খবরে আমরাঃ রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইন নিয়ে বহুদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, এই আইনের কিছু অংশ খতিয়ে দেখা হবে। ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়া এই আইন যুক্তিযুক্ত কি না, তা নিয়ে বেশ কয়েকটি মামলাও দায়ের হয়েছে। সেই মামলার শুনানি স্থগিত রাখতে অনুরোধ জানান হয়েছে সুপ্রিম কোর্টকে। প্রসঙ্গত, গত শনিবারই সুপ্রিম কোর্টে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের পক্ষে সওয়াল করেছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দেওয়া হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, “স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ পালন করছি আমরা। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের কথা মনে রেখে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে,রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের কিছু অংশ পরীক্ষা ও পুনর্বিবেচনা করা হবে।” তবে এই আইন সংশোধন করা হবে কিনা, সেই প্রসঙ্গে কিছু জানায়নি কেন্দ্র।
কেন এই সিদ্ধান্ত? কেন্দ্রীয় সরকারের হলফনামাতে বলা হয়েছে, “দেশের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর সরকার। একইসঙ্গে পুরনো ঔপনিবেশিক আইনগুলি বাতিল করতে চায় সরকার। সেই জন্যই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বোঝা ঝেড়ে ফেলতে চাইছে সরকার।” রাষ্ট্রদ্রোহ আইন আদৌ সাংবিধানিক কিনা তা নিয়ে যে মামলাগুলি দায়ের হয়েছিল সেগুলির শুনানির জন্য নির্দিষ্ট দিন ধার্য করে দেওয়া হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ১০ মে অর্থাৎ আগামিকাল সেই মামলার শুনানি হবে।
রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বলেই স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় মহাত্মা গান্ধীর মতো নেতাদের গ্রেপ্তার করা হত। এখনও এই ধরনের আইন বলবৎ করা উচিত কিনা, তা নিয়ে আগেও কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রশ্ন করেছে সর্বোচ্চ আদালত। এমনকী এই আইনের দ্বারা সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারে, এই আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। তবে এই আইন পুরোপুরিভাবে ছেঁটে ফেলা হোক, এমনটা চায় না সুপ্রিম কোর্ট।