অপহৃত শূকর ছানা ‘ঘনা’র খোঁজে এবার নদীয়ার (Nadia) পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) বিচারপতি শম্পা সরকার (Justice Sampa Sarkar)। পাসাপাশি কল্যানী থানার (Kalyani Police) তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকায় বিরক্ত আদালত তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার মামলার শুনানিতে ঘটনার সন্ধান দিতে না পারায় এই অপহরনে পুলিশের ভুমিকায় বিরক্ত বিচারপতি। তিনি পুলিশি তদন্তে সন্দেহ প্রকাশ করে মন্তব্য করেন, আদৌ কি পুলিস তত্পর? নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া শুয়োর ঘনার খোঁজে কল্যাণী থানার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। পুলিস কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে জানালেও তাতে খুশি নন তিনি।
এদিন মামলা শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সরকারি আইনজীবী উদ্দেশ্য প্রশ্ন অভিযোগের ভিত্তিতে কেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অফ অ্যানিমেল অ্যাক্টে অভিযোগ আনা হল না? আবেদনকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে যে গাড়িতে ঘনাকে অপহরণ করা হয়েছে, সেই গাড়ির ভিডিও থাকলেও, কেন অপহরণকারীরা চিহ্নিত হয়নি?
মামলাকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, ঘনা আসলে একটি শূকর। বাচ্চা বয়স থেকেই সে বেড়ে ওঠে কল্যাণী আদালত চত্বরে (Kalyani Sub Division Court)। আদালতে যাদের নিয়মিত যাতায়াত আইনজীবী থেকে বিচারক এবং অবশ্যই মামলাকারি ,তাদের স্নেহেই বড় হয়ে ওঠে ঘনা।
মামলার বয়ান অনুযায়ী গত ২৫ মার্চ ২০২২ সালে বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট নাগাদ একটি সাদা গাড়ি ঢোকে আদালত চত্বরে। সেই গাড়ি থেকে নেমে আসে ৪ জন। তারাই ঘনাকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। সিসিটিভির ফুটেজে (CCTV) ধরা পড়েছে সেই ছবি ধরা পড়েছিল। কল্যাণী থানায় অভিযোগ করেন আইনজীবী অনুমিতা ভদ্র।
মামলাও হয় কল্যাণী এসিজেএম আদালতে। বিচারক নির্দেশ দেন যেভাবেই হোক ঘনাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। কিন্তু এখনও ঘনার হদিস মেলেনি। এরপর মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
বিচারপতি শম্পা সরকার নির্দেশ দেন অবিলম্বে কল্যাণী থানার তদন্তকারী আধিকারিকের বিরুদ্ধে জেলা পুলিস সুপারকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। এবং নদিয়ার পুলিস সুপারের নজরদারিতে তদন্ত চলবে। দ্রুত তদন্ত করে পুলিসকে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং কল্যাণী আদালতের জন্য পুলিসকে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।পাশাপাশি এদিন মামলাটি নিষ্পত্তি করে দেন বিচারপতি সরকার।