www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

April 20, 2024 6:05 am
narasimha jayanti

হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, অশুভর উপর সবসময় শুভর জয় হয়। একথা বোঝাতেই নরসিংহ অবতারের আবির্ভাব হয়েছিল। তাই নরসিংহ জয়ন্তীতে উপোস ও পুজো করলে জীবন থেকে দুঃখ, কষ্ট ও ব্যর্থতার মতো অশুভ প্রভাব কেটে যায়।

পুরাণকথা অনুযায়ী বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে ভগবান বিষ্ণু তাঁর চতুর্থ অবতার-রূপ ধারণ করেছিলেন। পঞ্জিকা অনুসারে আজ, অর্থাৎ ২০ মে বৈশাখ চতুর্দশী। আজকের তিথিতেই ভগবান বিষ্ণু মর্ত্যে আবির্ভূত হয়েছিল অর্ধ-সিংহ, অর্ধ-মানব অবতারে। সেই জন্য তাঁর এই রূপটি নৃসিংহ বা নরসিংহ নামে প্রসিদ্ধ। আজকের তিথিতে জন্ম হয়েছিল শ্রীনৃসিংহের, তাই এই তিথি পরিচিত নৃসিংহ জয়ন্তী রূপে।

কবি জয়দেব তাঁর গীতগোবিন্দ গ্রন্থের প্রাম্ভে যে দশাবতার স্তোত্র রচনা করেছেন, সেখানে অতি উগ্র নৃসিংহ ভগবানের (Narasimha Jayanti) একটি অত্যাশ্চর্য বিবরণ দেওয়া আছে। জয়দেব লিখেছেন- তব করকমলবরে নখমদ্ভুতশৃ্ঙ্গং দলিতহিরণ্যকশিপুতনুভৃঙ্গম্/কেশব ধৃতনরহরিরূপ জয় জগদীশ হরে! অর্থাৎ হে কেশব, আপনি যখন নরহরি রূপ ধারণ করেছিলেন, তখন আপনার করকমলের নখের অগ্রভাগ শৃঙ্গের মতো অদ্ভুত রূপ ধারণ করেছিল যার দ্বারা আপনি হিরণ্যকশিপুর তনুভৃঙ্গটি দলিত করেছিলেন!

হিন্দু শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে একাধিক দেব দেবীর। আর আদি দেবতা হলেন বিষ্ণু (Vishnu)। শাস্ত্র মতে, ব্রক্ষ্মা- বিষ্ণু- মহেশ্বর হল তিন শক্তি। শাস্ত্র মতে, মহাজাগতিক সকল শক্তির উৎস হলেন তারা। সে কারণে একাধিক দিন উৎসর্গ করা হয় আলাদা দেব দেবীর নামে। সেই অনুসারে, ৪ মে পালিত হবে নরসিংহ জয়ন্তী। কথিত আছে, চতুর্দশীতে পালন করা হয় নরসিংহ জয়ন্তী। সাধারণেত এপ্রিল বা মে মাসে এই তিথি পড়ে।

শাস্ত্র মতে, অত্যাচারী হিরণ্যকশিপুকে বধ করতে মর্তে এসেছিল শ্রী বিষ্ণু। তিনি বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষের চতুর্দশীতে পালন করা হয় নরসিংহ জয়ন্তী।

নরসিংহ জয়ন্তী পূজা
৪ মে ২০২৩
বৃহস্পতিবার

চতুর্দশী মুহূর্ত শুরু ৩ মে ২০২৩, রাত্রি ১১ঃ৪০ টায়
চতুর্দশী মুহূর্ত শেষ ৪ মে ২০২৩, রাত্রি ১১ঃ৫৯ টায়


