এ এক ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী। ভারতের আইন বিরোধী হলেও নিজেদের মধ্যে আলোচনায় এটাই ঠিক করেছেন তিনজন। এই ঘটনা বিহারের পূর্ণিয়ার। প্রথম পক্ষের স্ত্রী রূপাউলি থানা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর দুই সন্তানও রয়েছে। যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজের সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে চাইছেন না তিনি। উলটে প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে না জানিয়েই অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেন ওই ব্যক্তি! বিষয়টি বিহার পুলিশের পরিবার পরামর্শ কেন্দ্রে পৌঁছয়। তারপরে একটা মধ্যস্থতায় আসেন সকলে।
প্রথম স্ত্রী ও দুই সন্তান থাকতেও গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন পূর্ণিয়ার এক যুবক। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। শেষে সমঝোতার পথে হেঁটে সিদ্ধান্ত হয়—দুই স্ত্রীর মধ্যে ভাগাভাগি হবে স্বামীর ভালোবাসা। কীভাবে? সপ্তাহের সাত দিনকে তিন টুকরো করা হবে। প্রথম তিন দিন প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন যুবক। বাকি তিন দিন থাকবেন দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে। সপ্তম তথা শেষ দিনটি নিজের মতো কাটাতে পারবেন অভিযুক্ত স্বামী। এভাবেই ভালোবাসাকে ভাগাভাগি করে জীবন কাটাতে চায় তিনজন। পরিবার পরামর্শ কেন্দ্রের হুঁশিয়ারিতে সমঝোতায় রাজি হন দুই মহিলা। তাঁদের জানানো হয়, যুবক যা করেছেন, তাতে করে তাঁর জেল পর্যন্ত হতে পারে। এর পরেই স্বামীকে ভাগভাগি করে নেওয়ায় বিষয়ে সহমত হন ওঁরা।