খবরে আমরাঃ ফের শিরোনামে নদীয়। এবার ধানতলা থানা এলাকায় নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে জোর করে মদ্যপান করিয়ে গণধর্ষণেরর পর হত্যার অভিযোগ উঠলো তাঁরই নিকট আত্মীয় এবং প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আজ গ্রামে দিয়ে তদন্ত করেন পুলিশ সুপার নিজে। ফের ময়না তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায় নবম শ্রেণীতে পাঠরতা ওই নাবালিকা তার পাশের গ্রামে দিদির বাড়িতে বেড়াতে যায় চড়ক পূজা উপলক্ষে। নাবালিকার বাবাকে ওই আত্মীয় বাড়ি থেকে জানানো হয় একদিন থেকে পরের দিন বাড়ি ফিরবে। পরের দিনেও মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় বাবা ফোন করলে ওই নিকট আত্মীয়া জানায় সে সুস্থ আছে। সন্দেহবশত বাবা তার বাড়িতে পৌঁছে যাওয়ার খবর পেয়েই চড়কের দিন সন্ধ্যাবেলায় তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে রানাঘাট হাসপাতাল পাঠিয়ে দেয় ওই আত্মিয়া। দাবী করেন, বেশ খানিকটা উঁচু সিলিং ফ্যানে নাবালিকা আত্মহত্যা করেছে। তাই জানানো হয় আত্মীয় বাড়ির পক্ষ থেকে। বাবার সন্দেহ হয় সেখানে। তিনি ধানতলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন প্রথমবারের জন্য। অভিযোগ পেয়েই মৃতদেহর ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় ধানতলা থানা।
গতকাল মৃত নাবালিকা বাবা পুনরায় চারজনের নাম উল্লেখ করে গণধর্ষণের পর খুনের দাবি নিয়ে ধানতলায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দ্বিতীয়বারের জন্য।
আজ ঘটনাস্থল অনুসন্ধানের যান পুলিশ সুপার সায়ক দাস এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। যারা মূল অভিযুক্ত তাদের আইডেন্টিফাই করা হবে। চলছে নমুনা সংগ্রহের কাজ। যদিও মৃতদেহটির পুনরায় ময়না তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার।