জ্যোতিষশাস্ত্রে কথিত আছে প্রতিটি গ্রহের প্রভাব কিন্তু প্রতিটি রাশির ওপরে পড়ে। যখন কোন খারাপ গ্রহের প্রভাব কোন রাশির ওপর পড়ে। তখন কিন্তু শুরু হয় অনেক অশান্তি। তখন কিন্তু অনেক লোকদের সংসারে অভাব তৈরি হয়। শুধু কি তাই! জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। চাকরি ক্ষেত্রে বিচ্ছেদ দেখা। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ পর্যন্ত দেখা দিতে পারে। দেখেও নেওয়া যাক কোন কোন রাশির খারাপ সময় উপস্থিত।
সিংহ রাশি– এই রাশির অধিপতি কিন্তু সূর্য। আর গ্রহদের মধ্যে সূর্যকে কিন্তু রাজা হিসাবে ধরা হয়। যখন এই রাশিতে সূর্য দুর্বল হয়ে পরে তাহলে ব্যক্তির অহংকার বাড়ে। সেই সঙ্গে হয়ে ওঠে হিন্সুটে। যদি অশুভ গ্রহ রাহু-কেতুর দৃষ্টি থাকে তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে শুরু করে। সব সময় এদের মাথা গরম থাকে। আর এই কারণেই এরা মাঝে মধ্যে সমস্যায় পড়েন। রাগের মাথায় এরা কী তা নিজেরাই জানেন না। মাথায় যা আসে তাইই করে থাকে। তাই এর থেকে বাঁচতে রবিবার সূর্যকে জল দেওয়া উচিত।
বৃশ্চিক রাশি– যদি এই রাশির লোকেরা খুব রেগে যান তাহলে এদের শান্ত করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। বৃশ্চিক রাশির অধিপতি মঙ্গল। এরা মঙ্গল গ্রহের প্রভাবে এই রাশির লোকেরা অন্যকে আদেশ দিতে পছন্দ করে। এদের কিন্তু ক্রমশ রাগ ও জেদ বাড়তে দেখা যায়। এরা রেগে যাওয়ার পর রাগের মাথায় অনেক কিছু বলে দেয় কিন্তু মাথা ঠাণ্ডা হলে আবার আফসোসও করেন। এই ব্যক্তিদের কিন্তু মাথা ঠাণ্ডা রাখা দরকার। এরা কিন্তু প্রচণ্ড রাগের অধিকারী হয়ে থাকেন। রাগের বশবর্তী হয়ে এরা অন্যকে মেরেও পর্যন্ত ফেলতে পারে। তাই এই রাশির লোক যখন রেগে যায় তখন তাঁদের সামনে যাওয়া উচিত নয়।
মকর রাশি– এই রাশির ব্যক্তিদের অধিপতি হল শনিদেব। শনি গ্রহ দুর্বল বা অশুভ ঘরে অবস্থান করে ব্যক্তি কিন্তু রেগে যান। রাগ ও বাক ত্রুটির কারণে বড় সমস্যায় পড়তে হয়। দাম্পত্য জীবনেও তাদের বিরোধ ও চাপের সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু তাঁরা এটা কাটিয়ে উঠতে পারে। তবে এই রাশির জাতক জাতিকাদের মেধাযুক্ত হয়ে থাকে। জ্যোতিষ শাস্ত্রের ১২ রাশির মধ্যে এই রাশির রাগ সব থেকে বেশি। এরা কিন্তু ঠাণ্ডা প্রকৃতির মানুষ। রেগে গেলে হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে যান এরা। তখন বড় ছোট কাউকেই পরোয়া করেন না। নিজেদের যা মনে হয় তাই করে থাকেন। তবে, এত রাগ তাঁদের কমানো দরকার। কারণ এতে তাঁদের শরীরও খারাপ হয়ে যায়। যদি এই ব্যক্তিরা তাঁদের রাগ এড়াতে শনিবার শনি মন্দিরে প্রদীপ জ্বালানো উচিত বা পুজো দিতে উচিত।