নরসিংহ জয়ন্তী (Narasimha Jayanti) পালন করতে চাইলে মেনে চলতে হবে বিশেষ কয়টি জিনিস। এদিন সকালে স্নান সেরে পরিষ্কার পোশাক পরুন। তারপর মা লক্ষ্মী ও নরসিংহ মূর্তিতে পুজো করুন। নারকেল, মিষ্টি, ফল, কেশর নিবেদন করুন। (Spirituality) এদিন উপসাব করে পুরো করবেন। উপবাস নরসিংহ জয়ন্তীতে শুরু হয়ে পরের দিন সকালে সূর্য ওঠা পর্যন্ত উপবাস করবেন। এদিন গম ও দানাশস্য খাবেন না। এদিন দুঃস্থদের তিল, পোশাক, খাদ্য, দামি ধাতু দান করতে পারেন। 

হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, অশুভকে নাশ করতে নরসিংহ (Spiritual) অবতারের আবির্ভাব হয়েছিল। তাই নরসিংহ জয়ন্তীর দিন উপবাস করে পুজো করলে সব কাজে সফল হবেন। জীবন সকল জটিলতা কাটাতে চাইলে অবশ্যই পালন করুন নরসিংহ জয়ন্তী। 

কাহিনি অনুসারে, ঋষি কাশ্যপ ও তাঁর স্ত্রী দিতির দুই সন্তান ছিল। তাদের নাম হিরণ্যকশিপু ও হিরণ্যাক্ষ। দুই ভাই ভগবান ব্রক্ষ্মাকে সন্তুষ্ট করার জন্য কঠোর তথ্য করেন। ব্রক্ষ্মা তুষ্ট বয়ে তাদের এমন বর দেন যে দেখা যায়, পৃথিবীর কোনও জীব, অস্ত্র এমনকী দেবতারাও তাদের হত্যা করতে পারবে না। এই বর পেয়ে যুদ্ধ ও নির্বিচারে হত্যা করতে ও দখল করতে থাকে। অবশেষে শ্রীবিষ্ণু বরাহ অবতার ধারণ করে হিরণ্যাক্ষকে হত্যা করেন। সেই থেকে এই বিশেষ দিনে পালিত হচ্ছে নরসিংহ জয়ন্তী হিসেবে। শাস্ত্র মতে, অত্যাচারী হিরণ্যকশিপুকে বধ করতে মর্তে এসেছিল শ্রী বিষ্ণু। তাই এই দিন নিষ্ঠা ভরে শ্রী বিষ্ণুর পুজো করলে সকল জটিলতা থেকে মুক্তি মিলবে। 

ভগবান নৃসিংহকে পূজা করতে হবে এই মন্ত্রে- উগ্রম বীরম মহাবিষ্ণুম জ্বলন্ত সর্বতোমুখম, নৃসিংহম ভীষণমভদ্রম মৃত্যুর্মৃত্যুম নমাম্যহম।

এবার জেনে নেওয়া যাক কী ভাবে পূজা করতে হবে এবং সেই সম্পর্কে কী নিয়ম রক্ষা করতে হবে!

১. একক রূপে নয়, সস্ত্রীক লক্ষ্মীদেবীর সঙ্গে শ্রীনৃসিংহের পূজা করতে হবে।

২. ব্রাহ্মমুহূর্তে স্নান সেরে শুদ্ধ বস্ত্রে থাকতে হবে।

৩. মাতা লক্ষ্মী এবং নৃসিংহদেবকে অর্পণ করতে হবে ফুল, সিঁদুর, মিষ্টান্ন, কেশর এবং নারকেল।

৪. চতুর্দশী তিথির সারা দিন উপবাসে থাকতে হবে।

৫. বিশুদ্ধ উপবাস রক্ষা করতে না পারলে ফলাহার বৈধ, তবে শস্যদানাজাতীয় কোনও খাদ্য গ্রহণ করা চলবে না।

৬. নৃসিংহ মন্ত্র রুদ্রাক্ষমালা হাতে ধ্যানযোগে জপ করলে সর্বাধিক ফলপ্রদ হয়।

শ্রী নরসিংহ কবচম্ (Narashimha Kabacham)

নৃসিংহকবচং বক্ষ্যে প্রহ্লাদেনোদিতং পুরা ।
সর্বরক্ষাকরং পুণ্যং সর্বোপদ্রবনাশনম্ ॥ 1 ॥

সর্বসংপত্করং চৈব স্বর্গমোক্ষপ্রদাযকম্ ।
ধ্যাত্বা নৃসিংহং দেবেশং হেমসিংহাসনস্থিতম্ ॥ 2 ॥

বিবৃতাস্যং ত্রিনযনং শরদিংদুসমপ্রভম্ ।
লক্ষ্ম্যালিংগিতবামাংগং বিভূতিভিরুপাশ্রিতম্ ॥ 3 ॥

চতুর্ভুজং কোমলাংগং স্বর্ণকুংডলশোভিতম্ ।
সরোজশোভিতোরস্কং রত্নকেযূরমুদ্রিতম্ ॥ 4 ॥ [রত্নকেযূরশোভিতম্]

তপ্তকাংচনসংকাশং পীতনির্মলবাসনম্ ।
ইংদ্রাদিসুরমৌলিস্থস্ফুরন্মাণিক্যদীপ্তিভিঃ ॥ 5 ॥

বিরাজিতপদদ্বংদ্বং শংখচক্রাদিহেতিভিঃ ।
গরুত্মতা সবিনযং স্তূযমানং মুদান্বিতম্ ॥ 6 ॥

স্বহৃত্কমলসংবাসং কৃত্বা তু কবচং পঠেত্ ।
নৃসিংহো মে শিরঃ পাতু লোকরক্ষাত্মসংভবঃ ॥ 7 ॥

সর্বগোঽপি স্তংভবাসঃ ফালং মে রক্ষতু ধ্বনিম্ ।
নৃসিংহো মে দৃশৌ পাতু সোমসূর্যাগ্নিলোচনঃ ॥ 8 ॥

স্মৃতিং মে পাতু নৃহরির্মুনিবর্যস্তুতিপ্রিযঃ ।
নাসাং মে সিংহনাসস্তু মুখং লক্ষ্মীমুখপ্রিযঃ ॥ 9 ॥

সর্ববিদ্যাধিপঃ পাতু নৃসিংহো রসনাং মম ।
বক্ত্রং পাত্বিংদুবদনঃ সদা প্রহ্লাদবংদিতঃ ॥ 10 ॥

নৃসিংহঃ পাতু মে কংঠং স্কংধৌ ভূভরণাংতকৃত্ ।
দিব্যাস্ত্রশোভিতভুজো নৃসিংহঃ পাতু মে ভুজৌ ॥ 11 ॥

করৌ মে দেববরদো নৃসিংহঃ পাতু সর্বতঃ ।
হৃদযং যোগিসাধ্যশ্চ নিবাসং পাতু মে হরিঃ ॥ 12 ॥

মধ্যং পাতু হিরণ্যাক্ষবক্ষঃকুক্ষিবিদারণঃ ।
নাভিং মে পাতু নৃহরিঃ স্বনাভি ব্রহ্মসংস্তুতঃ ॥ 13 ॥

ব্রহ্মাংডকোটযঃ কট্যাং যস্যাসৌ পাতু মে কটিম্ ।
গুহ্যং মে পাতু গুহ্যানাং মংত্রাণাং গুহ্যরূপধৃক্ ॥ 14 ॥

ঊরূ মনোভবঃ পাতু জানুনী নররূপধৃক্ ।
জংঘে পাতু ধরাভারহর্তা যোঽসৌ নৃকেসরী ॥ 15 ॥

সুররাজ্যপ্রদঃ পাতু পাদৌ মে নৃহরীশ্বরঃ ।
সহস্রশীর্ষা পুরুষঃ পাতু মে সর্বশস্তনুম্ ॥ 16 ॥

