লটারির টিকিট তো অনেকেই কেনেন। অনেকে আবার জিতেও যান। কিন্তু পকেটে নেই টাকা। অথচ টিকিট কেনার বাসনা। শেষে বন্ধুর থেকে টাকা ধার নিয়ে টিকিট কিনে তাতেই কেল্লা ফতে। জয়পুরের সবজি বিক্রেতা অমিত সেরা বাস্তবেই তেমনটাই করে দেখালেন। দিন আনি-দিন খাই আমজনতা থেকে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেলেন তিনি! তাও আবার বন্ধুর কাছ থেকে ধার করা ৫০০ টাকার ম্যাজিকে। নেপথ্যে পাঞ্জাব সরকারের দিওয়ালি বাম্পার লটারি ২০২৫। ১৬ জনের যৌথ পরিবারের অন্যতম রোজগেরে অমিত সেরা জানান, বন্ধু মুকেশের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে অপরিকল্পিতভাবে লটারির টিকিট কাটেন। তাঁর কথায়, “এই প্রথমবার লটারির টিকিট কাটি…পকেটে পয়সাও ছিল না। বন্ধুই ৫০০ টাকা ধার দেয়, তাতেই কিনি।”
কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে বন্ধুকে ১ লক্ষ টাকা উপহার দিয়েছেন অমিত। এমনকী নিজের পরিবারের সদস্যদের কথা আগে না ভেবে বন্ধুর দুই বোনকেও ৫০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন। ভাটিন্ডার এক লটারি বিক্রেতার কাছ থেকে পাঞ্জাব সরকারের দিওয়ালি বাম্পার লটারি ২০২৫-এর একটি টিকিট কিনেছিলেন অমিত। গত ৩১ অক্টোর ওই খেলার ফল প্রকাশিত হয়। অমিত নিজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। পরিবারের লোকদের নম্বরে ফোন করে লটারি সংস্থা। যদিও প্রথম পুরস্কার ১১ কোটি টাকা জিতেছেন তিনিই, এই খবর শুরুতে বিশ্বাস করতে পারেননি। পরে অবশ্য রাতরাতি ভাগ্য খুলে গিয়েছে তাঁর।
