পরিবেশ সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বাড়ছে। এর আগে চিতা ও শ্লথ বিয়ারের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল পুরুলিয়ার জঙ্গলে। আর এবার হানি ব্যাজার। হানি ব্যাজার প্রাণীটির সঙ্গে আমরা কমবেশি সকলেই পরিচিত। কিন্তু বাংলার জঙ্গলে এই প্রাণী কখনো দেখা যায় নি। বনদপ্তরের পাতা ট্র্যাপ ক্যামেরায় এমনই ছবি ধরা পড়ল পুরুলিয়ায়। যার ফলে খুশির জোয়ার পুরুলিয়া বনবিভাগে।
বনকর্তাদের দাবি, এ রাজ্যে এই প্রথম এই বিরল স্তন্যপায়ী প্রাণীর অস্তিত্ব ধরা পড়ল। যার জেরে হানি ব্যাজারকে নিয়ে গবেষণা আরও এগোবে বলে আশাবাদী বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরা। মনে করা হচ্ছে, পুরুলিয়া সংলগ্ন ঝাড়গ্রাম জঙ্গল থেকে খাদ্যের সন্ধানে পুরুলিয়ার ঢুকে এখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছে। ফলে খুশি বনদপ্তর। তারাই জানাচ্ছে, বন্য প্রাণী সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বাড়ছে।
পুরুলিয়ায় বন্যপ্রাণ নিয়ে কাজ করা সংগঠন ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড ইকোলজির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শ্বেতাদ্রি ভাণ্ডারি বলেন, “বিভিন্ন বন্যপ্রাণের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার জন্য বনদপ্তরের সঙ্গে যৌথ ভাবে কোটশিলার সিমনির জঙ্গলে কয়েকটি ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। আমরা ভাবতেও পারিনি যে সেখানে বিরল এই বন্যপ্রাণীর ছবি ধরা পড়বে!” বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ার বনাঞ্চলে দুটি পৃথক ক্যামেরায় তিনটি হানি ব্যাজারের ছবি ধরা পড়েছে। যার মধ্যে একটি মাদি। তাও আবার গর্ভবতী, মধ্যবয়স্ক। তারা মনে করেন, চোরা শিকারীদের হাত থেকে এদের রক্ষা করা এখন তাদের কাছে এক চ্যালেঞ্জ।