মহোগ্রঃ পূর্বতঃ পাতু মহাবীরাগ্রজোঽগ্নিতঃ ।
মহাবিষ্ণুর্দক্ষিণে তু মহাজ্বালস্তু নৈরৃতৌ ॥ 17 ॥

পশ্চিমে পাতু সর্বেশো দিশি মে সর্বতোমুখঃ ।
নৃসিংহঃ পাতু বাযব্যাং সৌম্যাং ভূষণবিগ্রহঃ ॥ 18 ॥

ঈশান্যাং পাতু ভদ্রো মে সর্বমংগলদাযকঃ ।
সংসারভযদঃ পাতু মৃত্যোর্মৃত্যুর্নৃকেসরী ॥ 19 ॥

ইদং নৃসিংহকবচং প্রহ্লাদমুখমংডিতম্ ।
ভক্তিমান্যঃ পঠেন্নিত্যং সর্বপাপৈঃ প্রমুচ্যতে ॥ 20 ॥

পুত্রবান্ ধনবান্ লোকে দীর্ঘাযুরুপজাযতে ।
যং যং কামযতে কামং তং তং প্রাপ্নোত্যসংশযম্ ॥ 21 ॥

সর্বত্র জযমাপ্নোতি সর্বত্র বিজযী ভবেত্ ।
ভূম্যংতরিক্ষদিব্যানাং গ্রহাণাং বিনিবারণম্ ॥ 22 ॥

বৃশ্চিকোরগসংভূতবিষাপহরণং পরম্ ।
ব্রহ্মরাক্ষসযক্ষাণাং দূরোত্সারণকারণম্ ॥ 23 ॥

ভূর্জে বা তালপত্রে বা কবচং লিখিতং শুভম্ ।
করমূলে ধৃতং যেন সিধ্যেযুঃ কর্মসিদ্ধযঃ ॥ 24 ॥

দেবাসুরমনুষ্যেষু স্বং স্বমেব জযং লভেত্ ।
একসংধ্যং ত্রিসংধ্যং বা যঃ পঠেন্নিযতো নরঃ ॥ 25 ॥

সর্বমংগলমাংগল্যং ভুক্তিং মুক্তিং চ বিংদতি ।
দ্বাত্রিংশতিসহস্রাণি পঠেচ্ছুদ্ধাত্মনাং নৃণাম্ ॥ 26 ॥

কবচস্যাস্য মংত্রস্য মংত্রসিদ্ধিঃ প্রজাযতে ।
অনেন মংত্ররাজেন কৃত্বা ভস্মাভিমংত্রণম্ ॥ 27 ॥

তিলকং বিন্যসেদ্যস্তু তস্য গ্রহভযং হরেত্ ।
ত্রিবারং জপমানস্তু দত্তং বার্যভিমংত্র্য চ ॥ 28 ॥

প্রাশযেদ্যো নরো মংত্রং নৃসিংহধ্যানমাচরেত্ ।
তস্য রোগাঃ প্রণশ্যংতি যে চ স্যুঃ কুক্ষিসংভবাঃ ॥ 29 ॥

কিমত্র বহুনোক্তেন নৃসিংহসদৃশো ভবেত্ ।
মনসা চিংতিতং যত্তু স তচ্চাপ্নোত্যসংশযম্ ॥ 30 ॥

গর্জংতং গর্জযংতং নিজভুজপটলং স্ফোটযংতং হঠংতং
রূপ্যংতং তাপযংতং দিবি ভুবি দিতিজং ক্ষেপযংতং ক্ষিপংতম্ ।
ক্রংদংতং রোষযংতং দিশি দিশি সততং সংহরংতং ভরংতং
বীক্ষংতং ঘূর্ণযংতং শরনিকরশতৈর্দিব্যসিংহং নমামি ॥

ইতি শ্রীব্রহ্মাংডপুরাণে প্রহ্লাদোক্তং শ্রী নৃসিংহ কবচম্ ।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *