www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

December 3, 2024 5:03 pm

খবরে আমরাঃ রক্ষকই ভক্ষক! হাসপাতালেই রোগীর আত্মীয়র শ্লীলতাহানি। সেই সঙ্গে যুবতীকে নগ্ন করে তোলা হল ভিডিও, ছবি। এমনই ন্যক্কারজনক কান্ডে অভিযুক্ত মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চার নিরাপত্তারক্ষী। তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তারর করেছে পুলিশ। শুক্রবার মাঝরাতে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এমনই কাণ্ড ঘটেছে বলে অভিযোগ। কোনও রকমে পালিয়ে ওই যুবতী অভিযোগ দায়ের করেন ইংলিশবাজার থানায়। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, চারজন নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তারা মহিলার ভিডিও তুলেছে। তারও তথ্য প্রমাণ মিলেছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি তিনজনের খোঁজ চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

যে ঠিকাদার সংস্থার অধীনে এই নিরাপত্তারক্ষীরা কাজ করছিল সেই ঠিকাদার সংস্থাকেও তলব করেছে জেলা পুলিশ প্রশাসন। এই ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পাশাপাশি রোগী এবং রোগীর আত্মীয় স্বজনদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অতীতে প্রাক্তন সৈনিকদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হত। কিন্তু ইদানিং এক ঠিকাদার সংস্থাকে সেই বরাত দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয়, এমন ছেলেদেরও নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও এই শ্রীলতাহানি এবং মহিলার ভিডিও তোলার ঘটনা প্রসঙ্গে কিছু জানাতে চাননি মালদহের মেডিক্যাল সুপার পুরঞ্জয় সাহা।

জানা গিয়েছে, পুরাতন মালদহ এলাকার বাসিন্দা এক যুবতী গভীর রাতে ইংলিশবাজার থানার অভিযোগ করেন,তাঁর এক আত্মীয় হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন। সেই আত্মীয়কে দেখাশোনা করার জন্য তিনি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছিলেন। এরপর তিনি হাসপাতাল চত্বরে কিছু জিনিস কিনতে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী তাকে তুলে নিয়ে যায় তাদের অফিস ঘরে ও শ্লীলতাহানি করে। শুধু তাই নয়, তাঁর অশ্লীল ভিডিও তোলা হয়। কোনও রকমে পালিয়ে সেখান থেকে সোজা তিনি ছুটে যান থানায়। চারজন নিরাপত্তারক্ষীর নামে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। গোটা ঘটনা নিয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং ওই নিরাপত্তারক্ষী সংস্থার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *