দেবী পার্বতীর চতুর্থ রূপকে বা অবতারকে কুষ্মাণ্ডা বলা হয়ে থাকে। চতুর্থী তিথিতে অর্থাৎ চতুর্থির দিন দেবীর এই রূপের আবাহন করা হয়। দেবী সিংহবাহিনী, ত্রিনয়নী এবং অষ্টভুজা। আটটি হাতে সুদর্শনচক্র, ধণুর্বাণ, রক্তপদ্ম, কমুণ্ডল, থাকে। বামহাতে থাকে একটি অমৃতপূর্ণ কলসও। সৌম্য প্রতিমা। দেবীর বাম হাতে থাকা কলসকেই বলা হয় অমৃত ব্রহ্মের রূপক। ব্রহ্মজ্ঞানের আধার। সাধনায় দেবীকে তুষ্ট করতে পাকলেই এই ব্রহ্মজ্ঞান দান করেন তিনি।
জমমালায় মনোমাঞ্ছা পূরণ
দেবী কুষ্মাণ্ডার হাতে একটি জপমালা রয়েছে। এই জপমালাই অষ্টসিদ্ধি ও নবনিধি দান করতে পারে। ভক্তের ভক্তিতে তুষ্ট হলে দেবী তাঁর মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন। তবে অমৃত কলসের দান পেতে বলে ভক্তকে সব পার্থিব সুখ এবং ইচ্ছে ত্যাগ করতে হবে। তবেই তিনি সেই অমৃত কলসের জ্ঞান দান করেন। সেই ব্রহ্মজ্ঞান প্রাপ্তির জন্যই দেবীর আরাধনা।
পুজোর রীতি
দেবী ‘কুষ্মাণ্ডা’-র পুজো করতে হলে কুমড়ো বলি দিতে হয়। কারণ এটি দেবীর প্রিয়। সৌরমণ্ডলে বাস করেন তিনি। বলা হয়ে থাকে দেবী ‘কুষ্মাণ্ডা’ পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন। শোনা যায় ব্রহ্মাকে যখন ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তখন তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন কী করবেন বুঝে উঠকে পারছিলেন না। তখন দেবী পার্বতী তাঁদের তিন্তার তাপ গ্রহণ করে ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির সঠিক দিক নির্দেশ করেন। কাশীতে দেবী কুষ্মাণ্ডার মন্দির রয়েছে।
আরাধনার মাহাত্ম্য
দেবী কুষ্মাণ্ডার আরাধনায় যশ, বুদ্ধি, সিদ্ধি, আয়ু এবং বল প্রাপ্তি হয়। খুব সামান্যতেই প্রসন্ন হন তিনি। সেকারণেই দেবীর পুজোয় কুষ্মান্ডা বলি হয়ে থাকে। দেবী কুষ্মাণ্ডার আরাধনায় রোগ, ব্যাধি থেকেও মুক্তি ঘটে।