‘বাস্ত’ হলো আমাদের জীবনের সমস্ত অস্তিত্ব। গুহাবাসী মানুষ যখন থেকে নিজেদের জন্য একটা আলাদা মাথা গোঁজার জায়গা করেছে, তখন থেকেই বাস্তুর উপযোগিতা মানুষ বুঝেছে। তাই হিন্দু ধর্মে বাস্তু পুজোর গুরুত্ব অনেক। বাস্তু শান্তি পূজা যাকে বাস্তুদোষ নিবারণ পূজাও বলা হয়ে থাকে। আবার বাস্তু পূজাও বলা হয়ে থাকে। চারপাশ থেকে কোনো রকম বাধা-বিপত্তি বা ক্ষতিকারক উপাদান গুলিকে সরিয়ে দিয়ে সেই বাস্তু টাকে সুরক্ষিত রাখতে এবং আকর্ষণীয় ভারসাম্য তৈরি করতে এই বাস্তু পূজার বিধান রয়েছে।
হিন্দুরা তাঁদের বাড়ি ভাগ্য, অর্থ, সুস্বাস্থ্য, সাফল্য, এগুলির জন্য বাস্তুশান্তি পূজা করে থাকেন। এই পূজা করার ফলে বাস্তু দোষ কেটে যায়, বাস্তু হল বিজ্ঞান যা একটি বাড়িকে নিয়ন্ত্রণ করে। এটি প্রকৃতির পাঁচটি উপাদান যেমন ধরুন পৃথিবী / মাটি, জল, আগুন, বায়ু এবং ইথার এগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের ঘর এবং আশেপাশের শক্তি এই সমস্ত উপাদান দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়। তার পাশাপাশি গ্রহ ও নক্ষত্র দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে। এই উপাদান গুলি আমাদের জীবনে ইতিবাচক শক্তি নিয়ে আসার সাথে সাথে আমাদের চারপাশের পরিবেশ কে সুন্দর রাখে। বাস্তু শান্তি পূজা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিন্তু যখন নতুন গৃহে প্রবেশ করা হয়, সেই সময় পূজা করা হয় বা কোন জায়গা কেনার ক্ষেত্রে, বাড়ি করার ক্ষেত্রে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এর ফলে সেই বাড়িটি আরো বেশি সুন্দর ও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।