খবরে আমরাঃ কোনও শিশু যদি যৌন হেনস্তার শিকার হয়, তাহলে তার অভিভাবকরা অভিযুক্তের সঙ্গে কোনও রকম বোঝাপড়ার মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে পারবেন না। সম্প্রতি একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার হাই কোর্ট এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে। কোন মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করল আদালত? জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে হরিয়ানার সিরসায় এক থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি পকসো ধারাতেও অভিযোগ আনা হয়। সেই মামলা প্রসঙ্গেই আদালতকে এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে দেখা যায়। বিচারপতি পঙ্কজ জৈনের বেঞ্চ পরিষ্কার জানিয়েছে, পকসো আইনে অভিযোগ দায়ের করে এফআইআর হলে সেখানে কখনওই সমঝোতার ভিত্তিতে বিষয়টা মিটিয়ে নেওয়া যাবে না। আদালতের বিবৃতিতে বলে হয়েছে, ”সমঝোতার অর্থ শিশুটির সম্মানের সঙ্গেও সমঝোতা করা। তাই কোনও অভিভাবকেরই অনুমতি নেই সমঝোতা করে নিজের শিশুর সম্মানের সঙ্গে সমঝোতা করা।” উল্লেখ্য, শিশুদের যৌন অপরাধ থেকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য যে আইন, তাকে ‘পকসো’ বলা হয়। পুরো কথাটি হল ‘প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস অ্যাক্ট’। ১৮ বছরের কমবয়সিদের ক্ষেত্রেই কেবল এই আইন প্রয়োগ করা যায়। ভারতে শিশুদের উপরে হওয়া যৌন হেনস্থা দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এক নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। সম্প্রতি চেন্নাইয়ে এক নাবালিকার সঙ্গে হওয়া নির্যাতনের ঘটনা সামনে এসেছিল। অভিযোগ ছিল, মায়ের অনুমতিতে তাঁর প্রেমিকের লালসার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। দিনের পর দিন ধর্ষণের (Rape) ধাক্কায় অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়ে সে। এই ধরনের অপরাধকে রুখতে মরিয়া প্রশাসন। এবার আদালত জানিয়ে দিল, কোনও ভাবেই কোনও নাবালিকার উপরে হওয়া যৌন হেনস্তার অভিযোগের ক্ষেত্রে সমঝোতা করা যাবে না অভিযুক্তের সঙ্গে।
