www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

August 30, 2025 11:02 pm

খবরে আমরাঃ আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলছি।

মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতাকে আচমকা ফোন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ফোন পেয়ে আপ্লুত মেদিনীপুর শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি দীপঙ্কর ষণ্নিগ্রাহী। কিন্তু জানেন কেন এই ফোন? ব্যাপারটা ঠিক কী?

সে দিন বিকেলে ফোনটা পেয়ে অবাকই হয়েছিলেন মেদিনীপুরের এক তৃণমূলকর্মী। ঘাবড়েও গিয়েছিলেন। ফোনের ওপারে যে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! গোড়াতেই তিনি বলেন, ‘‘আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলছি…।’’

অভিষেকের ফোন যাঁর কাছে এসেছিল, সেই দীপঙ্কর ষণ্ণিগ্রাহী মেদিনীপুর শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি। তিনি মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের (বালক) শিক্ষকও। দলের এক সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে দীপঙ্করকে ফোন করে অভিষেক মেদিনীপুরে দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছেন। দীপঙ্কর বলছেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যা যা জানতে চেয়েছিলেন, সবই জানিয়েছি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমি যে অস্বস্তি বোধ করছিলাম, তা অভিষেক বুঝতে পারেন। নিজে থেকেই বললেন, নির্দ্বিধায় কথা বলবেন।’’

মেদিনীপুরে ২৫টি ওয়ার্ড। অভিষেক কেন দীপঙ্করকেই ফোন করলেন, তা নিয়ে দলে জল্পনা রয়েছে। তবে দীপঙ্কর যে ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি, সেই ১০ নম্বরে এ বার পুরভোটে জিতেছে সিপিএম। তৃণমূলের প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ ছিল। দীপঙ্করেরা প্রার্থী চেয়েছিলেন সঙ্গীতা পালকে। শুরুতে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকায় সঙ্গীতার নামই ছিল। পরে রাজ্য নেতৃত্বের সই করে পাঠানো তালিকায় নাম আসে মলি মহাপাত্রের। মলি এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলরের স্ত্রী। দলীয় নেতৃত্বের কাছে দীপঙ্করের দাবি, ভোটের সময়ে তাঁকে থানায় ডেকে পুলিশ প্রচারে নামতে বলেছিল। পাল্টা দীপঙ্করও পুলিশকে শুনিয়েছিলেন, তিনি স্কুলের শিক্ষক। শহরে তাঁর সম্মান আছে। এ ভাবে থানায় ডাকার দরকার ছিল না।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *