খবরে আমরাঃ সমাজে এমন ঘটনাও ঘটে। এক যুবকের পৈশাচিক বিকৃত মনের লালসার শিকার হল একটি নিরীহ কুকুর। অভিযোগ, কুকুরকে ধর্ষণরত অবস্থায় স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ল এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ধূপগুড়ি শহরের একদম প্রাণকেন্দ্র সরকারি ইন্সপেকশন ডাকবাংলো চত্বরে। অভিযুক্তের দাবি, কবিরাজের নিদানে রোগ সারাতেই তিনি ধর্ষণ করেন কুকুরদের। শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের ধূপগুড়ি ডাকবাংলোর পেছনের ঝোপের মধ্যে কুকুরকে ধর্ষন করতে দেখেন সরকারি বাংলোর পিছন পাড়ার এক বাসিন্দা। ওই ব্যাক্তি বাড়ি ছাদ থেকে ওই ব্যক্তিকে এই কুকর্ম করতে দেখেন অভিযোগ বেশ কিছুদিন ধরেই ওই ব্যক্তি ঝোপের আড়াসলে কুকরদের ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করতেন। একাধিকবার ওই ব্যক্তিকে ঝোপঝাড়ের ভেতর কুকুরকে ধর্ষণ করতে দেখেও চুপ থেকেছিলেন স্থানীয়রা। তবে এতদিন হাতে নাতে ধরতে পারেননি। আজ ধর্ষণ করতে দেখে তারা এগিয়ে আসেন। রীতিমতো লাঠি নিয়ে এলাকার বাসিন্দারা অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে হাতে নাতে এসে ধরে ফেলেন। সেইসাথে খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ি থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম শ্যামল দাম বলে জানা গিয়েছে।
এর আগেও ধূপগুড়ির সরকারি ডাকবাংলো নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি বাংলোর ভেতরে অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে বলে অভিযোগ।কারণ সরকারি বাংলো হলেও সেখানে নেই কোন নৈশ প্রহরী এবং সব সময় খোলা থাকে সেখানকার মূলগেট। যার ফলে অবাধে বহিরাগতরা সরকারি বাংলোর ভিতরে প্রবেশ করতে পারে এবং রাতের বেলা চলে বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ বলে অভিযোগ।এর আগে এই বিষয় নিয়ে অভিযোগ হয়েছিল জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে তার পরেও টনক নড়েনি প্রশাসনের। স্বয়ং জেলা পরিষদের সদস্য মমতা সরকার বৈদ্য নিজেও অভিযোগ জানিয়েছেন সভাধিপতি এবং জেলাশাসককে। তার পরেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এই সরকারি বাংলোয়। আর যার ফলে এই ধরনের নক্কার জনক ঘটনা ঘটলো সরকারি বাংলোতে।
ধৃত ব্যক্তির দাবি তার রোগ রয়েছে এবং তাকে কবিরাজ নিদান দিয়েছেন কুকুর ধর্ষণ করলে তার রোগ মুক্তি ঘটবে। ঘটনার জেরে পশুপ্রেমী সংস্থার তরফ থেকে ধূপগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানা গেছে।