নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (Netaji Subhas Chandra Bose) অন্তর্ধান রহস্যের সমাধানে দেশ-বিদেশে থাকা গোপন ফাইলগুলি সংগ্রহে যথাযথ পদক্ষেপের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আইএস টু শাখার এনএসএ বিভাগকে নির্দেশ দিল অমিত শাহর দপ্তর। নেতাজি রহস্য নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কড়া চিঠি দিয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি অবিলম্বে বাকি ফাইল প্রকাশের দাবি করেন। তাছাড়া জাপান বা অন্য দেশে থাকা ফাইলগুলি সংগ্রহে জোর দেন।
রেনকোজি মন্দিরের চিতাভস্মের ডিএনএ পরীক্ষার দাবি জানান। তাছাড়া উত্তরপ্রদেশে বিতর্কিত গুমনামি বাবার সংগ্রহশালা সকলের জন্য খুলে দেওয়ার দাবি করেন। অমিত শাহ প্রথমে কুণালের চিঠির জবাব দেন। তারপর চিঠিটি পাঠিয়ে দেন সংশ্লিষ্ট বিভাগে। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সমন্বয় শাখা থেকে আইএস টু শাখার এনএসএ বিভাগে নির্দেশ যায়। এই এনএসএ বিভাগই নেতাজির অন্তর্ধান সংক্রান্ত বিষয়গুলির দায়িত্বে। সেখানে যথাযথ পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিভাগীয় এই নথির কপিও পেয়েছেন কুণাল। তিনি সরাসরি সেখানে যোগাযোগও করেছেন।
চিঠিতে কুণালের আরও দাবি ছিল, নেতাজিকে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর স্বীকৃতি দিয়ে তা পাঠ্যপুস্তকে আনা হোক। কারণ অল্পসময়ের জন্য হলেও ভারতের একটি অংশে আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন নেতাজি। তাঁকে স্বীকৃতি দিয়েছিল ছ’টি দেশ। অমিত শাহের চিঠি এবং বিভাগীয় সার্কুলারে অবশ্য এনিয়ে কিছু বলা নেই। এপ্রসঙ্গে কুণাল বলেন, “নেতাজি নিয়ে অনেকরকম কর্মসূচি হলেও আসল কাজটি কেন্দ্র করছে না। মুখার্জি কমিশন বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যুর সম্ভাবনা নস্যাৎ করায় অন্তর্ধান রহস্যের প্রকৃত সমাধানের প্রয়োজন আরও বেড়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আমার চিঠির নতুন করে যথাযথ পদক্ষেপের কথা বলেছে। তাতে কার্যকরী ফলাফল দেখতে চাই।”
উল্লেখ্য, নেতাজি গবেষক চন্দ্রচূড় ঘোষের সাফ উপসংহার, “বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়নি। এটি পরিকল্পিতভাবে ছড়ানো গল্প। নেতাজি তারপরেও বেঁচে ছিলেন। এক প্রবল প্রভাবশালী লবি এই তদন্তের কাজ কখনওই এগোতে দেয় না।”