অনেকেই রামকৃষ্ণকে এই যুগের অবতার বলেন। তিনি মানুষকে শান্তির পথ দেখিয়ে গেছেন।ঈশ্বর ভক্তিতে মগ্ন রামকৃষ্ণ পরমহংদেব নিজের ভক্তদের উদ্দেশেও সেই একই উপদেশ দিয়েগিয়েছেন। তাঁর এই বাণীগুলি আপনার মনে আধ্যাত্মিকতার সঞ্চার করবে। এর ফলে মন হবে শান্ত। শুধু তাই নয়, কী ভাবে, কোন পথে ঈশ্বর লাভ করতে পারেন, তা-ও জানিয়েছেন গদাই ঠাকুর। তাঁর অমোঘ কয়েকটি বাণী মেনে চললে আমাদের জীবনে শান্তি বিরাজ করবে।
১) ভগবানের অনেক নাম আছে এবং তাঁকে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রাপ্ত করা যেতে পারে। তুমি তাঁকে কী নামে ডাকো এবং কী ভাবে তাঁর পুজো করো এটা বড় বিষয় নয়, গুরুত্বপূর্ণ এটাই যে তুমি তাঁকে নিজের ভিতর কতটা অনুভব করো।
২) ঈশ্বরকে বল, হে ভগবান! আমি ভালো মন্দ কিছুই জানি না। আমার যা অভাব তা তুমি পূরণ কর।
৩) হাজার লেখাপড়া শেখ, ঈশ্বরে ভক্তি না-থাকলে, তাঁকে লাভ করবার ইচ্ছা না থাকলে – সব মিছে।
৪) লোভী মানুষের মন অনেকটা নর্দমায় বেড়ে ওঠা কীটের মত, তাঁকে যতই ভাল জায়গায় রাখো না-কেন সে তো ছট ফট কর মরে যাবেই।
৫) তুমি জীবনে যে কাজই করো না-কেন, নিজের মনকে সর্বদা ঈশ্বরের প্রতি সমর্পিত রেখো। তা হলে মনের মধ্যে শান্তি পাবে, সাহস পাবে।
৬) সূর্যের কিরণ জগতে সমান ভাবে পরলেও জলের ভেতর, সকল স্বচ্ছ জিনিসের উপর উজ্জ্বল ভাবে প্রকাশ পায় । ভগবানের ভক্তি সকল হৃদয়ে সমান হলেও, সাধুদের হৃদয়ে একমাত্র শ্রেষ্ঠ প্রকাশ পায় ।
৭) তোমার ধর্ম আমার ধর্ম বলে লড়াই করে কী লাভ? যখন তোমার আমার সবার গন্তব্য সেই এক জনেরই কাছে।
৮) মুখে যতই ভগবান ভগবান কর না-কেন, যত দিন না তুমি ‘সব কিছু আমার’ বলা ছেড়ে, ‘সব কিছুই প্রভু তোমার’ বলে মন প্রাণ থেকে মেনে নিচ্ছ, তত দিন শুধুই মিথ্যা ভক্ত সাজার নাটক করছো মাত্র।
৯) যেমন মুক্ত পেতে হলে ঝিনুকের প্রয়োজন, ঠিক তেমনি পরম ঈশ্বরকে পেতে হলে সত্ কর্ম ও ঈশ্বরে ভক্তির প্রয়োজন।
১০) যদি তুমি মনের মধ্যে অহংকার কালো মেঘ পুষে রাখো, স্বয়ং ঈশ্বরও আলোর পথ দেখাতে পারবে না।