www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

April 23, 2024 9:51 pm

কলকাতা: নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলা সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন এসএসসি-র। মামলা গ্রহণ করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। এসএলএসটি নিয়োগে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশের পরই চাপে কমিশন। প্রসঙ্গত, ২০১৬-র নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গত ৪ মার্চের শুনানিতে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, আর্থিক লেনদেনে বেনিয়ম থাকলে, খুঁজে বার করুক সিবিআই। স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৬ সালে নবম দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি ছিল, সেখানে আজাদ আলি মির্জা ও জুঁই দাস নামে আরও একজনের বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। তাঁদের নাম কোনওরকমভাবেই তালিকায় ছিল না।

প্রথমে যখন আদালতে এই মামলাটি ওঠে, তখন প্রাথমিকভাবে এসএলএসটির কাছ থেকে একটি রিপোর্ট চাওয়া হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দেখেন যে, ৪ জানুয়ারি এসএসসির চেয়ারম্যান যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন, সেই রিপোর্টে উল্লেখিত তালিকাতেও ২ জন অভিযুক্তের নাম ছিল না। বিচারপতি অত্যন্ত বিরক্ত হন। তিনি আপাতত সিবিআই-এর জয়েন্ট ডিরেক্টরকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ হল, সিবিআই যেমন এই দুর্নীতির পিছনে কারা রয়েছে, তাদেরকে খুঁজে বার করবে, তেমনি সিবিআই অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলবে এবং এর পিছনে আদৌ কী ঘটনা ঘটেছে, তা খুঁজে বের করবে। আগামী ২৮ মার্চের মধ্য়ে সিবিআইকে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তার আগেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল আদালত।

গত শুনানিতে সিঙ্গল বেঞ্চ জানতে চেয়েছে, কাদের অঙ্গুলিহেলনে প্রভাবিত চেয়ারম্যানরা? কোন অঙ্গুলিহেলনে বেআইনি কাজ কমিশনে? ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন চালিয়েছেন। সিবিআই তদন্তের নির্দেশে তাঁরা কিছুটা বিচার পাওয়ার আশা দেখছেন। কিন্তু এই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেল কমিশন।

মামলার প্রেক্ষাপট

চার মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, নবম ও দশম শ্রেনির ইতিহাস শিক্ষকের নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। প্যানেলে নাম না থাকা সত্ত্বেও জুঁই দাস ও আজাদ আলি মির্জা চাকরি পেয়েছেন। আবার শেখ ইনসান আলি, যাঁর র‍্যাঙ্ক নীচের দিকে ছিল, তিনি চাকরি পান বলে অভিযোগ মামলাকারীদের। অথচ যাঁদের নাম প্যানেলে ওপরের দিকে ছিল, তাঁরা চাকরি পাননি।

প্রতিবাদে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। শেষমেশ সিঙ্গল বেঞ্চের সিবিআই তদন্তের নির্দেশে আশার আলো দেখেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু সেই রায়কেও চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গেল কমিশন।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *