বর্তমান জীবন অত্যন্ত দ্রুত গতিতে বয়ে যায় (Fast Life)। সকলেই দৌড়ে চলেছেন সারাদিন। সকালে উঠে থেকেই বিরামহীন ব্যস্ততা। টয়লেট, স্নান খাওয়া সেরে নাও দ্রুত। নইলে অফিস পৌঁছাতে হবে দেরি। এবার দ্রুত রেডি হয়ে বাড়ির বাইরে পা রেখেও রাস্তায় হাজার ঝক্কি। সেসব পার করে কোনওমতে পৌঁছানো গেল অফিস। এবার শুরু অন্য সমস্যা। এখানে আসা থেকেই একের পর এক কাজ আসতেই থাকে। দম ফেলার সময় নেই। কাজের চাপে পিষে যাচ্ছে জীবন। তারপর সব কাজ সেরে সন্ধেবেলায় বাড়ির পথে। এরপর বাড়ি এসেও নানা রকম পারিবারিক সমস্যা বেধেই থাকে। এই হল মোটামুটি এক চাকরি করে খাওয়া বাঙালির নিত্যদিনের জীবনের চালচিত্র।
তবে যাঁরা চাকরি করেন না তাঁদের জীবনেও রয়েছে অনেক সমস্যা। এক্ষেত্রে তাঁরাও নানা রকম সমস্যাতে বেঁধে গিয়েছেন। ফলে মনের উপর পড়ছে প্রভাব। তাই অবশ্যই থাকতে হবে সতর্ক।
বাবা রামদেবের (Baba Ramdev) মতে, আমাদের জীবনের নানা জটিলতার কারণে মনে দেখা দিতে পারে সমস্যা। তাই এক্ষেত্রে সচেতন থেকে কয়েকটি যোগাভ্যাস আজ থেকেই করতে হবে শুরু। তবেই ভালো থাকতে পারবেন। এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই পদ্ধতি।
সর্বাঙ্গসন
এই ব্যায়ামটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই ব্যায়ামটি নিয়মিত করতে পারলে দুশ্চিন্তা (Stress) দূর হয়। পাশাপাশি হৃৎপিণ্ডের সমস্যা দূর করা থেকে শুরু করে একাগ্রতা বাড়ানো, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির মতো জরুরি কাজ করতে পারে এই ব্যায়াম।
গোমুখাসন
এই ব্যায়ামটির অনেক লাভ। এক্ষেত্রে ফুসফুসের সমস্যা দূর করা থেকে শুরু করে পিঠ ও হাত মজবুত করে, বুকের হাড় মজবুত করে, শরীরকে নমনীয় করে, বুক প্রসরিত করে।
চক্রাসন
ডিপ্রেশনের (Depression) সমস্যা থাকলে এই ব্যায়মটি রোজ করতে পারেন। এই ব্যায়ম কোমরের হাড় শক্ত করে। পাশাপাশি ত্বক চকমকে করে তোলে, বুক চওড়া করে, ডায়াবিটিস কন্ট্রোল করে, পেটের চর্বি কমায়।
উত্থিত পদাসন
দুশ্চিন্তা দূর করার পাশাপাশি পেটের পেশি মজবুত করার কাজেও আসতে পারে এই ব্য়ায়াম (Yoga)।
অবসাদ কাটানোর প্রাণায়াম
দুশ্চিন্তা (Stress) ও অবসাদ (Depression) দূর করার জন্য আপনাকে এই প্রাণায়াম করতে হতে পারে-
১. অনুলোম বিলোম।
২. কপালভাতি।
৩. ভ্রস্ত্রিকা।
৪. ভ্রামরী।
৫. উজ্জয়ী ইত্যাদি।
বিদ্র: এই লেখাটি কোনও ডাক্তারি পরামর্শ নয়। তাই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।