ওঁ সূর্যপুত্রায় বিদ্মহে মৃতুরূপায় ধীমহি তন্নোঃ সৌরিঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম মন্ত্র: ওঁ নীলাঞ্জনচয়প্রখ্যং রবিসূতং মহাগ্রহম্। ছায়ায়া গর্ভসম্ভূতং ত্বং নমামি শনৈশ্চরম্।।
অলসতা এবং কমফোর্ট জোন থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে এনে জীবনের সব থেকে কঠিন সময়ের সামনে দাঁড় করান শনি দেব। এই কারণেই তো সবাই মনে মনে প্রার্থনা করেন এ জীবনে যেন শনির দৃষ্টি না পরে। কারণ একবার যদি দেবের দৃষ্টি কারও উপর পরে, তাহলে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না। কিন্তু শত চেষ্টার পরেও কী সর্বশক্তিমানের প্রকোপ থেকে বেঁচে থাকা যায়? তাই প্রশ্ন হল খারাপ সময় চলাকীলান শনি দেবের আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে যাতে না হয়, তার জন্য কী কী করা যেতে পারে? এক্ষেত্রে এই প্রবন্ধে আলোচিত মন্ত্রগুলি নিয়মমাফিক করে প্রতি শনিবার পাঠ করতে হবে। তাহলেই দেখবেন শনির সাড়ে সাতি কেটে যাবে, সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের কষ্ট কমতেও সময় লাগবে না। শুধু কি তাই, মিলবে আরও অনেক উপকার।
শনির দোষ কাটাতে: “ওম ত্রয়ম্বকম ইজামাহে সুগন্ধম পুষ্টি-বার্ধানাম উর্বারুকা মিভা বন্ধনাম মৃত্যুর মুকশো মামরাত…”, এই মন্ত্রটি প্রতি শনিবার ১০৮ বার পাঠ করলে শনির দোষ কেটে যেতে সময় লাগে না। ফলে দীর্ঘ সাত বছর শনি দেবের প্রকোপ সহ্য় করতে আর হয় না। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে, শনির সাড়ে সাতি কেটে গেলে জীবনের প্রতি বাঁকে সফলতার স্বাদ মেলে। শুধু তাই নয়, শাস্ত্র মতে এই শনি মন্ত্রটি জপ করা শুরু করলে আশেপাশে পজেটিভ শক্তির প্রভাব এতটা বেড়ে যায় যে কোনও খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও যায় কমে।
সফলতার চুড়ায় ওঠার জন্য: শাস্ত্র মতে প্রতি শনিবার “ওম শাম শানিশ্চারায় নমহঃ”, এই মন্ত্রটি ১০৮ বার জপ করলে জীবন পথে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা নানাবিধ বাঁধার পাহাড় সরে যায়। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা লাভের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। এখানেই শেষ নয়, এই মন্ত্রটিকে সমৃদ্ধির মন্ত্র বলা হয়। তাই তো নিয়ম করে এই মন্ত্রটি পাঠ করলে এবং শনি দেবের আরাধনা
যে কোনও দুঃখ দূর করতে শনি বেজ মন্ত্র: নানাবিধ দুঃখের মারে কি জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে? তাহলে বন্ধু যত শীঘ্র সম্ভব শনি দেবের আরাধনা শুরু করুন। দেখবেন ফল মিলতে সময় লাগবে না। এক্ষেত্রে প্রতি শনিবার স্নান সরে পরিষ্কার জামাকাপড় পরে শনি বেজ মন্ত্র জপ করতে হবে। তাহলেই একের পর এক দুঃখের পাহাড় সরে যেতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে খারাপ দৃষ্টির প্রভাবে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও যাবে কমে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল- “আম প্রাণ প্রেম প্রন সে শনিশ্চরায় নমহঃ”।
সুখ সমৃদ্ধির ছোঁয়া পেতে: লক্ষ জন্ম পেরিয়ে পাওয়া এই মানব জন্মে অপার সুখের সন্ধান পেতে কে না চায় বলুন! কিন্তু কীভাবে সুখের সন্ধান মিলতে পারে, সে বিষয়ে আনেকেই জানেন না। তাই তো আজ আপনাদের এমন একটি শনি মন্ত্রের সম্পর্কে জানাতে চলেছি, যা নিয়মিত ১০৮ বার পাঠ করলে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া পেত সময় লাগে না। এক্ষেত্রে শনি বার, শনি দেবের সামনে বসে একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে “শাজায়াম চ ভার্তিশানইয়াকতাম ভাহানিনা ইয়াজিতাম মায়া দীপাম গ্রিহান দেবাশন ত্রিলোকিয়া তিমিরা পাহাম!”, এই মন্ত্রটি জপ করতে হবে। প্রসঙ্গত, পর পর চারটি শনিবার যদি এই ভাবে শনি দেবের আরাধনা করতে পারেন, তাহলে ব্যাপক লুফল মেলে।
শনি গায়েত্রী মন্ত্র: মনের জোর বাড়াতে এবং অর্থনৈতিক উন্নতি লাভের পথ প্রশস্ত করতে এই মন্ত্রটি জপ করা যেতে পেরে। শুধু তাই নয়, শাস্ত্র মতে এই মন্ত্রটি নিয়মিত পাঠ করলে কর্মক্ষত্রে পদন্নতি লাভের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে সকাল সকাল উঠে স্নান সরে এক মনে ১০৮ বার মন্ত্রটি জপ করতে হবে। তাহলেই ধীরে ধীরে সুফল মিলতে শুরু করবে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল: “আম শনিশ্চারায় ভিদমাহে ছায়াপুত্রায়া ধিমাহে তানো মান্দঃ প্রাচোদায়াত”।