আচার্য চাণক্য তাঁর নীতিশাস্ত্রে সাফল্য, বিবাহ, বন্ধুত্ব, কর্মজীবন ও কর্মসংস্থান সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে আমাদের জানিয়েছেন। একইভাবে তিনি বলেছেন যে, কিছু সময় কথা বলার চেয়ে নীরব থাকা মানুষের পক্ষে ভাল। চলুন দেখে নেওয়া যাক কখন কথা বলা ভাল, আর কখন নীরব থাকা ভাল। “কথা রূপা, নীরবতা সোনা” এই প্রবাদটি বহুল প্রচলিত। এর অর্থ হল, নীরবতা কথার চেয়ে বেশি শক্তিশালী। কখনও কখনও আমাদের কথা আমাদের ব্যক্তিত্ব এবং অন্যদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট করে। তাই, চাণক্য বলে গিয়েছেন, কিছু পরিস্থিতিতে কথা বলার চেয়ে নীরব থাকা ভাল। আচার্য চাণক্য তাঁর নীতিশাস্ত্রে সাফল্য, বিবাহ, বন্ধুত্ব, কর্মজীবন ও কর্মসংস্থান সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে আমাদের জানিয়েছেন।
- কোন পরিস্থিতিতে কোনও ব্যক্তির চুপ থাকা উচিত? ** ১) বোকা লোকদের সঙ্গে কথা বলার সময়: চাণক্য বলে গিয়েছেন যে বোকা লোকদের সঙ্গে তর্ক করা অর্থহীন। বোকা লোকের সঙ্গে কথা বলার চেয়ে চুপ থাকা শ্রেয়। এইভাবে আপনি নিজের সম্মান বজায় রাখতে পারবেন। অপ্রয়োজনীয় ঝগড়া এড়িয়ে যেতে পারবেন। ** রাগের সময়: চাণক্য বলে গিয়েছেন যে, রাগ মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু। রাগের সময় নেওয়া সিদ্ধান্ত যেমন ভুল, তেমনই রাগের সময় কথা বলাও বড় ভুল। কারণ রাগের সময় কথা বললে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে। ঠিক কথাবার্তাও খুব কঠিন হয়ে ওঠে। তাই যতটা সম্ভব চুপ থাকা ভাল। ** একগুঁয়ে লোকদের সঙ্গে কথা বলার সময়: চাণক্য বলেছেন যে একগুঁয়ে লোকদের সঙ্গে কথা বলার সময় অপ্রয়োজনীয় কথা এড়িয়ে চলাই ভাল। কারণ একগুঁয়ে লোকেরা ভুল যুক্তি দেয়। তাঁরা ভুল কাজ করলেও বলতে থাকে সঠিক কাজটি করেছে। এই ধরনের লোকদের সঙ্গে তর্ক করাই বৃথা। ** মাদকাসক্তদের সঙ্গে:
আচার্য চাণক্য বলেছেন যে মদ্যপ বা মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলা অর্থহীন। এই ধরনের লোকদের সঙ্গে কথা বলা সময়ের অপচয়। এতে মারপিটের সম্ভাবনা বাড়ে। তাই, চুপ থাকা এবং এই ধরনের লোকদের সঙ্গে কথা না বলাই ভাল। ** কঠিন পরিস্থিতিতে:
জীবনে যখন আপনি কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হন, তখন যতটা সম্ভব নীরব থাকা ভাল। এই ধরনের পরিস্থিতিতে নীরবতা বজায় রাখা শ্রেয়। এই সময় নীরব থাকলে আরও ভাল ভাবে চিন্তা করা যায়। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য হয়।