। ১৪শ শতকে তৈরি এই মন্দির নিয়ে নানা গল্প আছে। স্থানীয় মানুষদের বিশ্বাস, সমস্ত দেব-দেবীদের নিয়ে এখানে ব্রহ্মা যজ্ঞে বসেছিলেন। সেই সময় তাঁর হাত থেকে একটি পদ্ম পড়ে যায়। এবং পরে সেটি একটি সরোবরে রূপান্তরিত হয়।
৩) কামি মাতা মন্দির (দেশনোক): বাড়িতে একটা ইঁদুর দেখলেই সবাই বাড়ি মাথায় করে ফেলে। আর রাজস্থানের বিকানিরের কাছে দেশনোকে গোটা একটা মন্দিরে ইঁদুরের রাজত্ব! এবং মহা সমারোহে ইঁদুরপুজো হয়। কারণ, মা দুর্গার অংশজাত কামি মাতার অবতার নাকি এই মূষিককুল। তাই মন্দিরে এদের এত বোল-বোলাও।
৪) বুলেট বাবা মন্দির (যোধপুর): ১৯৮৮ সালে ওম বান্না বাংদি শহর থেকে ছোটিলা যাচ্ছিলেন। পথ দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। বাইকটি অক্ষত ছিল পরের দিন স্থানীয় লোকেরা বাইকটিকে থানায় জমা দিয়ে আসে। কিন্তু অবাক কাণ্ড! কিছুক্ষণ পরেই থানায় নয় বাইকটিকে দেখা যায় সেই দুর্ঘটনাগ্রস্থ এলাকায়। এরপর যতবার বাইকটিকে সরানোর চেষ্টা করা হয়েছে ততবার সেটি আবার স্বস্থানে ফিরে গিয়েছে। তারপর থেকেই পালি জেলায় ওই বাইকটিকে ঘিরে মন্দির তৈরি হয়েছে।
৫) বদোদরার অদৃশ্য মন্দির: বদোদরা স্ট্যান্ডের থেকে ৪০ কিমি দূরে আরব সাগরের মধ্যে স্তম্ভেশ্বর মহাদেবের এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত। জলের পরিমাণ কম থাকলে মন্দির দৃশ্য হয়। জল বাড়লেই এটি অদৃশ্য। তাই পর্যটকদের কাছে এই মন্দির বদোদরার অদৃশ্য মন্দির নামেই খ্যাত।