www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

March 24, 2025 7:11 pm

শনিবার শনিবার শনিদেবের পুজো করার রীতি রয়েছে। হিন্দুশাস্ত্রে শনিবার ও শনিদেবের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তাই রীতি মেনে শনিবার করে গ্রহরাজের আরাধনা করলে ও কিছু প্রতিকার মেনে চললে ভীষণ তুষ্ট হন শনিদেব। সনাতন হিন্দুধর্মে, শনিদেব হলে ন্যায় ও কর্তব্যের দেবতা। কর্মেও দেবতা বলে মনে করা হয়। তাই শনিঠাকুরকে শনিবার করে পুজো করার সবচেয়ে শুভ দিন। একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন, শনিমন্দিরগুলিতে শনিবার সন্ধ্যের সময় পুজো করা হয়। রীতিতে এতটুকু ফাঁক থাকলে ভীষণ চটে যান শনিমহারাজ। তাই শনিদেবের আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য ভক্তরা বিশেষ কিছু জিনিস মাথায় রাখেন। মেনে চলেন বিশেষ প্রতিকারও।

শনি হিন্দুধর্মে শনি গ্রহের ঐশ্বরিক মূর্তিকে বোঝায়, এবং হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্রে নয়টি স্বর্গীয় বস্তুর (নবগ্রহ) মধ্যে একটি। তাকে কৃষ্ণের অবতার বলে মনে করা হয়, এবং ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে কৃষ্ণ বলেছেন যে, গ্রহগুলোর মধ্যে তিনি শনি। পুরাণে শনি পুরুষ হিন্দু দেবতা, যাঁর মূর্তিশিল্পে তলোয়ার বা দণ্ড (রাজদণ্ড) বহনকারী ও কাকের উপর বসে থাকা কালো চিত্র রয়েছে। তিনি কর্ম, ন্যায়বিচার ও প্রতিশোধের দেবতা এবং একজনের চিন্তা, কথা ও কর্মের উপর নির্ভর করে ফলাফল প্রদান করেন।

শনি দীর্ঘায়ু, দুঃখ, মৃত্যু, বার্ধক্য, শৃঙ্খলা, সীমাবদ্ধতা, দায়িত্ব, বিলম্ব, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, নেতৃত্ব, কর্তৃত্ব, নম্রতা, সততা ও অভিজ্ঞতার জন্মগত জ্ঞানের নিয়ামক। তিনি আধ্যাত্মিক তপস্যা, শৃঙ্খলা ও বিবেকপূর্ণ কাজকেও বোঝায়। তাঁর দুজন স্ত্রী- প্রথম জন নীলা, নীলা রত্নপাথরের মূর্তি এবং দ্বিতীয় জন মান্দা, গন্ধর্ব রাজকন্যা।

শনি (Sani) হিন্দুধর্মের একজন দেবতা যিনি সূর্যদেব ও তার পত্নী ছায়াদেবীর (সূর্যদেবের (SuryaDev) স্ত্রী ও দেব বিশ্বকর্মার কন্যা দেবী সংজ্ঞার ছায়া থেকে সৃষ্ট দেবী ছায়া) পুত্র, এজন্য তাকে ছায়াপুত্র-ও বলা হয়। শনিদেব, মৃত্যু ও ন্যায় বিচারের দেবতা যমদেব বা ধর্মরাজ ও পবিত্র শ্রী যমুনা দেবীর অনুজ ভ্রাতা। হ্মবৈবর্ত পুরাণ মতে একদিন শনির ধ্যানের সময়, তার স্ত্রী দেবী ধামিনী সুন্দর বেশভূষা নিয়ে তার সামনে এলে ধ্যানমগ্ন শনিদেব সেদিকে খেয়াল না করাতে পত্নী ধামিনী বা মান্দা শনিদেবকে অভিশাপ দিলেন, আমার দিকে তুমি ফিরেও চাইলে না। এরপর থেকে যার দিকে চাইবে, সে-ই ভস্ম হয়ে যাবে। কোনো কোনো মতে মনে করা হয় যে এটি মঙ্গলদোষের প্রভাবে হয়েছে। মধ্যযুগীয় গ্রন্থ মতে শনি হলেন একজন দেবতা, যিনি দুর্ভাগ্যের অশুভ বাহক হিসেবে বিবেচিত হন। কিন্তু তা প্রকৃতপক্ষে সত্য নয়। শনি (Shani) ভালোর জন্য ভালো আর খারাপের জন্য খারাপ। তিনি খুব ধৈর্যশীল ও বুদ্ধিমান।

তিনি মহাদেব (Siv)  হতে বক্রদৃষ্টির বর পেয়েছিলেন, যা ব্যক্তিকে সঠিক পথে নিয়ে আসে। উল্লেখ্য, কর্মফল দিতে গিয়ে তিনি অনেকের রোষানলে পড়লেও কখনোই সত্যের পথ থেকে তিনি বিচ্যুত হননি।

শনি দেবতার ধ্যান মন্ত্র (Shani Dhyan Mantra)

