খবরে আমরাঃ রামপুরহাট-কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা শুরু করল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা গ্রহণ করে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন। আজ দুপুরেই মামলার শুনানি হবে। এদিকে, তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন ও তার জেরে একাধিক বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানি হয়েছে। সরকারিভাবে আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক ঘণ্টা। তবে এখনও থমথমে বীরভূমের রামপুরহাটের) বগটুই গ্রাম। বুধবার সকালে ওই গ্রামে যান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ঘটনাস্থলে যায় ফরেনসিক টিমও।
বুধবার হাইকোর্টে কাজ শুরুর পরই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এবং সরকারি কৌঁসুলিকে এজলাসে ডেকে পাঠান প্রধান বিচারপতি। রামপুরহাট কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণের কথা জানিয়ে দেন তিনি। বুধবার দুপুর ২টোয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতি বলেন, “এই ধরনের ঘটনা জঘন্য অপরাধ। অবিলম্বে তদন্ত করা উচিত। ১০টি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হল। ঘরবন্দি করে মানুষকে পুড়িয়ে মারা হল। এই ধরনের ঘটনার পিছনে যারা আছে তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া দরকার।”
এদিকে, এই ঘটনার জেরে এখনও থমথমে গোটা বগটুই গ্রাম। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন প্রায় সকলেই। আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছেন গ্রামবাসীরা। তাই প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িই তালাবন্ধ। এদিন সকালে গ্রামে যান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাঁর দাবি, অগ্নিকাণ্ডে সদ্য বিবাহিত এক যুবক কোথায় মারা গিয়েছেন, তা দেখতে এসেছেন। যদিও তাঁকে গ্রামে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। তার ফলে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। এরপরই ঊর্দিধারীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। ‘অপদার্থ’ বলেও কটাক্ষ করেন। প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কায় সিপিএম নেতা।