সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। নতুন বিয়ে করে সংসার শুরু করেছে. অথচ অজান্তেই সংসারে অশান্তি লেগেই আছে। এই মধুর সম্পর্ক তো কিছুক্ষণের মধ্যেই একটা ছুতোয় অশান্তি বেধে যাচ্ছে। এটা কিন্তু গ্রহ দোষের কারণেও হতে পারে।
বিয়ের (Marriage) আগে কোষ্ঠীবিচারের রীতি বহু পুরনো। কোষ্ঠী বিচার করে দেখা হয় বিয়ের জন্য পাত্র-পাত্রী একে অপরের উপযুক্ত কি না। বিশেষ করে ভবিষ্যৎ জীবনে তাদের মধ্যে মিল থাকবে কি না তা খুঁটিয়ে দেখা হয় কোষ্ঠী বিচার করে। হিন্দু জ্যোতিষমতে (Astrology) বিবাহিত জীবন সুখী হবে কি না তা বোঝার জন্য কোষ্ঠীতে নাড়ি দোষ (Nadi Dosha) আছে কি না জেনে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কুণ্ডলী (Kundli)বা জ্যোতিষে (Astrology) ৩৬টি বিষয় বা গুণ মিলিয়ে দেখা হয়। ৩৬ টি গুণের মিলনের উপরেই নির্ভর করে পাত্র-পাত্রীর বিবাহিত জীবন আনন্দময় হবে কি না।
নাড়ি দোষ কী?
জন্মছকে বিশেষ নক্ষত্রে চন্দ্রের উপস্থিতি নির্ণয় করে ওই ব্যক্তি নাড়ি দোষের শিকার কি না। নাড়ির তিনটি উপাদান— আদি নাড়ি (বায়ু), মধ্য নাড়ি (আগুন), এবং অন্ত নাড়ি (জল)। এই তিনটি উপাদানই একজন মানুষের প্রকৃতি সম্পর্কে আমাদের জানায়। নাড়ি দোষ থাকলে বুঝতে হয় ওই তিনটি বিষয়ে কোনও গণ্ডগোল আছে জাতকের। ফলে দোষশুদ্ধ বিয়ে হলে দম্পতির মধ্যে বনিবনার অভাব হয়। তাদের স্বাস্থ্য ভালো যায় না। আসতে পারে আরও জটিলতা।
নাড়ি দোষের কুপ্রভাব
- দম্পতির সম্পর্কে শীতলতা আসতে পারে। পরস্পরের প্রতি আকর্ষণের অভাব ঘটে।
- স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে নানা বিষয়ে সন্দেহ করতে থাকেন।
- দম্পতির মধ্যে কোনও একজন মেজাজি হয়। তার অল্পেই রেগে যাওয়ার প্রবণতা থাকে।
- কোনও বিষয়েই মতের মিল হয় না।
- বিয়ে বেশিদিন নাও টিকতে পারে। বিয়ের কয়েকেদিন পরে আসতে পারে বিচ্ছেদ।
- দম্পতি কোনও দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন। দেহে মারাত্মক চোট লাগতে পারে।
- শারীরিক রোগভোগের শিকার হতে হয় স্বামী-স্ত্রীকে।
- সন্তান আসতে সমস্যা হয়। সন্তান জন্মালেও বাচ্চার শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে।
নাড়ি দোষ কাটানোর পন্থা
সঠিক রত্ন ধারণ: কোষ্ঠীতে নাড়ি দোষ থাকলে সঠিক রত্ন ও যন্ত্র ব্যবহার কর দরকার। এর ফলে নাড়ি দোষের নেতিবাচক প্রভাব অনেকাংশে কাটানো সম্ভব।
মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র: নাড়ি দোষের কুপ্রভাব কাটাতে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপলে ভালো ফল মেলে। এই মন্ত্র মহাদেবের মন্ত্র। তাই অত্যন্ত এই শক্তিশালী মন্ত্রপাঠে নাড়ি দোষ কাটে।
নাড়ি দোষের জন্য পূজা: দম্পতি করতে পারেন নাড়ি দোষ নির্বাণ পূজা। এই পূজা করতে হবে অভিজ্ঞ একজন পুরোহিতের সাহায্যে।
খাদ্য দান: দুঃস্থদের খাদ্য দান করা, তাদের সোনা, খাদ্যশস্য এবং পোশাক দান করলেও নাড়ি দোষ কাটে।
ইতিবাচক চিন্তা: ঈশ্বরের নামজপ করুন ও ভালো মানুষের সংস্পর্শে জীবন কাটান। এর ফলে সবসময় ইতিবাচক থাকতে পারবেন ও জীবন সুখ ও সমৃদ্ধশালী হবে। মনও শান্ত হবে। দম্পতিরা ছোটখাট বিষয়ে তর্কবিতর্ক এড়িয়ে যেতে সফল হবেন।