———————————–

ওঁ সৌরাষ্ট্রং কাশ্যপং শুদ্রং

সুয্যাস্যং চতুরঙ্গলম। কৃষ্ণং কৃষ্ণাম্বরং

গৃধ্র- গতং সৌরিং চতুর্ভুজম। তদ্ব দ্বা

বর – শুলং ধনু হস্তং সমাহ্বয়েৎ।

যমাধিদৈবতং প্রজা – পতিপ্রতধি

দৈবতম নমঃ নমঃ।।১

শনি দেবতার প্রনাম

——————————–

ওঁ নীলাজ্ঞনচয়প্রখ্যং রবিসুনুং মহাগ্রহম্।

ছায়ায়া গভ‘সস্ততং বন্দে ভক্ত্যা শনৈশ্চরম্ নমঃ

শনি দেব এর গায়ত্রী

——————————-

ওঁ কৃষ্ণাঙ্গায় বিদ্মহে রবিপুত্রায় ধীমহি তন্নঃ সৌরী

প্রচোদয়াৎ

তন্ত্রোক্ত শনি মহারাজের বীজ মন্ত্র

==========================

[ওঁ প্রাং প্রীং প্রৌং শনৈশ্চরায় নমঃ]

ক্ষমা প্রার্থনা-

নমো যদক্ষরং মাত্রাহীনঞ্চ যদ্ ভবেৎ ।

পূর্ণং ভবতু ত্বং সর্বং ত্বং প্রসাদাৎ জনার্দ্দন ।।

মন্ত্রহীনং ক্রিয়াহীনং ভক্তিহীনং জনার্দ্দন ।

যৎ পূজিতং ময়াদেব পরিপূর্ণং তদস্তুমে ।।

অষ্টোত্তর নাম

==============

১।ॐ শনৈশ্চরায় নমঃ

২।ॐ শান্তায় নমঃ

৩।ॐ সর্বাভীষ্টপ্রদায়িনে নমঃ

৪।ॐ শরণ্যায় নমঃ

৫।ॐ বরেণ্যায় নমঃ

৬।ॐ সর্বেশায় নমঃ

৭।ॐ সৌম্যায় নমঃ

৮।ॐ সুরবন্দ্যায় নমঃ

৯।ॐ সুরলোকবিহারিণে নমঃ

১০।ॐ সুখাসনোপবিষ্টায় নমঃ

১১।ॐ সুন্দরায় নমঃ

১২।ॐ ঘনায় নমঃ

১৩।ॐ ঘনরূপায় নমঃ

১৪।ॐ ঘনাভরণধারিণে নমঃ

১৫।ॐ ঘনসারবিলেপায় নমঃ

১৬।ॐ খদ্যোতায় নমঃ

১৭।ॐ মন্দায় নমঃ

১৮।ॐ মন্দচেষ্টায় নমঃ

১৯।ॐ মহনীযগুণাত্মনে নমঃ

২০।ॐ মর্ত্যপাবনপদায় নমঃ

২১।ॐ মহেশায় নমঃ

২২।ॐ ছাযাপুত্রায় নমঃ

২৩।ॐ শর্বায় নমঃ

২৪।ॐ শততূণীরধারিণে নমঃ

২৫।ॐ চরস্থিরস্বভাবায় নমঃ

২৬।ॐ অচঞ্চলায় নমঃ

২৭।ॐ নীলবর্ণায় নমঃ

২৮।ॐ নিত্যায় নমঃ

২৯।ॐ নীলাঞ্জননিভায় নমঃ

৩০।ॐ নীলাম্বরবিভূশণায় নমঃ

৩১।ॐ নিশ্চলায় নমঃ

৩২।ॐ বেদ্যায় নমঃ

৩৩।ॐ বিধিরূপায় নমঃ

৩৪।ॐ বিরোধাধারভূমযয় নমঃ

৩৫।ॐ ভেদাস্পদস্বভাবায় নমঃ

৩৬।ॐ বজ্রদেহায় নমঃ

৩৭।ॐ বৈরাগ্যদায় নমঃ

৩৮।ॐ বীরায় নমঃ

৩৯।ॐ বীতরোগভযায় নমঃ

৪০।ॐ বিপত্পরম্পরেশায়নমঃ

৪১।ॐ বিশ্ববন্দ্যায় নমঃ

৪২।ॐ গৃধ্নবাহায় নমঃ

৪৩।ॐ গূঢায় নমঃ

৪৪।ॐ কূর্মাঙ্গায় নমঃ

৪৫।ॐ কুরূপিণে নমঃ

৪৬।ॐ কুত্সিতায় নমঃ

৪৭।ॐ গুণাঢ্যায় নমঃ

৪৮।ॐ গোচরায় নমঃ

৪৯।ॐ অবিদ্যামূলনাশায় নমঃ

৫০।ॐ বিদ্যাবিদ্যাস্বরূপিণে নমঃ

৫১।ॐ আযুষ্যকারণায় নমঃ

৫২।ॐ আপদুদ্ধর্ত্রে নমঃ

৫৩।ॐ বিষ্ণুভক্তায় নমঃ

৫৪।ॐ বশিনে নমঃ

৫৫।ॐ বিবিধাগমবেদিনে নমঃ

৫৬।ॐ বিধিস্তুত্যায় নমঃ

৫৭।ॐ বন্দ্যায় নমঃ

৫৮।ॐ বিরূপাক্ষায় নমঃ

৫৯।ॐ বরিষ্ঠায় নমঃ

৬০।ॐ গরিষ্ঠায় নমঃ

৬১।ॐ বজ্রাঙ্কুশধরায় নমঃ

৬২।ॐ বরদাভযহস্তায় নমঃ

৬৩।ॐ বামনায় নমঃ

৬৪।ॐ জ্যেষ্ঠাপত্নীসমেতায় নমঃ

৬৫।ॐ শ্রেষ্ঠায় নমঃ

