www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

April 19, 2024 2:39 pm
মলয় ঘটক (moloy ghatak)

কয়লা পাচার মামলাকে ঢাল করে তাই সিবিআইয়ের নজরে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক (Moloy Ghatak)। বুধবার সকাল থেকে টানা আট ঘণ্টা জেরা করে সিবিআই। আসানসোল ও কলকাতার মোট ৬টি বাড়িতে তল্লাশি চলে। তারপরেও বিকেলে হাসিমুখে ডালহৌসির সরকারি বাসভবন থেকে বেরলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। গাড়িতে ওঠার সময় হাত নাড়ান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কিছু বলতে নারাজ মন্ত্রী। “বিচারাধীন বিষয়ে কিছু বলব না”, বলেই জানান তিনি।

কয়লা পাচার (Coal Smuggling)

মুখে সেই পরিচিত হাসি। সকাল থেকেই রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের আসানসোল ও কলকাতার একাধিক বাড়িতে তল্লাশি-আট ঘন্টা জেরার পরেও সিবিআই আধিকারিকেরা রাজভবনে মন্ত্রীর আবাসন ছাড়তেই গাড়ি নিয়ে কাজে চলে গেলেন মলয়। মুখে সেই হাসি। সাংবাদিক-পুলিশের উদ্দেশে হাত নেড়ে একটাই কথা—-বিচারাধীন বিষয়। কিছু বলব না।

কিন্তু মন্ত্রীর বাড়িতে আচমকা এই হানা এখন দলের অন্দরেই একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। দলেরই কোনও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবশালীকে বাঁচাতে এবার মলয়কেই কী রাজনৈতিকভাবে বলির পাঠাঁ করতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee)। নাকি তাঁরই কোনও ঘনিষ্ঠের গ্রেফতারি এড়াতে সেই সেটিং তত্ত্বে এবার শিলমোহর দিলেন নেত্রী প্রকারন্তরে।

প্রশ্ন, কাউকে ছেড়ে রাখার বিনিময়ে নিজেরই কোনও ঘনিষ্ঠকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে সক্রিয় হয়েছে তৃণমূল (TMC)। রাজনৈতিক এই সব কথা উঠে আসবেই। নিন্দুকেরা বলছেন, গ্রেফতারির তালিকায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Avishek Banerjee) ও তাঁর স্ত্রী রুজিরার (Rujira Banerjee) পরে নিজেদের মেহমান হিসাবে পেতে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী ছিল সিবিআই (CBI)। সিবিআই নয়, বলা ভাল বিজেপি। কিন্তু সেটিং তত্ত্বের জনকেরা বলছেন, ফিরহাদ বা ববিকে ধরলে সবচেয়ে বেশী বিপাকে পড়েত পারেন মমতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরাই। তাই এদের বাঁচাতেই বা আড়াল করতে মলয়কেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে এগিয়ে দিয়েছে দল।

মলয় দীর্ঘদিন ধরেই মমতার ছায়া সঙ্গী হয়ে রয়েছেন তাতে সন্দেহ নেই। দলের নেত্রীর কথাই তাঁর কাছে সব। দলের বাইরে কোনও কথা তাঁকে বলতে শোনা যায়নি। এমনকী নেত্রীর চরমে খারাপ সময়েও মলয় নিজেকে সব সময়ে অন্তরালে রেখে পাশে থেকে গিয়েছে। দিল্লির রাজনীতিতে কিংবা দিল্লির আইনি লড়াইয়েও সেই অন্তরালে থেকে মমতা-অভিষেককে বাঁচিয়ে গিয়েছেন মলয়।

রাজনৈকিভাবে দেখতে গেলে আসানসোল দখলের জন্য পথের কাঁটা মলয়কে সরাতে আগ্রহী বিজেপি। বিশেষ করে মলয়ের হাত থেকে প্রাক্তন পুরসভার মেয়র জীতেন্দ্র তেওয়ারি একানে বড় ভূমিকা নিচ্ছেন। আসানসোলবসীর মতে, জীতেন্দ্রের সব দুর্নীতি সেই অন্তরালে থেকেই বিরোধীতা করে গিয়েছেন মলয়। তাই এবার বিজেপির নেতা হিসাবে নিজের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া জীতেন্দ্র।

