বিষয়টা শুনলেই চমকে যেতে হয়। কিন্তু এটাই ওদের প্রচলিত সংস্কার। বিয়েকে কেন্দ্র করে এমন সংস্কার আর কোথাও নেই। আছে শুধু ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ায় বর্নেও অঞ্চলে তিদং উপজাতির মধ্যে। তাদের বিশ্বাস ‘বিবাহ’ এক পবিত্র বন্ধন। তাই পরবর্তী তিন দিন শৌচালয়ে যাওয়া অশুভ। তাদের বিশ্বাস, বিয়ের মতো পবিত্র একটি বিষয়ের পর শৌচাগারে যাওয়া দুর্ভাগ্য বয়ে আনে। উপজাতির সকলের সুরক্ষা-নিরাপত্তার কথা ভেবে এই নিয়ম মানা হয়। নবদম্পতিকে কড়া নজরে রাখা হয়। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে বিয়ের পর তাঁদের তালাবন্ধ করেও রাখা হয় যাতে এই নিয়ম না ভাঙে। যদিও এখন অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই নিয়ম আর মানা বয় না।
তিনদিন শৌচাগার ব্যবহার করতে না পারা নিঃসন্দেহে বিরাট চ্যালেঞ্জের বিষয়। অনেকের কল্পনাতেও আসবে না। আদৌ তিনদিন এভাবে কাটানো সম্ভব! চ্যালেঞ্জটা যাতে একটু হলেও কম হয়, সে কারণে নবদম্পতি খুবই সামান্য পরিমাণে খাবার এবং জল দেওয়া হয়। যাতে শৌচাগার ব্যবহারের প্রয়োজনই না আসে। এর ফলে স্বাস্থ্যের যে ঝুঁকি থাকে এ আর বলার প্রয়োজন পড়ে না। প্রস্রাব-মল আটকে রাখা যে কতটা ঝুঁকির এ আর বলার অপেক্ষা রাখে না।