কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়োগ বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র তথা আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাসের আবেদনের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)।
প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব (Chief Justice Prakash Srivastab) ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনকারীর বক্তব্যকে মান্যতা দিয়ে জানিয়েছে, যে প্রক্রিয়ায় সোনালীকে রাজ্য পুনরায় উপাচার্য পদে নিয়োগ করেছে সেটা অবৈধ। নিয়ম মেনে হয়নি। ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর নির্দেশে বলেছে কলকাতা বিশ্ববিদালেয়ার আইন মতো উপচার্য নিয়োগে রাজ্যের হাতে কোনো অধিকারী বা ক্ষমতা নেই। তাই উচ্চ শিক্ষা দফতর নিয়োগ সংক্রান্ত যে নির্দেশিকা জারি করেছে সেটা খারিজ করা হলো। এদিন থেকে উপচার্য হিসাবে সোনালী চক্রবর্তী ব্যানার্জী ওই পদে কাজ করতে পারবেন না।
মামলাকারীর যুক্তি ছিল, গত বছর ২১ অগস্ট সোনালী চক্রবর্তীকে ( Calcutta University VC Sonali Chakroborty Banerjee) পুনরায় রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর উপাচার্য পদে নিয়োগ করে। কিন্তু নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও নিয়ম এর জন্য মানা হয়নি। এর জন্য কোনও নিয়োগ প্রক্রিয়া করা হয়নি। সোমানীর নিয়োগে রাজ্যপালের (Governor Of West Bengal) কোনও মঞ্জরি নেই। কলকাতা বিশ্বিদ্যালয়ের ১৯৭৯ সালের আইনমেনে এই নিয়োগ করা হয়নি।
শিক্ষাগত যোগ্য ও অভিজ্ঞতা থাকলেই তাঁকে নিয়োগ করা যায় না। প্রথম চার বছরের মেয়াদ শেষে রাজ্য ফের তাঁকে সরাসরি ওই পদে ফের চার বছরের জন্য নিয়োগ করে দেয়। অথচ এর জন্য উপাচার্য পদে যোগ্যদের তালিকা তৈরি, শিক্ষাগত যাচাই করে ইন্টারভিউ এবং পরিশেষে রাজ্যপালের যে অনুমোদন নেই। একজন উপাচার্যকে নিয়োগ করেন আচার্য।
উপাচার্য পদে নিয়ুক্ত হতে গেলে বিশ্বিদ্য়ালয়স্তরে পডানো ও আনুষাঙ্গিক কাজে নূন্যতম ১০ বছরের অবিজ্ঞতা থাকতে হয়। এি নিয়োগ বাছাইয়ের জন্য গঠন করার কথা একটি সার্চ কমিটি। যে কমিটিতে থাকবেন আচার্য মনোনীত প্রার্থী, ইউজিসির মনোনীত প্রার্থী, সেনেট প্রতিনিধি যাঁরা শিক্ষা ক্ষেত্রে থেকে এসেছেন।
কিন্তু রাজ্য এক্ষেত্রে শুধুমাত্র পূর্বের উপাচার্য পদে কাজের অবিজ্ঞতাকে হাতিয়ার করেই পুনরায় নিয়োগ করে দিয়েছে, যা অবেধ।
কলকাতা হাইকোর্ট সেই যুক্তিকেই মান্যতা দিল শেষ পর্যন্ত।