অন্যদিকে বাবুল সুপ্রিয় আসানসোল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে আসন্ন লোকসভার আগে মলয়কে রাজনীতির ময়দান থেকে কয়েক মাস সরিয়ে রাখা ছাড়া উপায় নেই বিজেপির। মলয় সেখানে থাকলে তারা কোনও দিনই আসানসোল আর হাতে পাবে না, সেটা নিশ্চিত বিজেপি। বিশেষ করে গেল বিধানসভার পরে তা আরও পরিস্কার হয়ে গিয়েছে অঙ্কের হিসাবে। তাই একদিকে কলকাতায় মমতার ঘনিষ্ঠ মন্ত্রীকে সরিয়ে রাখা অন্যদিকে আসানসোল থেকে দূরে রাখার ছকরেই বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে মলয়কেই বেছে নিয়েছে সিবিআই।

কয়লা পাচার মামলাকে ঢাল করে তাই সিবিআইয়ের নজরে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক (Moloy Ghatak)। বুধবার সকাল থেকে টানা আট ঘণ্টা জেরা করে সিবিআই। আসানসোল ও কলকাতার মোট ৬টি বাড়িতে তল্লাশি চলে। তারপরেও বিকেলে হাসিমুখে ডালহৌসির সরকারি বাসভবন থেকে বেরলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। গাড়িতে ওঠার সময় হাত নাড়ান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কিছু বলতে নারাজ মন্ত্রী। “বিচারাধীন বিষয়ে কিছু বলব না”, বলেই জানান তিনি।

বুধবার সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা প্রথমে আসানসোলের ভগৎ সিং মোড়ে মলয় ঘটকের বাড়িতে হানা দেন। এরপর চেলিডাঙায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে যায় সিবিআই। সেখান থেকে আখতার গার্ডেনে মলয় ঘটকের অন্য বাড়িতে যান তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। জিটি রোডের বাড়িতেও যান তাঁরা। আসানসোলের পাশাপাশি কলকাতার লেক গার্ডেন্সের বেশ কয়েকটি বাড়িতেও যায় সিবিআই।

এদিকে, ডালহৌসির সরকারি বাসভবনেও যান সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁকে বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। একটানা প্রায় আট ঘণ্টা জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেখান থেকে বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বেরন তাঁরা। এরপর গাড়ি চড়ে বেরতে দেখা যায় আইন মন্ত্রীকে। সিবিআই জেরা এবং বাড়িতে তল্লাশি চলার পর হাসিমুখে সরকারি বাসভবন থেকে বেরতে দেখা যায় তাঁকে। সাংবাদিকদের দিকে তাকিয়ে হাতও নাড়েন তিনি। সিবিআই তৎপরতা নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নননি মন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিচারাধীন বিষয়ে কিছু বলব না।”

দিন এগিয়ে আসছে লোকসভা নির্বাচনের। তার আগেই কয়লা পাচার মামলার জট খুলতে তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Abhishek Banerjee) প্রায় সাতঘণ্টা জেরা করেছে সিবিআই। এবার মলয় ঘটকের বাড়িতেও চলল তল্লাশি। সিবিআই জেরাও করে তাঁকে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর দিল্লির সদর দপ্তরে আইন মন্ত্রীকে তলব করেছে ইডি। ওইদিন মলয় ঘটক দিল্লি যান কিনা, সেটাই এখন দেখার।

তবু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কয়লা পাচার হয়ে আসছে সেই বাম আমলের শুরু থেকেই. ফায়দা তুলেছে পুলিশ, ইসিএল আধিকারিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। অনেক প্রথম শ্রেণীর দৈনিকের সাংবাদিকেরাও সেই কয়লার পয়সাতেই আজ জায়েন্ট কিলার। তবু সব বেটাকে ছেড়ে এই বেড়ে ব্যাটাকে কেন?

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *