আজ বৈশাখ পূর্ণিমা। এই তিথিতে গৌতম বুদ্ধের জন্ম হয়েছিল বলে এটি বুদ্ধ পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। এ বছর বুদ্ধের ২৫৮৫ তম জন্মজয়ন্তী পালিত হবে। চলতি বছর ৫ মে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হবে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হয়। বিশেষত মায়ানমার, কম্বোডিয়া, চিন, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ইত্যাদি স্থানে বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে গৌতম বুদ্ধের জন্মজয়ন্তী পালিত হয়। এই তিথিতে দান-পুণ্যের পাশাপাশি একাধিক ধর্মীয় কাজ করা হয়।
অন্য দিকে হিন্দু ধর্মে (Spirituality) বৈশাখ পূর্ণিমা (Buddha Purnima 2023) তিথির বিশেষ মাহাত্ম্য স্বীকৃত। এই তিথিতে ধর্মরাজের বিশেষ পুজো করা হয়। মনে করা হয় এই তিথিতে নিয়ম মেনে পুজো করলে অকাল মৃত্যুর ভয় দূর হয়। এ বারের বৈশাখ পূর্ণিমা বা বুদ্ধ পূর্ণিমায় একাধিক সংযোগ (Astrology) তৈরি হচ্ছে। বুদ্ধ পূর্ণিমার তিথি, শুভক্ষণ ও শুভ যোগ সম্পর্কে জেনে নিন এখানে।
বৈশাখ বা বুদ্ধ পূর্ণিমার তিথি ও শুভক্ষণ
বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে ৪ মে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪৪ মিনিটে। শেষ হবে ৫ মে শুক্রবার রাত ১১টা ৩ মিনিটে। উদয়া তিথি মেনে ৫ মে শুক্রবার বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হবে। বৈশাখ পূর্ণিমার পুজোর শুভক্ষণ থাকবে সকাল ১১টা ৫১ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত।
বৈশাখ পূর্ণিমা বা বুদ্ধ পূর্ণিমায় তৈরি হচ্ছে এই বিশেষ সংযোগ
এবারের বুদ্ধ পূর্ণিমা (Spiritual) নানান কারণে বিশেষ। এই তিথিতে একাধিক অদ্ভূত সংযোগ তৈরি হচ্ছে। এ দিন রাত ৯টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত স্বাতি যোগ থাকবে, তার পর বিশাখা নক্ষত্রের সূচনা হবে। এই দুই নক্ষত্রকেই অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়। আবার রাত ৯টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত সিদ্ধি যোগ থাকবে। জ্যোতিষ শাস্ত্রে সিদ্ধি যোগকে অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়। এই সময়ের মধ্যে যে কাজই করা হয়, তা সাফল্য লাভ করে।
অন্য দিকে বুদ্ধ পূর্ণিমায় তৈরি হচ্ছে চতুর্গ্রহী যোগ। এই তিথিতে মেষ রাশিতে সূর্য, রাহু, বুধ ও বৃহস্পতি মিলে এই যোগ তৈরি করবে। মিথুনে হবে মঙ্গল ও শুক্রের যুতি। তুলা রাশিতে চন্দ্র ও কেতুর যুতি হবে। কুম্ভে বিরাজ করবে শনি। এই বৈশাখ পূর্ণিমায় আবার বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ পালিত হবে। ৫ মে রাত ৮টা ৪৪ মিনিট থেকে মাঝরাত ১টা ০২ মিনিট পর্যন্ত চন্দ্রগ্রহণ হবে।
হিন্দু ধর্মে যমরাজকে মৃত্যুর দেবতা মনে করা হয়। তাঁকে তুষ্ট করার জন্য এই তিথিতে উপবাস করা উচিত। নিয়ম মেনে যমের পুজো করুন। পুজোর পর কলসি, ভাড়, পাখা, ছাতা, ঘি, তরমুজ, শসা, চিনি, শাক, নুন ইত্যাদি গরমে উপযোগী জিনিস দান করলে আগামী জন্মে এর সুফল ভোগ করতে পারেন।