বুধবার সপার তরফে একটি ভিডিও টুইট করা হয়েছে। যেখানে বারাণসীর (Varanasi) কমিশনার দীপক আগরওয়ালকে বলতে শোনা গিয়েছে, “ইভিএমের গতিবিধি সংক্রান্ত নিয়মভঙ্গ হয়েছে। এটা আমিও মানছি।” একইসঙ্গে তাঁর সাফাই, “তবে এটা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, ভোটে ব্যবহার হওয়া ইভিএম অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি। ইভিএম সরিয়ে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব। কারণ, স্ট্রং রুমে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা রয়েছে। রাজনৈতিক দলের কর্মীরা চাইলে স্ট্রং রুমের বাইরে পাহারা দিতে পারে।”
কমিশনারের কথা মানতে নারাজ সপা। তাঁদের দাবি, “ইভিএমের গতিবিধি সংক্রান্ত নিয়ম যে মানা হয়নি সেটা বারাণসীর কমিশনারই স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে শুধু বারাণসী নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইভিএমে কারচুপি করার অভিযোগ আসছে। এটা কার নির্দেশে হচ্ছে? কমিশনের আধিকারিকদের উপর কি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে চাপ দেওয়া হয়েছে?” সপার এহেন দাবিকে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তাঁর কটাক্ষ. “১০ তারিখ ভোটের ফল বের হোক। তার পর অখিলেশ বলবেন, ইভিএম বেওয়াফা (বিশ্বাসঘাতক) হ্যায়।”
মঙ্গলবার অখিলেশ যাদব বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। বারাণসী থেকে নাকি EVM সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল । তাঁর এহেন দাবি ঘিরে গণনার ৪৮ ঘণ্টার আগেই সরগরম উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) রাজনৈতিক মহল।