খবরে আমরাঃ রামপুরহাটের (Rampurhat) বগটুই কাণ্ডের ঢেউ আছড়ে পড়ল বিধানসভায়। সোমবার দিনের শুরুতেই বিজেপি (BJP) বিধায়কদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য বিধানসভার অন্দর। বগটুইতে নিরীহ মানুষজনের অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুতে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। স্পিকার তাঁদের থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে বেড়ে যায় বিক্ষোভের পারদ। সেই সময় ওয়েলে যুয়ুধান দুই শিবির। হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় বিজেপি ও তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে। পরে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলে অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা। তৃণমূল (TMC) বিধায়কদের সঙ্গে বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের কার্যত হাতাহাতিতে গেরুয়া শিবিরের ১০ বিধায়ক আহত হয়েছেন বলে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। জানা গিয়েছে, বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গার জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়। চশমা ভেঙে যায় এক বিধায়কের। চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের নাক ফেটে গিয়েছে। এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। অসিতবাবুর অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দ্বারা প্রহৃত হয়েছেন তিনি।
সোমবারই বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিন ছিল। এদিন অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভর্ৎসনার মুখে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। তাঁর অভিযোগ, ”আপনারা গত কয়েকদিন ধরে অধিবেশনের কাজ চালাতে সমস্যা তৈরি করেছেন। স্লোগান দিয়েছেন, চিৎকার করেছেন, ওয়াক আউট করেছেন।পুলিশ বাজেটেও আপনারা উপস্থিত থাকেননি।” অধ্যক্ষের এই বক্তব্যের পর ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা।
বগটুই কাণ্ডে সিট গঠন ও মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিজেপি বিধায়করা বাইরে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অশান্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও পরিষদীয় দলনেতা মনজ টিগ্গাকে সামনের সারিতে দেখা যায়।
এরপরই তৃণমূল বিধায়কদের সঙ্গে তাঁরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। মাটিতে ফেলে মারধর চলে বলে অভিয়োগ। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের নাক ফেটে যায়। তাঁকে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়। মনোজ টিগ্গার জামা ছিঁড়ে যায়। এরপরই শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা, নরহরি মাহাতো. দীপক বর্মন ও শংকর ঘোষ- পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব আনে তৃণমূল। সেই প্রস্তাবে সায় দিয়ে স্পিকার ৫ বিধায়ককে আগামী বাজেট অধিবেশন পর্যন্ত সাসপেন্ড করেন। এসবের প্রতিবাদে টুইট করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য।
ইতিমধ্য়ে ফিরহাদ হাকিম পৌঁছে যান। তিনি সবাইকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। মুখ্যমন্ত্রীকে ফোনে গোটা বিষয়টি জানান বলে খবর। সবমিলিয়ে, অধিবেশনের শেষদিন নজিরবিহীন অশান্তির সাক্ষী রইল রাজ্য বিধানসভা।