খবরে আমরাঃ চৈত্র নবরাত্রি, যা বসন্ত নবরাত্রি (Chaitra Navratri) নামেও পরিচিত। চৈত্র নবরাত্রি বা বসন্ত নবরাত্রি ভারতে বসন্ত ঋতুতে পালিত হয় এবং এটি হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নয় দিনের উদযাপন হিসাবে বিবেচিত হয়। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এ বছর ২ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত চৈত্র নবরাত্রি পালিত হবে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, প্রতি বছর নবরাত্রির সময় দেবী দুর্গা একটি বাহনে চড়ে আসেন এবং নতুন বাহনে নিজেই পৃথিবী থেকে দেবলোকে প্রস্থান করেন। এ বছর শনিবার থেকে চৈত্র নবরাত্রি শুরু হচ্ছে, তাই দেবী আসবেন ঘোড়ায় চড়ে।
এই নয় দিনে, ভক্তরা উপবাস করেন এবং দুর্গার (নব দুর্গা) নয়টি রূপের পূজা করেন। মজার বিষয় হল, নয়টি দিনের প্রতিটির সঙ্গে নির্দিষ্ট রং জড়িত। ভক্তরা প্রায়শই রঙ অনুসরণ করে পোশাক বেছে নেয়।
নবদুর্গা রূপের রঙের তাত্পর্য
প্রথম দিন – প্রতিপদ ২ এপ্রিল ঘটস্থাপনা এবং দেবী শৈলপুত্রী ধূসর বর্ণে সাজেন। ধূসর মন্দের ধ্বংসের প্রতীক। দ্বিতীয় দিন – দ্বিতীয়া ৩এপ্রিল দেবী ব্রহ্মচারিণী কমলা বসনে প্রতিষ্ঠিত হন। কমলা প্রশান্তি, উজ্জ্বলতা এবং জ্ঞানের প্রতীক। তৃতীয় দিন – তৃতীয়া ৪ এপ্রিল দেবী চন্দ্রঘন্টা শুভ্র বসনা। সাদা রঙ শান্তি, নির্মলতা, শান্ত এবং বিশুদ্ধতার প্রতিনিধিত্ব করে। চতুর্থ দিন – চতুর্থী ৫ এপ্রিল দেবী কুষ্মাণ্ডা রক্তবর্ণার বেশে থাকেন। লাল আবেগ, শুভ এবং ক্রোধের প্রতীক। পঞ্চম দিন – পঞ্চমী ৬ এপ্রিল দেবী স্কন্দমাতা রয়্যাল ব্লুর রূপে বেশ ধারণ করেন। রয়্যাল ব্লু ঐশ্বরিক শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। ষষ্ঠ দিন – ষষ্ঠী ৭ এপ্রিল দেবী কাত্যায়নী হলুদ রঙের রূপ ধারণ করেন । হলুদ রঙ আনন্দ এবং প্রফুল্লতার প্রতীক সপ্তম দিন – সপ্তমী ৮ এপ্রিল দেবী কালরাত্রির রূপ সবুজ বর্ণের হয়। সবুজ রঙ মাদার প্রকৃতির বিভিন্ন দিক এবং এর পুষ্টিকর গুণাবলী বোঝায়। এটি উর্বরতারও প্রতীক। অষ্টম দিন – অষ্টমী ৯ এপ্রিল দেবী মহাগৌরী ময়ূর সবুজ বর্ণের রূপ ধারণ করেন। ময়ূর সবুজ ব্যক্তিত্ব এবং স্বতন্ত্রতা প্রতিনিধিত্ব করে। নবম দিন – নবমী ১০ এপ্রিল দেবী সিদ্ধিদাত্রীর রূপের রং হয় বেগুনি। বেগুনি বিলাসিতা এবং মহিমা প্রতীক।