www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

April 25, 2024 10:57 am
chhath puja ছট পুজো

হিন্দু ধর্মে সূর্যের উপাসনা, সাধনা, অর্ঘ্যের বিশেষ মাহাত্ম্য আছে। সমস্ত দেবী-দেবতাদের মধ্য়ে সূর্যই একমাত্র প্রত্যক্ষ দেবতা। শাস্ত্রে সূর্যকে জগতের আত্মা মনে করা হয়। সূর্য রশ্মি অন্ধকার দূর করে। তাঁর রশ্মি সমস্ত জীব-জন্তু, বনস্পতি ও মানুষের জীবনকে সমৃদ্ধ করে। জ্যোতিষ শাস্ত্রেও সূর্যের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে।

শুরু হয়েছে ছট পুজো। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী দীপাবলীর পর ছট পুজো করা হয়ে থাকে। এই মহোৎসবে সূর্য ও ষষ্ঠী দেবীর পুজো করা হয়ে থাকে। চারদিন এই পুজো চলে। কঠিন নিয়ম পালনের মধ্যে দিয়ে এই পুজো সম্পন্ন করা হয়। এই পুজো আবার সূর্য ষষ্ঠী নামেও পরিচিত। এই পুজোয় উপবাস থেকে সূর্য ও ষষ্ঠী দেবীর আরাধনা করা হয়। শেষের দুদিন অর্থাৎ ষষ্ঠী ও সপ্তমীর দিনে সূর্যকে অর্ঘ্য দিয়ে এই পুজো সম্পন্ন করা হয়। চলতি বছর কবে ছট পুজোর কোন দিন, আবার অর্ঘ্য দেওয়ার শুভ সময় কখন, ইত্যাদি সমস্ত কিছুই জেনে নিন এখানে।

ছট পুজোর তিথি (Chhath Puja 2022 Date)

ছট পুজোর প্রথম দিন নাহায়-খায় নামে পরিচিত। এই তিথি থেকেই পুজো শুরু। ২৮ অক্টোবর, শুক্রবার নাহায়-খায়।

ছট পুজোর দ্বিতীয় দিনকে বলা হয় খরনা। ২৯ তারিখ, শনিবার এটি পালিত হবে।

ছট পুজোর তৃতীয় দিনে জলে দাঁড়িয়ে উপাসনা করার পর অস্তিমিত সূর্যকে অর্ঘ্য দেওয়া হয়। ৩০ অক্টোবর, রবিবার প্রথম বা সন্ধ্যা আর্ঘ্য।

ছট পুজোর চতুর্থ ও শেষ দিন উষা অর্ঘ্যের মাধ্যমে উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। ৩১ অক্টোবর, সোমবার উদিত সূর্যকে অর্ঘ্য দেওয়া হবে।

অর্ঘ্য দেওয়ার শুভক্ষণ (Chhath Puja 2022 Arghya Timing)

প্রথম বা সন্ধ্যা অর্ঘ্যের সময়- ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৫টা ৩৭ মিনিট থেকে।

দ্বিতীয় বা উষা অর্ঘ্য- ৩১ অক্টোবর সকাল ৬টা ৩১ মিনিট থেকে।

ছট পুজোর ধর্মীয় মাহাত্ম্য (Chhath Puja 2022 Importance)

হিন্দু ধর্মে সূর্যের উপাসনা, সাধনা, অর্ঘ্যের বিশেষ মাহাত্ম্য আছে। সমস্ত দেবী-দেবতাদের মধ্য়ে সূর্যই একমাত্র প্রত্যক্ষ দেবতা। শাস্ত্রে সূর্যকে জগতের আত্মা মনে করা হয়। সূর্য রশ্মি অন্ধকার দূর করে। তাঁর রশ্মি সমস্ত জীব-জন্তু, বনস্পতি ও মানুষের জীবনকে সমৃদ্ধ করে। জ্যোতিষ শাস্ত্রেও সূর্যের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। যে জাতকের কোষ্ঠীতে সূর্য উচ্চ, তাঁরা তেজী, গুণী, আত্মবিশ্বাসী হয়। এঁরা জীবনে প্রচুর মান-সম্মান লাভ করে ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়। অন্য দিকে সূর্যের বোন ষষ্ঠীর আরধনার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। শাস্ত্র মতে ষষ্ঠী ব্রহ্মার মানস কন্যা। তিনি কাত্যায়নীর স্বরূপ। নিজের সন্তানের দীর্ঘায়ু, সুস্বাস্থ্য, সুখ-সমৃদ্ধির জন্য এই পুজো করা হয়।

ছট পুজো অত্যন্ত কঠিন ব্রত। এ সময় খরনার দিন থেকে দ্বিতীয় বা উষা অর্ঘ্য না-দেওয়া পর্যন্ত প্রায় ৩৬ ঘণ্টার নির্জলা উপবাস রাখা হয়। এই পুজোর প্রধান প্রসাদ ঠেকুয়া। কুলোর মধ্যে ঠেকুয়া, নারকেল, ফল-সবজি সাজিয়ে যে কোনও নদী বা জলাশয়ে যাওয়া হয়। যিনি ছট পুজোর উপবাস করেন, তাঁকে প্রচুর নিয়মকানুন মেনে এই ব্রত সম্পন্ন করতে হয়। ষষ্ঠীর দিনে সন্ধ্যা বেলা জলে দাঁড়িয়ে সূর্যের আরাধনা করার পর পরিবারের সদস্যরা এক এক করে কুলোয় দুধের অর্ঘ্য দেন। তার পর উষা অর্ঘ্যের সময়েও একই নিয়ম পালন করা হয়। এ ভাবে ৩৬ ঘণ্টা পর উপবাস ভঙ্গ করা যায়। উল্লেখ্য ছট পুজোর দ্বিতীয় দিন, অর্থাৎ খরনায় লুচি ও পায়েসের ভোগ রান্না করে নিবেদন করা হয়। লুচি পায়েস থেকে শুরু করে পুজোর জন্য ব্যবহৃত ঠেকুয়া এ সবই মাটির উনুনে তৈরি হয়।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *