জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীতে নির্জলা একাদশী উদযাপিত হয় এবং এর সবচেয়ে বেশি ধর্মীয় তাৎপর্য রয়েছে। কথিত আছে যে এই উপবাস পালন করা ইচ্ছা পূরণের জন্য অত্যন্ত ফলদায়ক এবং ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ পাওয়া যায় উপবাস করে এই দিন একাদশী পালনে। এই একাদশীর শুভ উপলক্ষ্যে নির্জলা উপবাস রাখলে ভগবান বিষ্ণুর পাশাপাশি মা লক্ষ্মীও (Maa Laxmi) প্রসন্ন হন এবং গৃহে সম্পদ বৃদ্ধি পায়। এই উপবাস পালন করলে সকল অপূর্ণ ইচ্ছা পূরণ হয় (Spirituality)।
হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে একাদশী পালিত হবে ৩১ মে। বছরের সমস্ত একাদশীর (Nirjala Ekadasi) মধ্যে এই উপবাসটিকে সবচেয়ে কঠিন ও শুভ বলে মনে করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, যে ব্যক্তি এই উপবাসটি আন্তরিকভাবে পালন করে এবং দান করেন, তিনি ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ পাওয়ার যোগ্য হন। এই উপবাস পালনের কিছু নিয়ম শাস্ত্রে বলা হয়েছে এবং এই দিনে কোন কাজটি অশুভ তাও বলা হয়েছে। আমরা এই তিথি (Spiritual) পালনের পদ্ধতি জেনে নেব এখান থেকে।
নির্জলা একাদশীর উপবাস (Narayan) পালনের জন্য নিয়ম ও সংযম পালন শুরু হয় একদিন আগে অর্থাৎ দশমী তিথি থেকেই। ভগবান বিষ্ণুকে পীতাম্বরধারী হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে, তাই তাঁর পুজোয় হলুদ রঙের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়। হলুদ বস্ত্র, হলুদ ফুল, হলুদ ফল এবং হলুদ মিষ্টি নিবেদন করে শ্রী হরিকে (Sri Krishna) পুজো করুন। একটি কাঠের চৌকিতে হলুদ কাপড় বিছিয়ে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তি স্থাপন করুন এবং পঞ্চামৃত দিয়ে স্নান করান এবং তারপর হলুদ ফুল, হলুদ চাল এবং ফল অর্পণ করুন। সমস্ত উপাদান নিবেদনের পর একাদশীর ব্রতকথা পাঠ করুন এবং তারপর ওম নমো ভগবতে বাসুদেবায় মন্ত্র জপ করুন। শেষে শ্রী হরির আরতি করে পুজো শেষ করুন। সারাদিন সত্যিকারের ভক্তি সহকারে উপবাসের পর সন্ধ্যায় স্নান করে আবার ভগবানের পুজো করুন। পরের দিন দ্বাদশী তিথিতে উপবাস পালন করুন। এই পদ্ধতিতে উপবাস ও উপাসনা করলে নির্জলা একাদশীর উপবাসের পরিপূর্ণ ফল পাবেন এবং ভগবান আপনার উপর প্রসন্ন হবেন।
(collected)