বাংলার ইতিহাসের দুই সাধক পুরুষ বামাখ্যাপা ও রামকৃষ্ণদেব। নবজাগরনের প্রথম পর্বেই এই দুই সাধকের দেখা মেলে। একই সময়ে, ঊনবিংশ শতকের দুই বিখ্যাত হিন্দু সাধক। বামাক্ষ্যাপা ছিলেন তারাপীঠের সিদ্ধ সাধক ও তারা মায়ের একনিষ্ঠ ভক্ত, যিনি তারাপীঠে শ্মশানঘাটে সাধনা করতেন। অন্যদিকে, শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব দক্ষিণেশ্বরে তাঁর সাধনক্ষেত্র তৈরি করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে সরাসরি সাক্ষাৎ হয়েছিল বলেও জানা যায়।
- বামাক্ষ্যাপা
জন্ম: ২২ ফেব্রুয়ারি ১৮৩৭, বীরভূম জেলার আটলা গ্রামে।
গুরুত্ব: তারা মায়ের একনিষ্ঠ ভক্ত এবং শ্মশানে সাধনার জন্য পরিচিত।
কর্মক্ষেত্র: মূলত তারাপীঠের শ্মশানঘাটেই তাঁর সাধনা ও অলৌকিক কার্যকলাপের জন্য তিনি খ্যাত ছিলেন।
- শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব
গুরুত্ব: ‘রামকৃষ্ণ’ নামেই তিনি সুপরিচিত এবং তাঁর আধ্যাত্মিক দর্শন ও শিক্ষার জন্য বিখ্যাত।
কর্মক্ষেত্র: দক্ষিণেশ্বরের বাড়িতে তাঁর সাধনক্ষেত্র ছিল।
দুজনের সাক্ষাৎ
একবার বামাক্ষ্যাপা কলকাতায় গিয়েছিলেন, যেখানে তিনি শ্রীরামকৃষ্ণের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তাদের মধ্যে সাক্ষাৎ হওয়ার পর, শ্রীরামকৃষ্ণ বামাক্ষ্যাপাকে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে দেন এবং তিনি দক্ষিণেশ্বরে ফিরে যান।