৬৬।ॐ মিতভাষিণে নমঃ

৬৭।ॐ কষ্টৌঘনাশকর্ত্রে নমঃ

৬৮।ॐ পুষ্টিদায় নমঃ

৬৯।ॐ স্তুত্যায় নমঃ

৭০।ॐ স্তোত্রগম্যায় নমঃ

৭১।ॐ ভক্তিবশ্যায় নমঃ

৭২।ॐ ভানবে নমঃ

৭৩।ॐ ভানুপুত্রায় নমঃ

৭৪।ॐ ভব্যায় নমঃ

৭৫।ॐ পাবনায় নমঃ

৭৬।ॐ ধনুর্মণ্ডলসংস্থায় নমঃ

৭৭।ॐ ধনদায় নমঃ

৭৮।ॐ ধনুষ্মতে নমঃ

৭৯।ॐ তনুপ্রকাশদেহায় নমঃ

৮০।ॐ তামসায় নমঃ

৮১।ॐ অশেষজনবন্দ্যায় নমঃ

৮২।ॐ বিশেশফলদাযিনে নমঃ

৮৩।ॐ বশীকৃতজনেশায় নমঃ

৮৪।ॐ পশূনাং পতযে নমঃ

৮৫।ॐ খেচরায নমঃ

৮৬।ॐ খগেশায নমঃ

৮৭।ॐ ঘননীলাম্বরায় নমঃ

৮৮।ॐ কাঠিন্যমানসায় নমঃ

৮৯।ॐ আর্যগণস্তুত্যায় নমঃ

৯০।ॐ নীলচ্ছত্রায় নমঃ

৯১।ॐ নিত্যায় নমঃ

৯২।ॐ নির্গুণায় নমঃ

৯৩।ॐ গুণাত্মনে নমঃ

৯৪।ॐ নিরামযায় নমঃ

৯৫।ॐ নিন্দ্যায় নমঃ

৯৬।ॐ বন্দনীযায় নমঃ

৯৭।ॐ ধীরায় নমঃ

৯৮।ॐ দিব্যদেহায় নমঃ

৯৯।ॐ দীনার্তিহরণায় নমঃ

১০০।ॐ দৈন্যনাশকরায নমঃ

১০১।ॐ আর্যজনগণ্যায নমঃ

১০২।ॐ ক্রূরায় নমঃ

১০৩।ॐ ক্রূরচেষ্টায় নমঃ

১০৪।ॐ কামক্রোধকরায় নমঃ

১০৫।ॐ কলত্রপুত্রশত্রুত্বকারণায় নমঃ

১০৬।ॐ পরিপোষিতভক্তায় নমঃ

১০৭।ॐ পরভীতিহরায নমঃ

১০৮।ॐ ভক্তসংঘমনোঽভীষ্টফলদায নমঃ

শনিদেবের পাঁচালী

সুমঙ্গল উপাখ্যান

শ্ৰীহরি নামেরে দ্বিজ এজন আছিল।

ব্ৰাহ্মণক সেবা করা ইচ্ছা উপজিল।।

কিন্তু তেওঁর একো নাই ভিক্ষা বৃত্তি করে।

কোনমতেই দ্বিজসেবা করিব নোবারে।।

নিত্য ভিক্ষা করি তেওঁ উদর পুরায়।

কোনমতে তাকে করি পেট প্ৰবতাই।।

অতিকষ্টে থাকি সেই দরিদ্ৰ ব্ৰাহ্মণ।

সৰ্বদায় চিন্তা করে শ্ৰীহরি চরণ।।

যদিও আহার নাই থাকে সুদা পেটে।

তথাপি গোবিন্দ নাম ভজে অকপটে।।

সেই সময়তে এটি পুত্ৰ জনমিলে।

পুত্ৰমুখ দেখি দ্বিজর দুখ উপজিলে।।

পুত্ৰমুখ দেখি কষ্ট হল ব্ৰাহ্মণ।

এই কি ছালনা করা ওহে নারায়ণ।।

কোঁবা প্ৰভু এই সন্তান মই পালিম কেনেকরি।

মাজে মাজে অনশনত থাকো মই হরি।।

তথাপি তোমার ইচ্ছা করিম মই পুরণ।

ভিক্ষা করি রক্ষা করিম পুত্ৰর জীবন।।

ভিক্ষা করি করি সেই শ্ৰীহরি ব্ৰাহ্মণ।

দ্বিজসেৱা করে আরু শিশুর পালন।।

সুমঙ্গল বুলি নাম পুত্ৰর রাখিল।

অমঙ্গলত সুমঙ্গল পুত্ৰ নাম হল।

সুমঙ্গলে ভরিদিলে পঞ্চম বছরত।

বিদ্যাশিক্ষা আরম্ভলৈ দ্বিজর হৈল মত।।

অত্যন্ত মেধাবী পুত্ৰ সবে গুণ গায়।

কম সময়তে শিশু শিকে সমুদায়।।

ক্ৰমে ক্ৰমে নানা শাস্ত্ৰ করি অধ্যয়ন।

পণ্ডিত বুলিয়া খ্যাতি করিলে অৰ্জন।।

শিশু সুমঙ্গলে করে একান্ত চিন্তন।

কেনেকৈনো পাব পারি গোবিন্দ-চরণ।।

সার অংশ চিন্তা করি ভাবে মনেমনে।

ত্যাগ করে ঘর-বারি পিতৃ মাতৃ গণে।।

নানা দেশ নানা তীৰ্থ করে পৰ্যটন।

অবিরাম চিন্তা করে কোত নারায়ণ।।

অকস্মাতে সুমঙ্গলে এক বাৰ্ত্তা পালে।

পিতৃ মাতৃ দুয়োজনে সংসার এরিলে।।

এই শোকবাৰ্ত্তা শুনি পুত্ৰ সমঙ্গল।

হা পিতা মাতা বুলি করিছে ক্ৰন্দন।।

সামরিলে শোকতাপ গায়ক্ষেত্ৰে গৈল।

বিষ্ণুপদে সভক্তিরে তৰ্পণ করিল।।

কালর মহাত্মা কোনে করিব খণ্ডন।

শনির দৃষ্টি পরে দ্বিজর নন্দন।।

বল-বুদ্ধি শনিদেবে সকলো হরিলে।

খেলি মেলি মন লৈয়া ভ্ৰমণ করিলে।।

বিদৰ্ভ নগরত রজা শ্ৰীবত্স রাজন।

প্ৰজাগণক পুত্ৰসম করয়ে পালন।।

সেই সভাই সুমঙ্গল কৰর আগমন।

পাদ্য অৰ্ঘ দিলে রজাই দেখিয়া ব্ৰাহ্মণ।।

কোন বংশোদ্ভব তুমি সোধে নররায়।

ক’ত থাকা কিনো নাম দিয়া পরিচয়।।

শুনি সুমঙ্গলে তেওঁর দিলে পরিচয়।

সুমঙ্গল নাম মোর ব্ৰাহ্মণ তনয়।।

দরিদ্ৰ বালক মই নাই পিতা মাতা।

দেশে দেশে ঘূরি ফুরো যাঁও যথা তথা।।

রজাই বোলে হে দ্বিজ চিন্তা করা দূর।

আমার গৃহতে থাকা এই কথা মোর।।

নানা শাস্ত্ৰবিদ বুলি অনুমান হয়।

শাস্ত্ৰজ্ঞান বিলাবলৈ কৃপা মাগো মই।।

দুই পুত্ৰ আছে মোর শুনাহে ব্ৰাহ্মণ।

সুশিক্ষা করিবা দান এই অকিঞ্চণ।।

নৃপতির কথাত দ্বিজ তুষ্ট হইল।

রাজপুত্ৰদ্বয়ে শিক্ষা আরম্ভ করিল।।

দুখ কষ্ট দূর হৈ সদা সুখে রয়।

রজার পণ্ডিত বুলি হল পরিচয়।।

এইদরে কিছুদিন পার হৈ গ’ল।

বালকর বেশে শনি উপস্থিত হল।।

ছাত্ৰর বেশেতে শনিক চিনিব নাপায়।

মোকো শিক্ষা দিয়া বুলি শিষ্য হৈ কয়।।

বুজিব নোবারে দ্বিজে শনির ছলনা।

শনির রূপতে মন হইল মগনা।।

সোধতে কয় সূৰ্যর কুমার।

শিক্ষা হেতু আহিছো কাষতে তোমার।।

সুমঙ্গলে বোলে সুখে করা অধ্যয়ন।

যি শিক্ষা কবিছো লাভ করাহে পঠন।

বিপ্ৰর কথাত শনি সন্তুষ্ট হইল।

ব্ৰাহ্মণর পাশে শাস্ত্ৰ মনদি পঢ়িল।।

ব্যাকরণ স্মৃতি কাব্য সাংখ্য ও দৰ্শন।

কম সময়তে শনি করে অধ্যয়ন।।

সকলো বিদ্যাতে শনি অদ্বিতীয় হৈল।

আচরিত হৈ বিপ্ৰই পরিচয় সুধিল।।

শনি বোলে কি দিম নিজ পরিচয়।

শনৈশ্চর নাম মোর রবির তণয়।।

শুনি সুমঙ্গেলে মৃদু হাঁহি মারি কয়।

মই আজি ধন্য হলো শুনি পরিচয়।।

যদি দেব তুষ্ট ভৈলা মম প্ৰতি।

কেনেকৈ মোর শেষ হব দুৰ্গতি।।

তাহার সন্ধান দেব কোবা দয়া করি।

সদায় আকুল চিত্ত থাকিব নোবারি।।

মোর ওপরে তব আছে যে কটাক্ষ।

কোবা দেব কি ভাবে হব যে সপক্ষ।।

শনি কয় শুনা তবে ওহে মহাশয়।

মোৰ ভোগ মাত্ৰ দহবছর রয়।।

আরু অবশিষ্ট ভোগ ছয়মাহ আছে।

দশ দণ্ড মাজে যাব নাহে আরু পাছে।।

দশ দণ্ড পাবা অতি বর কষ্ট।

পিছতেই গুছি যাব তোমার অরিষ্ট।।

সাত দিনত যাবাগৈ ভাগীরথী তীর।

ধ্যান করিবা মাথো দেব শ্ৰীহরির।।

মোর কোপর পরা পাবাহে মুকুতি।

কহিলোহো সার বাক্য এহি যে যুগুতি।।

এই কথা কৈ শনি হৈল অন্তধ্যান।

বিচারি নাপালে ব্ৰাহ্মণ শনির সন্ধান।।

অবশেষত দ্বিজবর গল গঙ্গাতীর।

একান্ত মনেরে ধ্যন করিলে শ্ৰীহরির।।

দশদণ্ড পূৰ্ণ হল বুলি ভাব ধরি।

সুমঙ্গল ঠিয় হৈল বুলি শ্ৰীহরি।।

কিন্তু দশদণ্ড পূৰ্ণ নোহোবা যেন দেখি।

পূনর ভজে নারায়ণ চকু মুদি মুদি।।

তাকে দেখি শনিদেবর খং উঠি গল।

নারায়ণক সাক্ষি করি তেওঁ কৈ গল।।

মোর একো দোষ নাই দৈবর ঘটন।

নিজ কৰ্মদোষে কষ্ট পাইল ব্ৰাহ্মণ।।

শনিদেব অতি ক্ৰোধে বিহ্বল হইল।

দুই রাজপুত্ৰ শনি হরণ করিল।

নিজ মায়াবলে দুই শিশুমূণ্ড গঢ়ি।

বিপ্ৰপাশে লৈয়া তাক গল রালরি।।

ধ্যনমগ্ন সুমঙ্গল আছে গঙ্গাতীরে।

দুটি মূণ্ড পরে তেওঁর কোলার ওপরে।।

নিদ্ৰাত ইফালে রজাই দুঃসপ্ন দেখিল।

পাত্ৰ মিত্ৰ লৈ রজা গঙ্গাতীরে গৈল।।

দেখিয়া দ্বিজের কোলাত পুত্ৰ মুণ্ডদ্বয়।

হাহাকার করি কান্দি বাগরি পরয়।।

রজার যত দূতগণ বান্ধে ব্ৰাহ্মণক।

শৃহ্খলে বন্ধণ করি রাখিলে দ্বিজক।।

কারাগারত বহি দ্বিজ কান্দিব ধরিলে।

বিপদহন্তা শ্ৰীহরিক স্মরিবলৈ ললে।।

রক্ষা করা দিনবন্ধু এঘোর সঙ্কটে।

রজার ক্ৰন্দন শুনি মোর হিয়া ফাটে।।

এতিয়া ঘটিলে এক বিচিত্ৰ ঘটন।

দশদণ্ড পূৰ্ণবেলা উপস্থিত হল।।

শোকতে কাতর রজা যি ঠাইত আছিলে।

তাতে গৈ দুইপুত্ৰ পিতৃক মিলিলে।।

রজাই বোলে কত আছিলা হৃদয়র ধন।

শয্যাত আছিলো আমি করিয়া শয়ণ।।

পুত্ৰ কথা শুনি রজা অবাক হইল।

রজা রাণী দুয়ো পুত্ৰক কোলাতে বসাইল।।

আঞ্জামত্ৰে দূতগণে আনিলে দ্বিজক।

শিৰ্ণ কলেবর রজাই দেখিলে বিপ্ৰক।।

নানা স্তুতি করি রজাই দ্বিজক সুধিলে।

কোন শিশুর মুণ্ড তেওঁ দেখিবলৈ পালে।।

দ্বিজ বোলে মহারাজ শুনামোর বাণী।

ইয়ার কারণ মাত্ৰ জানো মই শনি।।

রজাই বোলে যদি পাঁও শনি দরশন।

ষোরশোপচারে তেওঁর পুজিম চরণ।।

রজার কথাদ্বিজ করিল গমন।

শনির কাষত করে সব নিবেদন।।

সকলোবোর কথা শুনি শনিও আহিলে।

শনিক দেখিয়া রজাই প্ৰণাম করিলে।।

রজাই বোলে তোমাক পূজা করিবলৈ মন।

কৃপা করি কোবা মোক পূজার বৰ্ণন।।

শনি বোলে পূজা বিধা শুনাহে রাজন।

কিরূপে করিবা মোর পূজা আয়োজন।।

শুদ্ধভাবে শুদ্ধমনে মোরেই বরতে।

করিবা শনির পূজা উপবাস ব্ৰতে।।

সন্ধ্যাকালে শুদ্ধভাবে পূজা আরম্ভিবা।

নীলবস্ত্ৰ কৃষ্ণ তীল আরূ তেল দিবা।।

মুগ মাটিমাহ আনি উত্সৰ্গা করিবা।

কৃষ্ণবৰ্ণ ঘট আনি প্ৰতিষ্ঠা করিবা।।

পঞ্চবিধ ফল-ফুলে করিবা অৰ্চনা।

ভক্তিয়েই প্ৰধান দ্ৰব্য মনত রাখিবা।।

পূজার বিধান মোর জনালো তোমাক।

পূজা শেষ ভক্তি ভাবে করিবা প্ৰণাম।।

নবগ্ৰহ স্ৰোত্ৰ পাঠ অবশ্যে করিবা।

সকলো পাপর পরা মুক্ত হৈ যাবা।।

অভক্তিরে যেয়ে প্ৰসাদ গ্ৰহণ করিব।

অল্পদিনর ভিতরতে চমন আহিব।।

শনির পূজার যেনে করে অনাদর।

চিরকাল দুখ পায় হব যে কাতর।।

এই কথা কৈ শনি হৈল অন্তৰ্ধ্যান।

ভক্তি ভাবে করে রজাই শনির পূজন।।

প্ৰতি শনিবারে পূজা করে নৃপবর।

বিপ্ৰগণক দান দিয়া তুষিলে বিস্তর।।

সুমঙ্গলে রজার কাষর পরা গৈয়া।

গঙ্গাতীরত শনিপূজা করিবলৈ লৈলা।।

এইমতে প্ৰচারিলে পূজা শনিদেবে।

যার যেনে শক্তি আছে পূজে ভক্তি ভাবে।।

সৰ্বদা শনির পদে থাকে যার মনে।

উদ্ধারে বিপদর পরা প্ৰতি ক্ষনে ক্ষনে।।

শনির পাঁচালী যেয়ে রাখিব ভবনে।

কেতিয়াও নপরে তেওঁ বিপদ বন্ধনে।।

শনিক প্ৰণাম করি যি কাৰ্য্যে য়ায়।

সমাদর হয় তেওঁর সততে সদায়।।

স্কন্দ পুরানর কতা অন্যথা নহয়।

যথাবিধি ব্যাসবাক্য সদা সত্য হয়।।

গণেশ বন্দনা

প্ৰণামো চরণে প্ৰভু দেব গজানন।

তোমার স্মরণে হয় বিঘ্নবিনাশন।।

একদন্ত গজানন চতুৰ্ভূজ ধারী।

খৰ্বকায় স্থুলতণু লম্বোদরধারী।।

দিব্য দেহে শোভা পায় নানা আভরণ।

দিব্যমালা কণ্ঠে তুমি করিছা ধারণ।।

রক্তবৰ্ণ দেহ তোমার মুষিক বাহণ।

সৰ্ব দেব-দেবী আগে তোমার পুজন।।

বিরাজিত তুমি দেব রত্ন সিংহাসনে।

বারে বারে প্ৰণাম করি দুখানি চরণে।।

সৰ্ব দেব-দেবীর বন্দনা

বন্দিলহো বৈকুণ্ঠত লক্ষ্মী নারায়ণ।

যোড়করে বন্দি সরস্বতী আইর চরণ।।

কৈলাসতে বন্দিলো দেব মহেশ্বরে।

যোগী ঋষিগণ সদা যার ধ্যান করে।।

বন্দিলো শ্ৰীদুৰ্গার চরণ দুখনি।

আদ্যাশক্তি মহামায়া বিশ্ব প্ৰসবিনী।।

গণেশর শ্ৰীচরণে করিনু প্ৰণতি।

বন্দিলো কাৰ্ত্তিকেয় দেব সেনাপতি।।

বন্দিলো চন্দ্ৰ সূৰ্য্য আরূ গ্ৰহগণ।

বন্দিলো দশ মহাবিদ্যার চরণ।।

পতিত পাবনী গঙ্গা করিনু বন্দন।

যাহার স্মরণে সৰ্ব পাপ বিনাশন।।

বৃন্দাবনত বন্দিলো শ্ৰীকৃষ্ণ রাধারে।

গয়া আদি তীৰ্থ ক্ষেত্ৰ বন্দি করযোড়ে।।

যম আরূ প্ৰজাপতি বন্দনা করিয়া।

ছায়া সবৰ্ণারে বন্দো প্ৰণত হইয়া।।

এতিয়া শনিদেবক বন্দিলো যোড় করে।

ফনিন্দ্ৰ নগেন্দ্ৰ ইন্দ্ৰ কঁপে যার ডরে।।

সৰ্বদেব দেবী পদে করিয়া প্ৰণতি।

রবিপুত্ৰ শনৈশ্চর কহিব ভারতী।।

যাহার কৃপাত সৰ্ব দুঃখ নাশ হয়।

শনি তুষ্ট হলে গৃহে লক্ষ্মী বাঁধা রয়।।

স্কন্দ পুরাণত আছে বৰ্ণনা ঋষির।

অতিকে সুন্দর গুণ চরিত্ৰ শনির।।

শুদ্ধাচারত একমনে যি জনে পূজয়।

গ্ৰহরাগ তার প্ৰতি সুপ্ৰসন্ন হয়।।

সৰ্বকাৰ্যত শনি তাক করয় রক্ষণ।

ধনৈশ্বৰ্যে পূৰ্ণ হয় তহার ভবন।।

বিপদত পরি যেয়ে শনিদেবক মাতে।

সূৰ্য্যপুত্ৰ গ্ৰহরাজ রক্ষা করে তাকে।।

নবগ্ৰহ স্তোত্ৰম্

ওঁ জবাকুসুমস্ঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্।

ধ্বান্তরিং সৰ্ব্বপাপঘ্নং প্ৰণতোহস্মি দিবাকরম্।। ১

দিব্য শঙ্খ তুষারাভ্যং ক্ষীরোদাৰ্ণব সম্ভবম্।

নমামি শশিনং ভক্ত্যা শম্ভোৰ্মুকুট ভূষণম্।। ২

ধৰণী গৰ্ভসম্ভুতং বিদ্যুত্পুঞ্জ সমপ্ৰভম্।

কুমারং শক্তিহস্তঞ্চ লোহিতাঙ্গং নমাম্যহম্।। ৩

প্ৰিয়ঙ্কুকলিকা শ্যামং রূপেণাপ্ৰতিমং বুধম্।

সৌম্যং সৰ্ব্বগুণোপেতং নমামি শশিনং সুতম্।। ৪

দেবতানামৃষীণাঞ্চ গুরুং কণকসন্নিভম্।

বন্দ্যভূতং ত্ৰিলোকেশং তং নমামি বৃহস্পতিম্।। ৫

হিমকুন্দমৃণালাভং দৈত্যানাং পরমং গুরুম্।

সৰ্ব্বশাস্ত্ৰ প্ৰবক্তারং ভাৰ্গবং প্ৰণমাম্যহম্।। ৬

নীলাঞ্জনচয় প্ৰখ্যং রবিসুত মহাগ্ৰহম্।

ছায়ায়া গৰ্ভসম্ভুতং বন্দো ভক্ত্যুা শনৈশ্চরম্।। ৭

অৰ্দ্ধকায়ং মহাঘোরং চন্দ্ৰাদিত্য বিমৰ্দ্দকম্।

সিংহিকায়াঃ সুতং রৌদ্ৰং তং রাহুং প্ৰণমাম্যহম্।। ৮

পলালধূমসঙ্কাশং তারগ্ৰহ বিমৰ্দ্দকম্।

রৌদ্ৰং রুদ্ৰাত্মকং ক্ৰুরং তং কেতুং প্ৰণমাম্যহম্।। ৯

ইতি ব্যাস মুখোদ্গীতং য পঠেত্ সুগমাহিতং।

দিবা বা যদি বা রাত্ৰৌ শান্তিস্তস্য ন সংশয়ঃ।।

ঐশ্বৰ্যমতুলং তেষামারোগ্যং পুষ্টিবৰ্ধনম্।

নর-নারী-প্ৰিয়ত্বঞ্চ ভবেদ্দুস্বপ্ননাশনম্।।

তক্ষকোহগ্নিৰ্যমো বায়ূৰ্যে চান্যে গ্ৰহপিড়কাঃ।

তে সৰ্বে প্ৰশমং যান্তি ব্যাসো ব্ৰুয়ান্ ন সংশয়ঃ।।

ইতি শ্ৰীব্যাসদেবভাষিতং নবগ্ৰহস্তোত্ৰম্ সমাপ্তম।।

নবগ্ৰহ কবচম

ব্ৰহ্মোবাচ

শিরো মে পাতু মাৰ্তণ্ডঃ কপালং রোহিণীপতিঃ।

মুখমঙ্গারকঃ পাতু কণ্ঠাঞ্চ শশিনন্দনঃ।।

বুদ্ধিং জীবঃ সদা পাতু হৃদয়ং ভৃগুনন্দনঃ।

জঠরঞ্চ শনিঃ পাতু জিহাং মে দিতি-নন্দনঃ।।

পাদৌ কেতুঃ সদা পাতু বারাঃ সৰ্বাঙ্গমেব চ।

তিথয়োহষ্টৌ দিশঃ পান্তু নক্ষত্ৰাণি বপুঃ সদা।।

অংসৌ রাশিঃ সদা পাতু যোগশ্চ স্থৈৰ্যমেব চ।

এতাং রক্ষাং পঠেদ্যস্তু অঙ্গং স্পৃষ্টব্যাপি বা পঠেত্।।

স চিরায়ুঃ সুখী পুত্ৰী যুদ্ধে চ বিজয়ী ভবেত্।

রোগী রোগাত্ প্ৰমুচ্যেত বদ্ধো মুচ্যেত বন্ধনাত্।।

শ্ৰিয়ঞ্চ লভতে নিত্যং রিষ্টিস্তস্য ন জায়তে।।

যঃ করে ধারয়েন্নিত্যং তস্য রিষ্টিৰ্ন জায়তে।

পঠানাত্ কবচস্যাস্য সৰ্বপাপাত্ প্ৰমুচ্যতে।।

মৃতবত্সা চ যা নারী কাকবন্ধ্যা চ যা ভবেত্।

জীববত্সা পুত্ৰবতী ভবত্যেব ন সংশয়ঃ।।

ইতি শ্ৰীযামলে নবগ্ৰহ-কবচং সম্পূৰ্ণম্।।

শনি স্তোত্ৰম্

শ্ৰীশনৈশ্চরায় নমঃ। অস্য শ্ৰীশনৈশ্চরস্ত্ৰোত্ৰ মন্ত্ৰস্য দশরথ ঋষিঃ।

শনৈশ্চরো দেবতা ত্ৰিষ্টুপ্ ছন্দঃ শনৈশ্চরপ্ৰীত্যৰ্থং জপে বিনিয়োগঃ।।

দশরথ উবাচ

কোণোহন্তকো রৌদ্ৰযমোহথঃ বভ্ৰুঃ কৃষ্ণ শনি পিঙ্গলমন্দসৌরিঃ।

নিত্যং স্মৃতো যো হরতে চ পীড়াং তস্মৈ নমঃ শ্ৰীরবিনন্দনায়।। ১

সুরাসুরাঃ কিম্পুরুষোরগেন্দ্ৰা গন্ধৰ্ববিদ্যাধর পন্নগাশ্চ।

সীদন্তি সৰ্বে বিষমস্থিতেন তস্মৈ নমঃ শ্ৰীরবিনন্দনায়।। ২

নরা নেরেন্দ্ৰাঃ পশবো মৃগেন্দ্ৰা বন্যাশ্চ যে কীটপতঙ্গভৃঙ্গাঃ।

সীদন্তি সৰ্বে বিষমস্থিতেন তম্মৈ নমঃ শ্ৰীরবিনন্দনায়।। ৩

দেশাশ্চ দুৰ্গাণি তথা বলানি সেনানিবাসাঃ পুরপত্তনানি।

সীদন্তি সৰ্বে বিষমস্থিতেন তস্মৈ নমঃ শ্ৰীরবিনন্দনায়।। ৪

তিলৈৰ্যবৈৰ্মাষগুড়ান্নদানৌৰ্লহেন নীলাম্বর দানতো বা।

প্ৰীণাতি মন্ত্ৰৈৰ্নিজবাসর য স্তস্মৈ নমঃ শ্ৰীরবিনন্দনায়।। ৫

প্ৰয়াগকূলে যমুনাতটে চ সরস্বতী পুণ্যজলে গুহায়াম্।

যো যোগিনাং ধ্যানগতোহতিসূক্ষ্ম স্তস্মৈ নমঃ শ্ৰীরবিনন্দনায়।। ৬

যোহন্য প্ৰদেশাত্ স্বগৃহং প্ৰবিষ্টস্ত্বদীয়বারে স নরঃ সুখী স্যাত্।

গৃহদ্গতো যো ন পুনঃ প্ৰয়াতি তস্মৈ নমঃ শ্ৰীরবিনন্দনায়।। ৭

স্ৰষ্টা স্বয়ম্ভুৰ্ভুবনত্ৰয়স্য পাতা হরিঃ সংহরতে পিণাকী।

একস্ত্ৰিধা ঋগ্যজুঃসামমূৰ্তি স্তস্মৈ নমঃ শ্ৰীরবিনন্দনায়।। ৮

শন্যষ্টকং যঃ প্ৰযতঃ প্ৰভাতে নিত্যঃ সপুত্ৰৈঃ পশুবান্ধবৈশ্চ।লভেচ্চ সৌখ্যং ভুবি ভোগযুক্তঃ প্ৰাপ্নোতি নিৰ্বাণপদং তদন্তে।। ৯

কোণোহথ পিঙ্গলো বভ্ৰুঃ কৃষ্ণো রৌদ্ৰোহন্তকো যমঃ।সৌরিঃ শনৈশ্চৰো মন্দঃ পিপ্পলাদেন সংস্তুতঃ।। ১০

এতানি দশনামানি প্ৰাতরূত্থায় যঃ পঠেত্।

শনৈশ্চরকৃতা পীড়া ন তস্য ভবতি ক্কচিত্।।

ইতি শ্ৰীদশরথকৃত শ্ৰীশনৈশ্চর স্তোত্ৰং সম্পূৰ্ণম্।।

শ্ৰীশনৈঃ কবচম্

দেব্যুবাচ

কবচং বহুধা গীতং গ্ৰহাণাং দেব ভৈরব।

ইদানীং শ্ৰোতুমিচ্ছামি শনেঃ কবচমুত্তমম্।।

সৰ্বতন্ত্ৰেষু দেবেশি গোপিতং পরমাদ্ভূতম্।

কবচং দুৰ্লভং লোকে তব স্নেহাত্ প্ৰকাশিত্ম।।

অস্য শ্ৰীশনেঃ কবচস্য গৌতম ঋষিৰ্বিরাট্ ছন্দঃ

শনৈশ্চরো দেবতা আপদুদ্ধারণে বিনিযোগঃ।।

ওঁকারো মে শিরঃ পাতু ঐংকারঃ কণ্ঠেদেশকে।

হ্ৰীং মে হৃদি সদা পাতু শ্ৰীং মে পাতু সদা মুখম্।।

ওঁ ঐং হ্ৰীং শ্ৰীং শনৈশ্চরঃ পাতু মে সৰ্বতঃ স্থিতম্।

ইতি য কবচং পুণ্যং ধারয়েদ্দক্ষিণে ভুজে।।

কণ্ঠে বা পরমেশানি সৰ্বত্ৰ বিজয়ী ভবেত্।

চিরজীবী ভবেন্নিত্যমরোগী নাত্ৰ সংশয়ঃ।।

তস্য তুষ্টঃ সদা সৌরিঃ পঠেদযঃ সুসমাহিতঃ।

শনৈশ্চরকৃতা পীড়া নাস্তি তস্য কদাচন।।

ইতি শনৈঃ কবচম্ সমাপ্তম্।।

শনির দশা থেকে জীবনের বহু কঠিন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভক্তরা বড়ঠাকুরকে মন ও ভক্তিভরে পুজো করে থাকেন। শনিবার সন্ধ্যের সময় বা সূর্যাস্তের সময় শনিদেবের আরতি করা নিয়ম। শনিদেবের আরতির সঙ্গে মন্ত্র পাঠ করাও  বিশেষ তাত্‍পর্য় রয়েছে। শনিদেবকে খুশি রাখতে সূর্যাস্তের পর কী কী করা উচিত, তা জেনে নিন…

শনি দেবের মন্ত্র

১. ওম শ্রীম শ্রীম শ্রীম শনাইশ্চরায় নমঃ।

ওম হরিশাম শনিদেবায় নমঃ।

ওম ওম হালরি শ্রী শনাইশ্চরায় নমঃ।

২. ওম ভগভবয় বিদমহেন মৃত্যুরূপায় ধীমহি তন্নো শনিহ প্রচোদ্যাত।

৩. ঔঁ নীলঞ্জয়চযং প্রখ্যং রবিসূতঃ মহাগ্রহম।

ছায়ায়াং গর্ভসম্ভূতং বন্দে ভক্ত্যা শনৈশ্চরম।

(Collected)

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *