www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

May 1, 2025 12:28 pm

গত ২ ডিসেম্বর গ্রাম বাংলার বহু ঘরে পালিত হয়েছে। নবান্ন পুজো ও উৎসব। এক সময় এই পুজোই ছিল বাঙালির প্রাণের পুজো। এই পুজো ও উৎসবের সঙ্গে যুক্ত

গত ২ ডিসেম্বর গ্রাম বাংলার বহু ঘরে পালিত হয়েছে। নবান্ন পুজো ও উৎসব। এক সময় এই পুজোই ছিল বাঙালির প্রাণের পুজো। এই পুজো ও উৎসবের সঙ্গে যুক্ত আছে কৃষি নির্ভর বাংলার আর্থ-সামাজিক সংস্কৃতি। নবান্ন বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী ধানের বা পিঠার উৎসব। বাংলার কৃষিজীবী সমাজে শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে যে সকল আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব পালিত হয়, নবান্ন তার মধ্যে অন্যতম। “নবান্ন” শব্দের অর্থ “নতুন অন্ন” বা “নব অন্ন”।

নবান্ন উৎসব হলো নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব। সাধারণত বাংলা অগ্রহায়ণ মাসে অর্থাৎ হেমন্তকালে আমন ধান পাকার পর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। কোথাও কোথাও মাঘ মাসেও নবান্ন উদ্‌যাপনের প্রথা রয়েছে। নবান্ন অনুষ্ঠানে নতুন অন্ন পিতৃপুরুষ, দেবতা, কাক ইত্যাদি প্রাণীকে উৎসর্গ করে এবং আত্মীয়-স্বজনকে পরিবেশন করার পর গৃহকর্তা ও পরিবারবর্গ নতুন গুড় সহ নতুন অন্ন গ্রহণ করেন। নতুন চালের তৈরি খাদ্যসামগ্রী কাককে নিবেদন করা নবান্নের অঙ্গ একটি বিশেষ লৌকিক প্রথা। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, কাকের মাধ্যমে ওই খাদ্য মৃতের আত্মার কাছে পৌঁছে যায়। এই নৈবেদ্যকে বলে “কাকবলী”।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *