খবরে আমরাঃ দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী এলাকায় হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে হিংসা ছড়ানোর ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজন বাঙালি। এখনও পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে রয়েছে সুখেন সরকার ও সুরেশ সরকারের নামের দুই ব্যক্তি। এছাড়াও এই ঘটনার ‘মাস্টারমাইন্ড’ মহম্মদ আসলামের বঙ্গ-যোগের সন্ধান আগেই মিলেছে। জানা গিয়েছে আনসার হলদিয়ার ডোকারের বাসিন্দা। পাশাপাশি আরও দুই অভিযুক্ত সোনু শেখ ও আনসার শেখও হলদিয়ারই বাসিন্দা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? জানা গিয়েছে, সোনু ও আনসার হলদিয়ার রীতিমতো ধনী ঘরের সন্তান। পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে তাদের। অভিযুক্তদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশের ১৪টি তদন্তকারী দল।
আসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে গুলি চালানোর। সে করোনা কালে লকডাউনের সময় হলদিয়াতেই ছিল বলে জানা গিয়েছে। এর আগে ২০২০ দাঙ্গায় তার নামে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। এদিকে অভিযুক্ত সুখেনের স্ত্রী দাবি করেছেন, তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, জাহাঙ্গিরপুরী (Jahangirpuri) এলাকার একটি মসজিদের সামনে দিয়ে হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা যাওয়ার সময় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ শুরু হয়ে। একটি গোষ্ঠীর দাবি, শোভাযাত্রা চলাকালীন স্থানীয়রা ইট-পাথর ছোঁড়া শুরু করে। অপর গোষ্ঠীর আবার দাবি, শোভাযাত্রা থেকেই স্থানীয় দোকানপাটে ভাঙচুর চালানো হয়, মসজিদে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করা হয়। জানা গিয়েছে, সংঘর্ষে দুই পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে (CAA) কেন্দ্র করে দিল্লির এই অংশটিতেই ভয়াবহ দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছিল। যাতে অন্তত ৫৩ জন নিহত হন। আহত হন কয়েকশো মানুষ। বহু মানুষ নিখোঁজও ছিলেন। শনিবারের ঘটনা ২০২০ সালের সেই দাঙ্গার ভয়াবহতা ফের উসকে দিল। যদিও পুলিশের দাবি, এই মুহূর্তে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে।