এমন লজ্জায় কখনো কোনো সরকারি দপ্তরকে আগে পড়তে হয় নি। সরকার প্রবল চাপে স্বীকার করতে বাধ্য হলো যে বিভিন্ন সুপারিশের কারণে তারা অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দিয়েছে। তা আবার শিক্ষকতার। এই অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে কি শিখবে শিক্ষার্থীরা? প্রশ্ন তুলেছেন আদালত ও নাগরিক মহল।
বিষয়টা এখানেই শেষ নয়। এসএসসি (School Service Commission) ১৮৩ জনের কথা বললেও সিবিআই কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন ৯৫২ জনের নাম পেয়েছে। জাস্টিস গাঙ্গুলি (Justice Avijit Ganguly) সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন,তাহলে সরকার কি অযোগ্য প্রার্থীদের নাম লুকোচ্ছে?
কোন পথে নিয়োগ হলো এই প্রার্থীরা? এসএসসি বলেছে rank জাম্প করে। সিবিআই বলেছে দুর্নীতি হয়েছে ওয়েমার শিটে। ওয়েমার সিটের অধিকারিকরাই ভয়ে হোক আর ভক্তিতে হোক এই জালিয়াতি করেছে। উদাহরণ হিসেবে সিবিআই জানিয়েছে,৭ টি প্রশ্নের উত্তর দেন এক পরীক্ষার্থী। নম্বর পায় ৫ । এদিকে নামের পাশে ৫ হয়ে গেছে ৫৩ । এমন অজস্র উদাহরণ আছে।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister) ও মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister of West Bengal) একাধিকবার প্রকাশ্য সভায় বলেছেন,এক জনেরও চাকরি খেতে দেব না। ফলে একটা সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে।
এখন অপেক্ষার কোথাকার জল কোথায় গিয়ে পৌঁছায়। এই অবৈধ নিয়োগের লিস্ট বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধীরা প্ৰতিবাদে মুখর। সিপিএমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,১৮৩ বা ৯৫২ নয় প্রায় সমস্ত নিয়োগ কয়েকশো কোটি টাকার বিনিময়ে হয়েছে। ওই ক্যান্ডিডেটদের রক্ষা করতে সরকার বদ্ধপরিকর।তা নাহলে এবার ‘দুয়ারে শ্রীলঙ্কা’ হয়ে যাবে।
ওই ১৮৩ জনের নামের তালিকা –