খবরে আমরাঃ রাজ্যের পাঁচটি ধর্ষণ মামলায় শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য। এদি প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্ত ও বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য নেত্রা, শান্তিনিকেতন, নামখানা, ময়নাগুড়ি, পিংলার ধর্ষণের ঘটনায় ডিভিশন বেঞ্চের কাছে রিপোর্ট পেশ করেন রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল। এদিকে, নামখানা গণধর্ষণের ঘটনাতেও নতুন করে এদিন আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনকে তদন্তের উপর পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি এই ঘটনার নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার এবং সাক্ষীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, তদন্তের অগ্রগতি খতিয়ে দেখে তারপর সিবিআই তদন্তের আবেদন বিবেচনা করবে আদালত।এর আগে মাটিয়া, দেগঙ্গা, ইংরেজবাজার ও বাঁশদ্রোনী ধর্ষণ মামলার নজরদারির দ্বায়িত্বও দময়ন্তী সেনকে দিয়েছিল আদালত। এদিন পৃথকভাবে পিংলার ঘটনার তদন্তে পর্যবেক্ষনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিআইজি পারুল কুশ জানতে। পাশাপাশি, নির্যাতিতাদের নির্ভয়া স্কিমে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি আদালত ভাববে বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন, তদন্ত নিয়ে রাজ্য জানিয়েছে, ময়নাগুড়িতে প্রথমে ধর্ষনের চেষ্টা, পরে হুমকি এবং যার ফলশ্রুতিতে আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। পুলিশকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছে এমন অভিযোগও নেই। ভিডিও রেকর্ডিং করে গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহন হয়েছে। ২ জন গ্রেফতার হয়েছে। একজন আগাম জামিন পেয়েছে। আগাম জামিন খারিজের আবেদন করা হয়েছে। অন্যদিকে নেত্রা ধর্ষনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সাক্ষ্য গ্রহন, গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। মেডিক্যাল হয়েছে। অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন প্রমাণ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। নামখানা-কান্ডে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ। ২ জন গ্রেফতার হয়েছে। স্কেচ ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে।নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়েছে।ভিডিওগ্রাফি করে সাক্ষ্য গ্রহন, গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। শান্তিনিকেতন গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য গ্রহন হয়েছে। গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পুনঃনির্মাণ হয়েছে। মেডিক্যাল হয়েছে। কাউন্সেলিং চলছে। টাওয়ার লোকেশন দেখে ঘটনাস্থল নিশ্চিত করা হয়েছে। নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। ৩ টি জায়গায় অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। পিঙ্গলা ধর্ষনের অভিযোগ দায়ের হয়। গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে। মেডিক্যাল হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। তথ্য – প্রমাণ সংগ্রহ হয়েছে।
আদালত সব কটি মামলার ক্ষেত্রেও তদন্তের ফের অগ্রগতি রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ। আগামি ২ রা মে রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
যদিও মামলাকারীদের বক্তব্য, তদন্ত ঠিক পথে এগোচ্ছে না। তথ্য প্রমাণ লোপাট করা হতে পারে। পুলিশে অনাস্থা। সঠিক সময়ে মেডিক্যাল হয়নি। সংগৃহীত নমুনার অপ্রয়োজনীয় ফরেনসিক পরিকাঠামো রাজ্যের নেই। নির্যাতিতা, সাক্ষী ও পরিবারের নিরাপত্তা প্রয়োজন। সব সময় যে প্রকৃত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তেমনটাও নয়। সিবিআই বা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির পর্যবেক্ষণের তদন্তের দাবি।