সঞ্জয় কুমার গুপ্তা। বর্ধমান শহর তো বটেই, নিজের দক্ষ হাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়েছেন যা আজ জেলার প্রথমসারিতে। বর্ধমান জাতীয় সড়কের ধারে একটি স্কুল দক্ষতার সাথে পরিচালনা করছেন। জেলার শিক্ষা প্রসারে তাঁর অবদান এখন স্বীকৃত। শুধু শহরের মানুষের শিক্ষা প্রসারে নয়, সামাজিক কাজেও তিনি প্রথমসারিতে। করোনা হোক কিংবা সাধারণ প্রতিবন্ধকতা, নিজের হাতে গাঙপুর এলাকায় মানুষের সেবাতেও তিনি। নিয়মিত তাদের মুখে তুলে দেন অন্ন।
গত ১৫ বছর ধরে স্কুল চালিয়েও শিশু শিক্ষা এবং ছোট ছোট নতুন প্রজন্মের জন্যে কিছু করার কথা দীর্যদিন ধরেই ভাবছিলেন। কিন্তু পুরোনো কাঠামোয় সেটা আটকে গিয়েছে বারবার।
তাই এবার আধুনিক শিক্ষার প্রতিষ্ঠান নিয়ে তিনি হাজির জোতরাম এলাকায়। গড়ে তুলেছেন নিজের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান। সেন্ট ভিনসেন্টস আকাডেমি।
কেন জানেন ? সঞ্জয় বাবু কী বলেন জানেন ?
স্বপ্ন। আমাদের লক্ষ্যপূরণের জন্য চাই একটা ছোট স্বপ্ন। আধুনিক পরিবেশে পড়াশোনা আর চরিত্র গঠনের মধ্য দিয়েই পূরণ হয় কাঙ্খিত স্বপ্ন। আর সেই স্বপ্নেরই নাম `ড্রিম টু অ্যাচিভ`।
শৈশব থেকে সেই স্বপ্নপূরণের দিনের জন্য গড়ে তুলতে লাগে একটা ভাল মানের স্কুল। বর্ধমানে হাজারো বেসরকারি স্কুলের মাঝে সেরা স্কুলকে বেছে নেওয়ার উপরেই নির্ভর করছে আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ।। সেই ভিড়ে একটু আলাদা ঐতিহ্য শহরের মানুষকে উপহার দিতে তৈরি সেন্ট ভিনসেন্ট`স আকাডেমি।
শহরের একটি বেসরকারি আইসিএসই/আইএসসি স্কুলের চেয়ারম্যান শ্রী সঞ্জয় কুমার গুপ্ত সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। আর নেবেন নাই বা কেন। গত ১৫ বছর ধরে ছাত্রছাত্রী তৈরির জন্য কয়েক হাজার অবিভাবক যে তাঁর উপরই ভরসা রেখেছে। সুযোগ্য প্রিন্সিপ্যাল হলেন একটি প্রখ্যাত বেসরকারি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষাবীদ জোসেফ কে আব্রাহাম। তাঁদের প্রতিশ্রুতি, প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে সুশিক্ষিত করার পাশাপাশি স্পোকেন ইংলিশে সহজ করে তোলা হবেই।
বর্ধমানের গাঙপুর স্টেশন রোডের উল্টোদিকে জাতীয় সড়কের ধারে নান্দুর-জোতরামে দু`একর জমি নিয়ে তৈরি সেন্ট ভিনসেন্ট`স আকাডেমি। নার্সারি থেকে লোয়ার কেজি, আপার কেজি থেকে ছাত্র তৈরির কাজ শুরু। বর্তমানে ক্লাস সিক্স পর্যন্ত পঠনপাঠনের সুবিধা রয়েছে।
শিশুদের মনের গঠনের কথা মাথায় রেখে পড়াশোনার পাশাপাশি মানসিক গঠনের জন্য রয়েছে প্লে স্টেশন, প্লে কর্ণার, আন্তর্জাতিক মানের লাইব্রেরি, কম্পিউটার ল্যাব। ৫৮০ স্কোয়ার ফুটের প্রতিটি বিশ্বমানের ক্লাসরুমে থাকছে ডিজিট্যাল মাধ্যমে পড়াশোনার সুবিধাও। যাতায়াতের জন্য রয়েছে নিজস্ব স্কুল বাস। শিশুদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বসেছে সিসিটিভি। অভিজ্ঞ শিক্ষক-কেয়ারটেকার-সেবিকারা থাকছেন।
বর্তমানে সব স্কুলের সঙ্গে সেন্ট ভিনসেন্ট`স আকাডেমিতে শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষের ভর্তির ফর্ম বিলি। জন্মলগ্নে তাই নির্দিষ্ট সংখ্যক ছাত্রছাত্রীকে এককালীন ভর্তির অ্যাডমিশন ফি-তে ৫০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে স্কুল। তাই যাঁরা এখনও মনস্থির করতে পারেননি সন্তানের স্কুল বাছাইয়ে, তারা একবার ঘুরে দেখতে পারেন। স্কুলের আধুনিক পরিকাঠামো আর সুযোগ সুবিধা আপনাদের দিতে পারে সেরা ঠিকানা।