ভারতীয় পুরান ও হিন্দু ধর্মে তুলসী গাছের বিশেষ মাহাত্ম আছে। বিশ্বাস করা হয়, বাড়িতে তুলসী গাছ রাখলে ও তুলসী গাছে নিয়মিত জল দিলে সেই পরিবারের লক্ষ্মী অবস্থান করেন।
হিন্দু মতে ‘তুলসী বিবাহ’ একটি বিশেষ ধৰ্মীয় অনুষ্ঠান, যা পালন করা হয় প্রতিবছর কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বাদশী তিথিতে। তুলসী দেবীর আরেক নাম বিষ্ণুপ্রিয়া, তুলসীকে ভগবান বিষ্ণুর স্ত্রী বলে মনে করা হয়। তাই এই তুলসী বিবাহ প্রতিবছর পালিত হয়।
পুরানে প্রচলিত একটি কিংবদন্তি হলো – শ্রী হরি বিষ্ণু চার মাস ঘুমের পর জেগে ওঠেন। আর এরপরে কার্তিক একাদশী তুলসী দেবীর সঙ্গে বিয়ে হয় তার। চলতি বছর তুলসী বিবাহ পড়েছে ১৩ নভেম্বর এর একদিন আগে অর্থাৎ ১২ নভেম্বর কার্তিক একাদশী পড়েছে। এদিন তুলসীর সঙ্গে ভগবান বিষ্ণুর বিবাহ দেওয়ার বিশেষ প্রথা রয়েছে।
জ্যোতিষ শাস্ত্র (Astrology) জানাচ্ছে, কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বাদশী তিথি শুরু হচ্ছে নভেম্বর মাসের ১২ তারিখ বিকাল চারটে চার মিনিট থেকে। ১৩ অক্টোবর একটা এক মিনিটে তা শেষ হবে। গোধূলি সময় পাঁচটা ২৮ মিনিট থেকে ৫ টা ৫৫ মিনিটে শেষ হবে। একাদশীতে তুলসী বিবাহে শুভ সময় বিকেল ৫ টা ২৯ মিনিট থেকে ৫ টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত।
জ্যোতিষ (Astro) অনুযায়ী তুলসী দেবীর সঙ্গে ভগবান বিষ্ণুর (Bishnu) বিয়ে দিলে কন্যাদানের সমান ফল পাওয়া যায়। এমনকি দাম্পত্য জীবনেও সেই ব্যক্তি খুব সুখী হন। বাড়ির উঠোনেই তুলসী দেবীর বিবাহ দেওয়া হয়। এদিন ব্রহ্মমুহূর্তে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে, পরিষ্কার জামা কাপড় পরে, শঙ্খ ও ঘন্টা ধ্বনি দিয়ে ভগবান বিষ্ণুকে জাগানো হয়। তারপরে তার পুজো করা হয়। আর সন্ধ্যার সময় গোধূলি লাগনে তুলসী মঞ্চে রেখে দিতে হয় ভগবান বিষ্ণুর ছবি। পরের দিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই বিষ্ণুর ছবিকে আবার নিজের আসনে প্রতিষ্ঠা করতে হয়।