www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

April 20, 2024 7:15 pm
দেবী দূর্গার দশ অস্ত্র

ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে দুর্গা (Durga) হলেন সবচাইতে শক্তিশালী দেবতা! কারণ মহিষাসুরকে ধ্বংস করার জন্য সকল দেবতারা মিলে মা দুর্গাকে অস্ত্র দান করেছিলেন। আর তার ফলেই দেবী সকলের চাইতে শক্তিশালী হয়ে ওঠেন। দেবীর দশ হাত। আর দশ হাতে থাকে দশটি অস্ত্র।লপ্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে এই দশটি অস্ত্র দিয়েই মা তাঁর সকল ভক্তকে নানা বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করেন।

মহালয়া শেষ। শুরু হতে চলেছে নবরাত্রি। নয়দিন ধরে নটি দেবীর পুজো। তারই মাঢে আমাদের শারদীয়া দেবী দূর্গার পুজো। হিন্দুদের অন্যতম প্রধান উৎসব হল নবরাত্রি। নবরাত্রিতে দেবী দুর্গার নয় রূপের আরাধনা করা হয় নয় দিন ধরে। শুধু দেশ নয়, বিদেশেও হিন্দু ধর্ম সহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও দুর্গা পূজায় অংশগ্রহণ করেন।

ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে দুর্গা (Durga) হলেন সবচাইতে শক্তিশালী দেবতা! কারণ মহিষাসুরকে ধ্বংস করার জন্য সকল দেবতারা মিলে মা দুর্গাকে অস্ত্র দান করেছিলেন। আর তার ফলেই দেবী সকলের চাইতে শক্তিশালী হয়ে ওঠেন। দেবীর দশ হাত। আর দশ হাতে থাকে দশটি অস্ত্র। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে এই দশটি অস্ত্র দিয়েই মা তাঁর সকল ভক্তকে নানা বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করেন। এই অস্ত্রগুলিই আবার ভক্তের জীবনযাপনের নির্দেশও বহন করে। চলতি বছরে নবরাত্রি শুরু হচ্ছে সেপ্টেম্বর মাসের ২৬ তারিখে। এবং শেষ হচ্ছে অক্টোবরের ৪ তারিখে।(Durga Puja)

এবার দেখা যাক দশটি অস্ত্রের তাৎপর্য কী?

১) ত্রিশূল: দেবাধিদেব মহাদেব ত্রিশূল দান করেছিলেন মা দুর্গাকে। ত্রিশূলের তিনটি ফলা আসলে ‘ত্রিগুণ’-এর প্রতীক। প্রত্যেক জীবের মধ্যেই বর্তমান থাকে সত্ত্ব, রজঃ এবং তমঃ— এই ত্রিগুণ। সত্ত্ব হল ধর্ম জ্ঞান, রজঃ মানে অহঙ্কার এবং তমঃ মানে অন্ধকার।

২) সুদর্শন চক্র: ভগবান শ্রীবিষ্ণু তাঁর সুদর্শন চক্রটি দিয়েছিলেন দেবীকে। এই চক্র নির্দেশ করে, বিশ্ব নিয়ন্ত্রিত হয় দেবীর দ্বারা এবং ব্রহ্মাণ্ড আবর্তিত হয় সৃষ্টিকে কেন্দ্র করে।

৩) পদ্ম: দেবীকে পদ্ম দিয়েছিলেন ব্রহ্মাদেব। পদ্ম হল ব্রহ্মের প্রতীক বা জ্ঞানের প্রতীক। অর্ধস্ফুট পদ্ম মানব চেতনে আধ্যাত্মিক জ্ঞানের জাগরণকে নির্দেশ করে।

৪) তির এবং ধনুক: পবনদেব ও সূর্যদেব দেবীকে দিয়েছিলেন তির ও ধনুক। তির ও ধনুক হল প্রাণশক্তির প্রতীক। ধনুক যেখানে সম্ভাব্য ক্ষমতাকে নির্দেশ করে, এবং তির নির্দেশ করে গতিময়তা। একইসঙ্গে তির ও ধনুক দ্বারা বোঝানো হয় যে মা দুর্গা ব্রহ্মাণ্ডের সকল শক্তির উৎস।

৫) অসি: গণেশদেব মা দুর্গাকে দিয়েছিলেন অসি। এই অস্ত্র জ্ঞান এবং ধীশক্তির প্রতীক। অসি দ্বারা বোঝানো হয়, জ্ঞানের তীক্ষ্ণতা এবং দীপ্তি নির্দেশ করে বুদ্ধিকে।

৬) বজ্র: ইন্দ্রদেব মা দুর্গাকে দেন বজ্র অস্ত্রটি। বজ্র হল আত্মশক্তির প্রতীক। সামান্য মেঘের ঘর্ষণ থেকে যেভাবে অমিত বজ্রশক্তি উৎপন্ন হয় তেমনই আত্মশক্তি তৈরি হয় কর্ম থেকেই।

৭) বর্শা:  এই অস্ত্র পবিত্রতা এবং ভুল ও ঠিকের প্রতীক। অগ্নিদেব বর্শা প্রদান করেছিলেন মা দুর্গাকে।

৮) সর্প: মহাদেব অস্ত্র হিসেবে মা দুর্গাকে প্রদান করেছিল সাপ। সর্প হল  চেতনা ও শক্তির প্রতীক। দেবীর হাতে সাপ বোঝায়— চেতনার নিম্ন স্তর থেকেও সাধনার মাধ্যমে যে উচ্চতর পর্যায়ে পৌঁছনো যায়।

কুঠার: বিশ্বকর্মা কুঠার প্রদান করেছিলেন দেবীকে। অশুভের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক কুঠার। একই সঙ্গে যে কোনও পরিস্থিতিতে ভীত না হওয়ার প্রতীকও হল কুঠার।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *