এ বারে ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়া। ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠী। এ দিনেই হয় মা দুর্গার বোধন। মহালয়া মানেই পিতৃপক্ষের অবসান, আর দেবীপক্ষের বা মাতৃপক্ষের সূচনা। মহালয়ার দিন পিতৃ পুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করার রীতি প্রচলিত আছে। গঙ্গার ঘাটে ঘাটে এ দিন তর্পণ করেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। মহালয়ার গুরুত্ব হিন্দু ধর্মে অপরিসীম। মহালয়া শব্দের অর্থ মহান আলয় বা আশ্রম।
এ বারে মহালয়া (Mahalaya) পড়েছে ২৫ সেপ্টেম্বর। বাংলা তারিখ অনুযায়ী ৭ আশ্বিন রবিবার। ২৪ সেপ্টেম্বর, ৭ আশ্বিন রাত ২টো ৫৫ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড থেকে শুরু হচ্ছে অমাবস্যা তিথি। ২৫ সেপ্টেম্বর রবিবার রাত ৩টে বেজে ২৪ মিনিট ১৭ সেকেন্ড পর্যন্ত তা স্থায়ী থাকবে।
২০২২ সালের শুক্রবার ৩০ সেপ্টেম্বর মহাপঞ্চমী (Maha Panchami)। এ দিন থেকেই বাঙালির পুজো (Durga Puja 2022) শুরু। মহাষষ্ঠী পড়েছে ১ অক্টোবর, শনিবার (Bangla News)। এই দিনেই হবে মায়ের বোধন, আমন্ত্রণ এবং চক্ষুদান। ২০২২ সালে সপ্তমীর ভোর হবে ২ অক্টোবর। অষ্টমী পড়েছে সোমবার ৩ অক্টোবর। ৪ অক্টোবর মহানবমী। বিজয়া দশমী পড়েছে ৫ অক্টোবর, সেদিন বুধবার। অর্থাৎ মায়ের গমন বুধবারে।
আশ্বিন মাসের অমাবস্যায় পিতৃপক্ষের সমাপ্তি ঘটে। এই অমাবস্যা তিথিকে সর্বপিতৃ অমাবস্যা, বিসর্জনী বা মহালয়া অমাবস্যাও বলা হয়। চলতি বছর ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়া পালিত হবে। এ দিন পূর্বপুরুষদের বিদায় জানানো হয়। সর্ব পিতৃ অমাবস্যার মাহাত্ম্য ও পুজোর নিয়ম জেনে নিন এখানে।
হিন্দু ধর্মে অমাবস্যা (Pitru Paksha Amavasya2022) তিথির বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এ দিন পূর্বপুরুষদের নামে শ্রাদ্ধ করে বিভিন্ন ধরনের পদ রান্না করা হয়। তর্পণ ও খাদ্যের মাধ্যমে তাঁদের তৃপ্ত করা হয়। এ দিন মর্ত্যলোক থেকে পিতৃ লোকের উদ্দেশে যাত্রা করেন পূর্বপুরুষরা। এদিন সেই সমস্ত পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে শ্রাদ্ধ করা হয় যাঁদের মৃত্যুর তিথি জানা নেই বা কোনও কারণে কোনও পূর্ব পুরুষের শ্রাদ্ধ না-করলে এই তিথিতে তাঁদের শ্রাদ্ধ করবেন। মহালয়ার দিনে শ্রাদ্ধ করলে পূর্বপুরুষরা মুক্তি লাভ করেন। এ দিন খাবার রান্না করে কাক, গোরু ও কুকুরকে দেওয়া উচিত। এর পাশাপাশি ব্রাহ্মণদের ভোজন করাতে ভুলবেন না।